এম আব্দুর রাজ্জাক উত্তরবঙ্গ থেকে :
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হচ্ছে আজ। রীতি অনুযায়ী, সধবা নারীরা স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন সিঁদুর, পান ও মিষ্টি নিয়ে দুর্গাকে সিঁদুর ছোঁয়ান। দেবীর পায়ে সিঁদুর ছোঁয়ানোর পর সেই সিঁদুর প্রথমে সিঁথিতে মাখান, পরে একে অন্যের সিঁথি ও মুখে মাখেন। মুখ রঙিন করে হাসিমুখে দেবীকে বিদায় জানানো হয়। মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। এরপর নেচে গেয়ে দেবীদুর্গাকে বিদায় জানান সনাতন ধর্মালম্বীরা। বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়া শহরের মগলিশপুর বারোয়ারী দূর্গা মন্দিরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
এ মন্দিরে সকাল থেকেই সিঁদুররাঙা ধর্মাবলম্বীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। সকালে বিজয়া দশমীর পূজা শেষে মণ্ডপে মণ্ডপে ছিল বিষাদের ছায়া। উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা আর ঢাকঢোলের বাজনায় ছিল দেবীদুর্গার বিদায়ের সুর। পুরাণমতে, বিজয়া দশমীর অন্যতম আয়োজন দেবীবরণ। রীতি অনুযায়ী, সধবা নারীরা স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন সিঁদুর, পান ও মিষ্টি নিয়ে দুর্গাকে সিঁদুর ছোঁয়ান। দেবীর পায়ে সিঁদুর ছোঁয়ানোর পর সেই সিঁদুর প্রথমে সিঁথিতে মাখান, পরে একে অন্যের সিঁথি ও মুখে মাখেন। মুখ রঙিন করে হাসিমুখে দেবীকে বিদায় জানান। সেই খেলায় মেতে উঠেন সব বয়সের মানুষ।
মন্দিরে আসা অনুষ্কা রানি বলেন, পাঁচ দিন ধরে নানা আয়োজনে পূজা উদযাপন করা হয়েছে। সিঁদুর খেলা, নেচে গেয়ে উদযাপন করা হয়েছে। মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে হচ্ছে এতে কিছুটা খারাপ লাগছে। আগামী বছর আবারও ফিরে আসবে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর দেবী দুর্গার আবাহন বা মহালয়ার মধ্যদিয়ে দেবী পক্ষের শুরু হয়। আর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে ১ অক্টোবর শুরু হয় শারদীয় দুর্গাপূজা। এরপর হাসি-আনন্দ আর পূজা-অর্চনার মধ্যদিয়ে কেটে যায় চারদিন।
বিজয়া দশমীতে ‘বিহিত পূজা’ আর ‘দর্পণ বিসর্জনের’ মধ্যদিয়ে বিদায় জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। আর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়েই শেষ হবে সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার দেবী মর্ত্যে আসছেন গজে (হাতিতে) চেপে। গজ বা হাতিতে চড়ে দেবীর আগমনের অর্থ হল শুভ। মনে করা হয়ে থাকে দেবী যদি গজে চড়ে মর্ত্যে আসেন তাহলে তিনি সঙ্গে করে সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে আসেন। হাতি হচ্ছে জ্ঞান এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। আর ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবী মর্ত্য ছাড়বেন নৌকায় চড়ে। নৌকায় মনোকামনা পূর্ণ হওয়া বোঝানো হয়। ধরিত্রী হয়ে ওঠে শস্য শ্যামলা। কিন্তু সেই সঙ্গে অতি বর্ষণ বা প্লাবনের আশঙ্কাও দেখা যায়।
পূজা উদযাপন পরিষদের হিসাবে এবার বগুড়ার ১২টি উপজেলায় ৬৯০টি মণ্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে পৌর শহরে পূজার সংখ্যা ছিল ৬৬টি। সারাদেশে এবছর ৩২হাজার ১৬৮টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
বগুড়ায় সিঁদুররাঙা হাসিমুখে নেচে গেয়ে দেবীকে বিদায়
প্রকাশিত: ০৫ জুন, ২০২৫, ০৪:২৫ এএম

সারাবাংলা রিলেটেড নিউজ

আদমদীঘিতে শিক্ষক দিবস পালিত

দর্শনার কেরুর চিনি সংকট দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাজারে
.jpg)
ছাই-পেন্সিল দিয়ে ছবি আঁকেন জয়পুরহাটের প্রসেনজিৎ

রুনা লায়লার সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্ণ

রবীন্দ্রনাথ ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য বিচার নিশ্চিত করতে চাই: ড. আসিফ নজরুল

সোনাতলা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুর্যোগ প্রস্তূতি দিবস অনুষ্ঠিত

নিউইয়র্কের বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর নুরুল আজিমের মাতৃবিয়োগ