সাহিত্য একাডেমি নিউ ইয়র্ক-এর শুরুর দিকে বিশিষ্ট সঙ্গীত লেখক মুত্তালিব বিশ্বাসের সাথে সাহিত্য একাডেমির সংশ্লিষ্টতা ছিল। তাই সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে মুত্তালিব বিশ্বাস ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে ফিরে যাচ্ছেন, এ কথা জানার পর সাহিত্য একাডেমির নিয়মিত মাসিক আসরে তাকে আনুষ্ঠানিক সম্মান ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিদায় সম্বর্ধনা বলা হয়নি, কারণ মনে হয় সংশ্লিষ্ট সবাই ধরেই নিয়েছেন যে, তিনি বাংলাদেশে চলে গেলেও নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশিদের মধ্যে শ্রদ্ধাভাজন আপনজন হিসেবে তার আসনটি অক্ষুণ্ণ থাকবে।সাহিত্য একাডেমির সদস্য এবং নিউয়র্কের বিশিষ্টজনেরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পুষ্পস্তবক দিয়ে ও উত্তরীয় পরিয়ে তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে তালিকভুক্ত লেখক কবি এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ তার উদ্দেশ্যে কবিতা আবৃত্তি ও কবিতা পাঠ, তার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে লেখা পাঠ, তার লিখা এবং তাকে নিয়ে লিখা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যম থেকে উদ্ধৃতি পাঠ, এবং শুভেচ্ছাবাণী নিবেদন করেন। জবাবে বাংলা সঙ্গীতের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা উপস্থাপন করেন তার স্বভাবসুলভ বিনয় এবং হাসি-কৌতুকের মাধ্যমে। এবং সব শেষে সবার অনুরোধে খালি গলায় একটি ভক্তি সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
নবতিপর বর্ষিয়াণ প্রাণবন্ত চিরযুবক এই মুত্তালিব বিশ্বাসের প্রতিভা একজন সঙ্গীত শিল্পী, সঙ্গীত গবেষক, শিল্পকলা একাডেমির কর্মকর্তা এবং সঙ্গীত শিক্ষকতা পর্যন্ত বিস্তৃত হলেও আমার বিশ্বাস, অন্য সকল কর্ম ও কৃতিত্ব ছাপিয়ে একজন সঙ্গীত লেখক হিসেবে তার অবদান তাকে দীর্ঘকালব্যাপী স্মরণীয় করে রাখবে।
দিনটি ছিলো মাসের শেষ শুক্রবার, সাহিত্য একাডেমির জুন মাসের নিয়মিত আসরের দিন। সময়াভাবে অল্প কয়েকজন কবির কবিতা পাঠ ও বই পরিচিতি দিয়ে আসরের সমাপ্তি টানা হয়।
অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছিল জ্যাকসন হাইটস-এর জুইশ সেন্টারে, ছবিগুলো সেখানেই তোলা।