যুবরাজ চৌধুরী: ডাকাতি হওয়ার দশ দিন পার হলেও উদ্ধারে পুলিশের ভূমিকা নীরব। সিসি ফুটেজে ডাকাতদের পরিস্কার চিত্র থাকার পরেও আজ পর্যন্ত গরু উদ্ধার করতে পারেনি চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার পুলিশ। ফলে খামারের মালিক হতাশা প্রকাশ করেছেন। কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার, জগন্নাথ দিঘি ইউনিয়নের বিজয়করা গ্রামে গ্রীনভ্যালী এগ্রো প্রাইভেট লিমিটেডে নামের ওই খামারে চলতি মাসের ১৮ তারিখে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই দিনই চৌদ্দগ্রাম মডেল থানায় একটি ডাকাতির মামলা করা হয়।

জানাযায়, এলাকার বেকার সমস্যা সমাধান কল্পে সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে গরু মোটা তাজাকরনের জন্য বিজয়করা গ্রামে প্রায় চার বছর পূর্বে গ্রীনভ্যালী এগ্রো প্রাইভেট লিমিটেডের যাত্রা শুরু হয়। উক্ত খামারের গরু এবং গরুর মাংস গত তিন বছর যাবত এলাকায় ৩০-৪০% মাংসের চাহিদা মিটিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদে তুলনা মূলক ভাবে অন্যান্য খামারের তুলনায় অনেক কম মূল্য গরু বিক্রয় করে জনগন পছন্দ মত পশু কোরবানির দেওয়ার ব্যাবস্থা করায় গ্রীনভ্যালী এগ্রো লিমিটেড যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে।

দুঃখ জনক বিষয় হচ্ছে গত ১৮ সেপ্টেম্ব সুনাম ধন্য খামারটি তে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল গভীর রতে ডাকাতির উদ্দেশ্য ঐ খামারের হামলা চালায় এবং সকল কর্মচারীকে জিম্মি করে ৬ টি গরু পিকাপ ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। সিসি ক্যামেরায় তা ধরা পড়ে।উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে চৌদ্দগ্রাম মডেল থানায় একটি ডাকাতির মামলা রুজু করা হয়। ঘটনার সাত দিন গত হলেও পুলিশ প্রশাসন এখনো কোন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে না পারায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এই ব্যাপারে খামারের মালিক বলেন আমার নিজ এলাকায় কিছু প্রকল্প হাতে নিয়ে ছিলাম যেন এলাকার বেকার সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হয়। অরো অনেক গুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছি ঐ গুলোর প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে।সকল প্রকল্পের মধ্যে একটি গ্রীনভ্যালী এগ্রো লিমিটেড।এই খামার দেখার জন্য প্রতি মাসে না পারলেও ২-৩ মাস পরপর আমি বাড়ীতে আমার যাতায়াত করি। উপযুক্ত প্রমান থাকার পরেও যদি স্নানীয় প্রশাসন থেকে আশানুরূপ কোন সমাধান না পাওয়া যায় আগামীতে আমি অন্য প্রকল্প গুলো এলাকায় শুরু করবো কিনা নতুন করে চিন্তা করে সিদান্ত নিতে হবে। 

ডাকাতির বিষয়ে খামারের উদ্যোক্তা তত্ত্বাবধায়ক রিয়াদ চৌধুরী সাথে কথা হয় তিনি বলেন আমাদের বাড়ী বিজয়করা আমাদের জায়গায়তে খামার বলতে লজ্জা লাগে আমাদের খামারের গরু ডাকাতি করে নিয়ে গেছে এটা আমাদের জন্য তথা ঐতিহ্যবাহী বিজয়করা গ্রামের জন্যও লজ্জার।  পুলিশ প্রশাসন আমাদের কে আশ্বাস দিচ্ছেন ওনাদের পাশাপাশি আমার আমাদের নিজের মত করে চেষ্টা করছি গরু গুলো উদ্ধার করার এবং ডাকাত দলকে যেন আইনের আওতায় নেওয়া যায়।