নিউইয়র্ক সিটির পুলিশ প্লাজায় ২১ শে নভেম্বর দুপুরে এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পুলিশ কমিশনার এডওয়ার্ড এ ক্যাবানের কাছ থেকে সার্টিফিকেট গ্রহন করেন সার্জেন্ট  রুবেল নাথ ও সার্জেন্ট মোহাম্মদ আব্দুর রহিম । পদোন্নতি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা এই এই পদে পদায়ন পেয়েছেন । উল্লেখ্য বিশ্বের অন্যতম চৌকষ ডিপার্টমেন্ট হচ্ছে এনওয়াইপিডি। নিউইয়র্ক পুলিশে সার্জেন্ট রুবেল নাথ । তিনি  চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানার স্বনামধন্য শিক্ষক দম্পতি কানাই বন্ধু নাথ ওরূপসী দেবীর সন্তান ।২০০০ সালে  আমেরিকায় জমান এরপর স্ট্যটান আইল্যান  কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের উপরেডিগ্রী অর্জন করেন। উল্লেখ্য রুবেল নাথের বাবা নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ট্রাফিক এজেন্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

 

নিউইয়র্ক পুলিশে সার্জেন্ট মোহাম্মদ আব্দুর রহিম জন্ম  নোয়াখালীর কোম্পানী গঞ্জ। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কোম্পানীগঞ্জথেকে পরে অনার্স এবং  মাস্টার্স ডিগ্রী চট্টগ্রাম কলেজ থেকে রসায়ন বিভাগে। ২০১১ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে আগমনইমিগ্রেন্ট হয়ে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর নিউইয়র্ক পুলিশের ট্রাফিক এজেন্ট হিসাবে  ২০১৫ সালের জুলাই মাসে হিসাবে যোগদানকরেন।বর্ণিল অনুষ্ঠানে কর্মকর্তাদের পরিবার, প্রিয়জন ও স্বজনরা উপস্থিত থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের উৎসাহ দিয়েছেন। প্রিয়জনদেরউপস্থিতে পুরো হলজুড়ে উৎসবের আমেজের আবহ তৈরী হয়েছে। এই দুই জনের পদোন্নতিতে বাংলাদেশী কমিউনিটির মানুষেরমধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে উচ্ছ্বাস।অন্যদিকে, সার্জেন্ট  রুবেল নাথ ও সার্জেন্ট মোহাম্মদ আব্দুর রহিমের পদোন্নতিতে বাংলাদেশী অ্যামেরিকান পুলিশএসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন কারাম চৌধুরী,  ভাইস প্রেসিডেন্ট সার্জেন্ট এরশাদুর সিদ্দিক এবং সেক্রেটারী ক্যাপ্টেনএকেএম আলম অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাদের এই অর্জন বাংলাদেশী অ্যামেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশনের প্রতিটি সদস্যউচ্ছ্বসিত বলে জানান তারা। তাদের সাফল্য পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে জানান বাংলাদেশি আমেরিকানপুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা’র )মিডিয়া লিয়াজন ডিটেক্টিভ জামিল সারোয়ার জনি।

 

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বাপা’র বোর্ড মেম্বার ক্যাপ্টেন মিলাদ খান , সার্জেন সাঈদুল , সার্জেন্ট সাইফুলইসলাম , সার্জেন্ট মোঃ লতিফ , সার্জেন্ট মাহমুদ, সার্জেন্ট হোসাইন, অফিসার রহমান, সাবেক বাপা’র নেতৃবৃন্দ, বাপা’র সদস্যসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।