শুনিনি কতদিন বর্ষার ঝিরি গান,
দেখিনি কতদিন মাঠ ভাসা বান,
টিনের চালে বৃষ্টি ছন্দ আওয়াজ-
ঝম ঝম কি এক তালের ভাঁজ।
ধুকপুক করে বুক কাঁপন ত্রাসে,
মেঘের গুমড়ানো কান্না হুতাশে।
বিদ্যুতের ঝলক নয়নে চমকায়,
গোমরা আকাশ সকাল সন্ধ্যায়।
শোনা যায় বাজছে হারমোনিয়ামটা,
হঠাৎ বজ্রপাতের চিৎকার কানফাটা!
তার মাঝে মনুদা তাও গলা সাধছে,
ভয়ে বাবুমনি মায়ের বুকে লুকাচ্ছে।
শুকনো আমার মুখ দেখে বাবা আদরে,
চুলে হাত বুলিয়ে বলেন, ভয় নাইরে!
আমিতো আছি পাশে, শোনাই একটি-
সেই ‘বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর’- ছড়াটি।
মনে তো নেই, বলতোরে দেখি মামনি!
থাক আজ! বর্ষার গান মন দিয়ে চল শুনি।
আহ! মামনির উনুনে উবলায় খিচুড়ি,
সাথে ইলিশ ভাজা খাব আজ প্রাণ ভরি।
শুনিনি কতদিন, বিভূঁইয়ে গান বর্ষার!
হিম শীতের দেশে যেখানে আজ বাস আমার,
দিনমান শুধু দেখি মেঘ ঢাকা আকাশ-
বর্ষাকাল নেই, ঝরে বৃষ্টি সারা বর্ষ মাস।