নিউইয়র্ক (ইউএনএ): বাংলাদেশী-আমেরিকান মোহাম্মদ জাকের
হোসেন খসরু নিহতের ঘটনায় জড়িত দূর্বৃত্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার
এবং তার সর্বোচ্চ শান্তি দাবী করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। সেই
সাথে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া
মোনাজাত করা হয়েছে। গত ১২ মে রোববার বেলা ২টায় জ্যামাইকার
হিলসাইড এভিনিউ ও ১৬৭ স্ট্রীট-এর কর্ণারে আয়োজিত শোক ও 
দোয়া প্রার্থনা সভায় উল্লেখিত দাবী জানানো হয়। শেরপুর জেলা
সমিতি ইউএসএ ইনক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 
শেরপুর জেলার সন্তান এবং নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকাবাসী
মোহাম্মদ জাকের হোসেন খসরু হিলসাইড এভিনিউ ও ১৬৭ স্ট্রীট-এর
কর্ণারে মান্নান সুপার মার্কেটের কাছে গত ৫ এপ্রিল শুক্রবার
দূর্বৃত্তের হামলার শিকার হন। ঘটনার পর হামলাকারী দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ
করে এবং গুরুত্ব আহত এবং জ্ঞানহীন অবস্থায় খসরুকে কুইন্স
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চার দিন আইসিইউতে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিন শেষ নি:শ্বাস
ত্যাগ করেন। দুর্বৃত্তের আকস্মিক হামলায় খসরু নিহতের ঘটনাটিকে
‘হত্যা হিসেবে দাবী’ করে প্রবাসী বাংলাদেশী ঘটনার সাথে
দূর্বৃত্তকে চিহ্নিত এবং তাকে বিচারের আওতায় এসে সর্বোচ্চ
শাস্তি দাবী করেছেন।
রোববারের প্রতিবাদ সভা ও দোয়া মাহফিলের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে
তেলাওয়াত করেন মসজিদ মিশন সেন্টারের ইমাম ও ডাইরেক্টর হাফেজ
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন জ্যামাইকা
মুসলিম সেন্টারের ইমাম ও খতিব মির্জা আবু জাফর বেগ। সভায়
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় পুলিশ প্রিসেক্টের সিও মি. জেং,
শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটন, জ্যামাইকা বাংলাদেশ
ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা এবিএম ওসমান গণি ও সভাপতি
ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, শেরপুর জেলা সমিতি ইউএসএ’র প্রতিষ্ঠাতা
সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশী-আমেরিকান পুলিশ
এসোসিয়েশন (বাপা)-এর সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলম প্রিন্স ও
সাধারণ সম্পাদক রাশেক মালিক এবং নিহতের স্ত্রী শামীমা আক্তার
শিউলী।

সভায় পুলিশ কর্মকর্তা জেং বলেন, মোহাম্মদ জাকের হোসেন খসরু
নিহতের ঘটনায় জড়িত দূর্বৃত্তকে ধরতে প্রচেষ্টা চলছে। এজন্য পুলিশের
গোয়েন্দা শাখা কাজ করছে। অপরাধী অবশ্যই ধরা পড়বে এবং বিচার হবে
বলে তিনি আশ্বস্থ করেন। বিষয়টি যেহেতু তদন্তনাধীন তাই এই মহুর্তে
বেশী কিছু বলা ঠিক হবে না।
বাফা’র নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশী-আমেরিকান পুলিশ হিসেবে খসরু
হত্যার ঘটনায় কমিউনিটির সাথে তারাও সমব্যাথী উল্লেখ করে বলেন,
অবশ্যই এই হত্যার বিচার হবে এবং আমরা সকল কমিউনিটির বিপদ-
আপদে পাশে আছি, পাশে থাকবো।
শামীমা আক্তার শিউলী সহ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে
জাকের হোসেন খসরু হত্যার জন্য দায়ী দূর্বৃত্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার
এবং দ্রæত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
প্রতিবাদ সভায় জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি, প্রবাসী
টাঙ্গাইলবাসী ইউএসএ, টাঙ্গাইল সোসাইটি ইউএসএ, ময়মনসিংহ
জেলা সমিতি ইউএসএ ও শেরপুর প্রবাসী কল্যাণ সমিতি ইউএসএ’র
নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের শতাধিক
প্রবাসী বাংলাদেশী নর-নারী যোগ দেন।