এম আব্দুর রাজ্জাক, বগুড়া থেকে : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, মার্কিন প্রেসক্রিপশনে দেশ চলবে না। মুক্তিযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নৌবহর পাঠিয়ে স্বাধীনতার বিরোধীদেরকে পুরস্কৃত করেছিল। রাশিয়া যদি সে সময় আরেকটি নৌবহর না পাঠাতো তাহলে মুক্তিযুদ্ধ নয়মাস না ক’মাসে শেষ হতো এটা ভাববার বিষয় ছিল। বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে বগুড়ার মানিকচক বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ভারত মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। তাদেরকে খাওয়া-পরা দিয়েছে। অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছে। সে সময়ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরোধিতা করেছে। আর জিয়াউর রহমান পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসে দেশের মেধাবী ছাত্রদেরকে নিয়ে নৌবহরের নামে মাদকাসক্ত, টেন্ডারবাজি, অস্ত্রবাজি শিখিয়েছিলেন। তারা নৌবহর থেকে ফিরে সরাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। জিয়াউর রহমান হ্যাঁ-না ভোটের নামে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছেন। তারই সন্তান তারেক রহমান কোনো লেখাপড়া করেনি। কোনো বিদ্যালয়ে বা কলেজ থেকে শিক্ষাসনদ অর্জন করেননি। তিনি বিদেশে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। জিয়াউর রহমান দেশে কার্ফু দিয়ে জেলখানা সৃষ্টি করেছিলেন। তিনিই খুন, ষড়যন্ত্র এবং গুমের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। আবার তিনিই বিনা বিচারে সৈনিকদের কে খুন করেছেন। জিয়ার শাসন ছিল এদেশে বিভীষিকাময়। কিন্তু এখন সে সময় নেই। দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। জনগণ চাইছে আওয়ামী লীগকে। দেশের মানুষ শান্তি চায়, তারা শান্তিতে ঘুমাতে চায়-এ কারণে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকায় আবারও ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।
বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম রাজের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেন, সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন দুলু মাস্টার, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান মিলন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদাৎ আলম ঝুনু, এ্যাডভোকেট জাকির হোসেন নবাব, দপ্তর সম্পাদক আল রাজী জুয়েল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন, সাধারণ সম্পাদক আবু ওবায়দুল হাসান ববি, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় প্রমুখ। এসময় জেলা আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।