লিলি,বেইজিং: প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:১৩ এএম
৬ জানুয়ারি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেইজিংয়ের মহাগণভবনে সফররত তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট সের্দার বেরদি মুহামেদোভের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে দুই প্রেসিডেন্ট চীন-তুর্কমেনিস্তান সম্পর্ককে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কে উন্নীত করার ঘোষণা করেন।
প্রেসিডেন্ট সি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই আপনার প্রথম চীন সফর এবং আজ হলো চীন ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের স্মরণীয় দিন। তাই আজ আমরা চীন-তুর্কমেনিস্তান সম্পর্ককে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কে রূপান্তরের ঘোষণা করছি।’
তিনি বলেন, ‘চীনের কমিউনিস্ট পার্টি’র (সিপিসি) নেতৃত্বে চীনের বিভিন্ন জাতির জনগণ চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের মাধ্যমে চীনা জাতির মহান পুনরুত্থান এগিয়ে নিচ্ছে এবং তুর্কমেনিস্তান ও নিজস্ব পুনরুত্থানের কৌশল ধরে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’
প্রেসিডেন্ট সি বলেন, ‘চীন এবং তুর্কমেনিস্তানের একই ধারণা, একই লক্ষ্য এবং পরস্পরের সঙ্গে জড়িত স্বার্থ রয়েছে। উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের পথে পরিপূরক সুবিধা কাজে লাগিয়ে সহযোগিতার সম্ভাবনা খনন করে অভিন্ন উন্নয়ন বাস্তবায়নে আমাদের একত্রে কাজ করা উচিৎ।’
তিনি বলেন, ‘তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে দু’দেশের সার্বিক সহযোগিতাকে গভীরতর করতে, দু’দেশের অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গড়ে তুলতে এবং আরো উচ্চমানের দু’দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে ইচ্ছুক চীন।’
প্রেসিডেন্ট সি বলেন, ‘দু’দেশের জ্বালানি সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করা উচিৎ। প্রাকৃতিক গ্যাসের সহযোগিতা হলো চীন ও তুর্কমেনিস্তানের সম্পর্কের ভিত্তি এবং এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণ দু’দেশের কৌশল ও দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’
প্রেসিডেন্ট সের্দার বেরদি মুহামেদোভ বলেন, ‘চীন ও তুর্কমেনিস্তানের বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় সুদীর্ঘকালের। প্রাচীন রেশম পথ দু’দেশকে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত করেছে। দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর বিশেষ করে ২০১৩ সালে কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের বহু পর্যায়ের বিনিময় ও সহযোগিতা ফলপ্রসূ হয়েছে; জনগণের মৈত্রী আরো গভীর হয়েছে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও দিন দিন সুসংহত হয়েছে।’
তুর্কমেনিস্তান দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় চীনকে সমর্থন করে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র: লিলি, সিএমজি।