শুভ জন্মদিন মেজর জেনারেল মাহাবুবর রশীদ, একজন সত্যিকার দেশপ্রেমিক ও সৎ মানুষ হিসাবে সবার মাঝে পরিচিত। তার জীবন ও কর্ম আমাদের সকলের জন্য একটি প্রেরণার উৎস এবং দেশের জন্য তার অবদান, সততা, এবং নেতৃত্বের গুণাবলী তাকে একটি বিশেষ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছে। 

মেজর জেনারেল মাহাবুবর রশীদ সততা ও নৈতিকতার জীবন্ত প্রতীক। তার জীবনে কোনো সময়ে কোনো প্রকার দুর্নীতি বা অসততা লক্ষ্য করা যায়নি। সবসময় নীতির প্রতি অনুগত থেকেছেন এবং কর্মজীবনেও সেই নীতি মেনে চলেছেন। সততার জন্য তিনি সবাইর কাছে সম্মানিত এবং প্রশংসিত। 

দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং দেশের সেবায় নিয়োজিত মেজর জেনারেল মাহাবুবর রশীদের নেতৃত্বের গুণাবলী তাকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করেছে। অধীনস্থরা সবসময় তার নির্দেশনা মেনে চলে এবং তার প্রতি গভীর সম্মান পোষণ করে। তিনিও সবসময় অধীনস্থদের প্রতি যত্নশীল ও সহানুভূতিশীল ছিলেন এবং আছেন। ফলে তার নেতৃত্বের বিভিন্ন অপারেশন এবং দেশের নিরাপত্তা সফলভাবে নিশ্চিত হয়েছে। দেশপ্রেম শুধু কথায় নয়, কাজে প্রমাণিত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তিনি দেশের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি নিয়েছেন এবং সফলভাবে তা সম্পন্ন করেছেন।সাদাসিধে পরিবারে জন্মগ্রহণ করা মাহাবুবর রশীদের বাবা-মা তাকে ছোট থেকেই সৎ, নীতিবান এবং দায়িত্বশীল হিসাবে গড়ে তুলেছিলেন। শৈশব তিনি ছিলেন খুব মেধাবী ও অধ্যবসায়ী ছিলেন, শিক্ষাজীবন শেষে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন। সেখান থেকেই তার সামরিক জীবনের যাত্রা শুরু হয়। প্রশিক্ষণের সময় থেকেই তিনি তার মেধা, দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণাবলী প্রদর্শন করতে শুরু করেন, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা হিসাবে তিনি বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন এবং প্রতিটি পদে কর্মদক্ষতা ও সততার পরিচয় দিতে সহায়তা করেছে।


মাহাবুবর রশীদ ব্যক্তিগত জীবনে একজন সফল মানুষ এবং আদর্শ স্বামী। পরিবারের প্রতি সবসময় দায়িত্বশীল থেকেছেন এবং পরিবার তাকে সবসময় সমর্থন করেছে। তার প্রতিটি সাফল্যের পিছনে তাদের অবদান রয়েছে। গতবছর আমরা যশোর সেনানিবাসে গিয়েছিলাম মাহাবুবের আমন্ত্রণে। সেখানে প্রবেশ করার মুহূর্ত থেকেই মনে হচ্ছিলো যেন এক নতুন জগতে পা রেখেছিলাম। সেনানিবাসের জিওসি হিসেবে মেজর জেনারেল মাহাবুবর রশীদ, আমাদের যে আতিথেয়তা দেখিয়েছেন, তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। সেখানে কাটানো একদিন ছিলো, এক রাজ্যের অভিজ্ঞতা, যেখানে রাজা হলেন মেজর জেনারেল মাহাবুব এবং আমরা তার সম্মানিত অতিথি। তার বিনয়ী ও আন্তরিক ব্যবহারে আমরা বিমুগ্ধ হয়েছি, যেন সেই সময়ের প্রতিটি মুহূর্ত সোনালী স্মৃতিতে খোদাই হয়ে আছে। অসাধারণ অতিথিপরায়ণতা ও স্নেহময় ব্যবহার আজও আমার হৃদয়ে অমলিন হয়ে আছে, এক গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার স্মারক হিসেবে। 

মাহাবুবর রশীদ কেবল একজন সামরিক কর্মকর্তা নন, একজন প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদও ছিলেন। ফুটবল ও হকিতে তার দক্ষতা তাকে আরও বিশেষ করেছে। শৈশব এবং কৈশোরে এই খেলাগুলোতে তার পারদর্শিতা এবং অধ্যবসায় তাকে একজন সফল ক্রীড়াবিদ হিসেবে গড়ে তুলেছিল। ক্রীড়া প্রতিভা এবং এর প্রতি তার ভালোবাসা তাকে তার সহকর্মীদের মাঝেও সম্মানিত করেছে।

মেজর জেনারেল মাহাবুবর রশীদের জীবন ও কর্ম আমাদের সকলের জন্য একটি উদাহরণ। তার দেশপ্রেম, সততা, নেতৃত্বের গুণাবলী, এবং নৈতিকতা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। জন্মদিনে আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। মেজর জেনারেল মাহাবুবর রশীদের মতো মানুষ আমাদের সমাজে আরও বেশি প্রয়োজন, যারা তাদের কর্ম ও নীতির মাধ্যমে আমাদের দেশকে আরও উন্নতির পথে নিয়ে যাবে।