এম আব্দুর রাজ্জাক উত্তরবঙ্গ থেকে :

 
ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিবন্ধী শিশু “পার্থশীল” কে একটি হুইল চেয়ার দিয়ে তার মুখে হাসি ফুটিয়েছেন মানবতার ফেরিওয়ালা ও ঠাকুরগাঁও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব মোঃ নজমুল হুদা শাহ এ্যাপোলো।
এক সাংবাদিকের করুন ফেইসবুক স্টেটাস দেখে হুলই চেয়ার নিয়ে ছুটে গেলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৭ নং চিলারং ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী শিশু “পার্থশীল” কাছে, মানবতার ফেরিওয়ালা ও ঠাকুরগাঁও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব মোঃ নজমুল হুদা শাহ এ্যাপোলো। নতুন হুইল চেয়ার পেয়ে ভিষণ খুশি পার্থ এবং তার এই হাসি মুখ খানা দেখে চিলারং এর এলাকাবাসীরাও অনেক আনন্দিত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল ওয়াফু তপু, দপ্তর সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ মশিউর রহমান রুমন, চিলারং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ঋষিকেশ রায় লিটন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুলতান চৌধুরী, উক্ত ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ কাওছার আলী, সাধারণ সম্পাদক মুকতারুল ইসলাম সহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
মোঃ নজমুল হুদা শাহ এ্যাপোলো জানান, গত কয়েকদিন আগে আমি একটা ফেইসবুক স্টেটাস দেখতে পাই পরে খোজ খবর নিয়ে আজ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৭ নং চিলারং ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী শিশু “পার্থশীল” জন্য হুলই চেয়ার নিয়ে ছুটে আছি।
উল্লেখ, ফেইসবুক স্টেটাস, উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের মৃত শ্যামল শীলের ছেলে পার্থশীল।জন্ম থেকেই পার্থশীল শারীরিক প্রতিবন্ধী। দু’টি পা-ই তার নষ্ট। পা দু’টি দিয়ে কোনো ভাবেই হাটা চলা করতে পারে না। পায়ের অধিকাংশই বাঁকা ও মোড়ানো। হুইল চেয়ার না থাকায় হাতের আঙ্গুলের উপর ভর করে মাটি ঘেঁষে যায় সে। চলাচল করতে খুব কষ্ট হয় তার। মাটি ঘেঁষে চলাচল করতে করতে তার হাতে পায়ে ফোসকা পড়েছে। হতাশা চোখমুখে নিয়ে বলল ছবি তুলেন কেন? আগে কত বার ছবি উঠেছি একটা হুইল চেয়ারও পাইনি। হুইল চেয়ার হলে কিছুটা স্বাভাবিক চলাচল করতে পারতাম। আমার একটি হুইল চেয়ার দিবেন কি?