খবর প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
২০২১ সালে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ফোবানা সম্মেলনে এই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও ফেডারেল ক্রিমিনালরা মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনে বাধা প্রদান করা ও বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই ছয় ব্যক্তিকে আজীবনের জন্য ফোবানা বহিস্কার করা হয়। ফোবানা হচ্ছে উত্তর আমেরিকায় বাঙ্গালীদের সর্ব বৃহৎ সংগঠন,যে সংগঠনটি উত্তর আমেরিকাতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা সহ বাংলার সংস্কৃতিকে উত্তর আমেরিকাতে বিস্তৃতি ঘটানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য একাত্তরের পরাজিত শত্রু এবং তাদের দোসররা যারা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্ট কর্তৃক সাজা প্রাপ্ত হয়েছেন সেইসব ব্যক্তিবর্গ ছদ্মবেশে ফোবানা তে ঢুকে ফোবানার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ কে ধ্বংসের পায়তারা শুরু করেন। এইসব ব্যক্তিদের মধ্যে এক নাম্বার হচ্ছেন ফেডারেল সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোঃ আলমগীর যিনি ইমিগ্রেশন জালিয়াতি এবং নারী কেলেঙ্কারি সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত থাকার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত তার আইন পেশার লাইসেন্স বাতিল করে ৫ বৎসর কারাদন্ড প্রদান করেন। এই ব্যক্তি ২০১৮সালের ফোবানা কনভেনশনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে জনাব মীর চৌধুরী কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন। এরপর ফোবানা চেয়ারম্যানসহ ফোবানা নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ইমেইল দিয়ে আলমগীর ফোবানার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
সর্বশেষ ২০২০সালে জনাব জাকারিয়া চৌধুরীর সাথে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করে আলমগীরের ভরাডুবি হয় এবং তিনি বুঝতে পারেন ফোবানা তে তার কোনো ভবিষ্যত নেই।২য় জন হচ্ছেন ফেডারেল সাজাপ্রাপ্ত আসামী যিনি ধাক্কা ব্যবসা ও ইন্সুরেন্স জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অপরাধের কারণে ফেডারেল কোর্ট কর্তৃক দীর্ঘদিন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেল থেকে মুক্ত হন।পরবর্তীতে নিজেকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগঠন ফোবানাতে একটি ভুয়া সংগঠন নিয়ে প্রবেশ করেন। এরপর নেতা হওয়ার খায়েশে একের পর এক ফোবানাতে ষড়যন্ত্র শুরু করেন।ফোবানার সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করে নিজেকে মধ্যমনি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন। সর্বশেষ ২০২১ সালের ফোবানা সম্মেলনে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব বর্ষ পালনে বাধা প্রদান, ফোবানার ওয়েবসাইট ও ফেইসবুক হ্যাক করে তথ্য চুরি করায় তৎকালীন ফোবানা চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী কর্তৃক ফোবানা থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কৃত হন সাবেক ফ্রিডম পার্টির এই সদস্য মাসুদ চৌধুরী। উল্লেখ্য যে ফ্রিডম পার্টির সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে মাসুদ চৌধুরী সেনাবাহিনী থেকে চাকরি চ্যুত হয়ে বিদেশে পালিয়ে আসেন। তৃতীয় জন হচ্ছেন রেহান রেজা যিনি এই দুইজন ফেডারেল ক্রিমিনালদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ শিষ্য ,ইতিপূর্বে ২০১১ সালের সম্মেলনে নিজ স্বার্থে ফোবানার পেড জালিয়াতি করে মন্ত্রীকে দাওয়াত দেয়া,আদম ব্যবসা, প্রায় প্রতিটি সম্মেলনে বিভিন্ন নষ্ট মেয়েদের কে নিয়ে উপস্থিত হয়ে ফোবানার পরিবেশকে দূষিত করা,যার পরিপ্রেক্ষিতে তার স্ত্রী এবং সন্তানেরা ফোবানা বর্জন করেন। সর্বশেষ ২০২২ সালে ফোবানার নাম ব্যবহার করে ভুয়া সম্মেলনের নামে ঢাকায় বসে গুলশান ক্লাব ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রকাশ্যে ফোবানার ইনভাইটেশন লেটার বিক্রি করে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ফোবানা থেকে বহিস্কৃত হন। চতুর্থ জন হচ্ছেন বিএনপি নেতা অসীম উদ্দিনের ভাই জসিম উদ্দিন।যিনি আটলান্টা বিএনপি'র উপদেষ্টা এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ বিরুধী ষড়যন্ত্রের অন্যতম হোতা হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত।
যিনি বিগত ২০ বছর যাবত ফোবানার ইমেইল ও ইমেজ কে ব্যবহার করে নিজস্ব ইন্সুরেন্স ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।তিনি নাইট ক্লাব ব্যবসা ও বিভিন্ন অনৈতিক ব্যবসায় যুক্ত থাকায় ফোবানাতে সকলের কাছে নিন্দিত।সকল অপকর্মের হোতা হিসাবে বহুবার তার বিরুদ্ধে ফোবানাকে নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও তার তথাকথিত স্বাধীনতার স্বপক্ষের এক মুরব্বির ইশারায় তিনি বারবার রক্ষা পেয়েছেন। পঞ্চম জন হচ্ছেন জসীম উদ্দীনের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ফোবানার সাবেক ট্রেজারার নাহিদুল খান সাহেল। আটলান্টা বিএনপি'র সভাপতি যুদ্ধাপরাধীর সন্তান, তারেক জিয়ার অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্রে বসে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মূল হোতা হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত এই নাহিদুল খান সাহেল ২০১৮ সালের আটলান্টা ফোবানা সম্মেলনে জসিম উদ্দিনকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ফোবানা সম্মেলনের সদস্য সচিবের পদ কিনে নেন। অথচ তার কোন সংগঠন নেই কিন্তু ফোবানাতে সংগঠন ছাড়া কেউ অংশগ্রহণ করতে পারে না। ফোবানার সংবিধান অনুযায়ী ফোবানার চেয়ারম্যান অথবা সেক্রেটারি হতে হলে কোন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদে থাকা যায় না অথচ ফোবানার সমস্ত আইন-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ২০২১ সালে ফোবানা সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের প্রকাশ্য বিরোধিতাকারী ফোবানা থেকে বহিস্কৃত এই নাহিদুল খান সাহেল নিজেকে ফোবানার সেক্রেটারি হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পরিচয় দিয়ে আসছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ষষ্ঠ ব্যক্তি হচ্ছেন আহসান চৌধুরী হিরো
যিনি একটি ভারতীয় সংগঠনের প্রতিনিধি,২০২১ সালে ফোবানার ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময় চেয়ারম্যান এর অনুমতি ব্যতীত বিভিন্ন সাব-কমিটি গঠন,ফোবানাতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি, এছাড়া ফোবানা সম্মেলনে প্রকাশ্যে শুয়োরের মাংস খাওয়া ও মদ খেয়ে বিভিন্ন নারীদের সাথে মাতলামি করা সহ বিভিন্ন অসাংগঠনিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ফোবানা থেকে বহিস্কার হন।যার সাথে বর্তমানে ফোবানার কোন সম্পর্ক নেই তিনি এখন নিজেকে স্বঘোষিত ফোবানা চেয়ারম্যান হিসেবে দাবি করে বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য-বিবৃতি পাঠাচ্ছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এখানে উল্লেখ্য যে তাদের এইসব নিউজ গুলি শুধুমাত্র বাংলা প্রেস এবং বর্ণমালা অনলাইন নিউজ নামে দুইটি নিউজ পোর্টালে ছাপা হয়েছে যে দুইটি নিউজ পোর্টাল স্বাধীনতাবিরোধী এবং দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদেরমিডিয়া হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত । বাংলা প্রেস এর মালিক সাবেদ সাথী অর্থের বিনিময় বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের চরিত্রহননের জন্য ভাড়াটিয়া প্রতারক হিসাবে পরিচিত। ফোবানা থেকে বহিষ্কৃত এই অপরাধী সিন্ডিকেটের হোতারা ফোবানার সম্মানিত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে বিষোদগার করছে তাই এদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য কমিউনিটির সকলের প্রতি ফোবানার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনুরোধ জানিয়েছেন।