উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী গয়েশপুর গ্রামে আক্রান্ত বিজিবির সহযোগী তারেক হোসেন (৪০) হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক তাকে ‍মৃত ঘোষণা করে।
তারেক হোসেন গয়েশপুর গ্রামের বড়পুকুর পাড়ার রবগুল হোসেনের ছেলে। মাদক চোরাচালান সংক্রান্ত বিরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
নিহতের বাবা রবগুল জানান, তারেককে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ি থেকে কারা যেন ডেকে নিয়ে যায়। দেড়টার দিকে ভারত সীমান্তবর্তী দোয়াল মাঠ থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঢামেক হাসপাতালে আজ সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই তারেক মারা যায়।
এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন তারেক ‘বিজিবির সোর্স’ হিসেবে কাজ করছিলেন। এ কারণে চোরাকারবারিদের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। চোরাকারবারের সন্ধান জানতে সোমবার রাতে তিনি ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েন। সেখানে চোরাকারবারিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তারেককে আঘাত করে। রক্তাক্ত আহত অবস্থায় দৌড়ে তিনি কোনোরকম বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে চলে আসেন।

মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল শাহীন আজাদ জানান, নিহত তারেক সীমান্তে চোরাচালানবিরোধী কাজে তাদের সহযোগী। সহযোগিতা অনেকেই করে। কিন্তু যারা বিষয়টি গোপন রাখতে পারে না তারাই চোরাকারবারিদের রোষানলে পড়ে। ঠিক তেমনটিই ঘটেছে তারেকের ক্ষেত্রে।

তবে ‘বিজিবির সোর্স’ কথাটির ব্যাপারে তিনি আপত্তি করেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানান, সোমবার রাত দেড়টার দিকে জীবননগর গয়েশপুর সীমান্তের ৬৮ নম্বর প্রধান খুঁটির কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কয়েকজন মাদককারবারি ভারত থেকে ফেন্সিডিল নিয়ে আসার জন্য দাঁড়িয়েছিল। এ সময় তারেককে দেখতে পেয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে পালিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, নিহত তারেক হোসেন বিজিবির চোরাচালান বিরোধী কাজের সহযোগী ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি। মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।