খবর প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম
সেমন্তী, সৃজনোলজি এবং বাই দা স্কুপ
একই সাথে তিনটি বিষয়ের সমাহারে ছোট্ট আয়োজন, আয়োজনের কেন্দ্রে ছিল যে, তার নাম সেমন্তী ওয়াহেদ। শিল্পকলা, কারুকলা, এবং সমাজনিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সেমন্তীকে জানি তার শৈশব থেকে।সেমন্তীর জন্ম বাংলাদেশে, বেড়ে ওঠা নিউ ইয়র্কে। জীবনবোধ ও জীবনদর্শনের সকল শিক্ষাদীক্ষা ও অভিজ্ঞতাও তার নিউ ইয়র্ক-কেন্দ্রীক। বাঙলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও রুচিবোধকে সচেতনভাবে সমকালীনভাবে ধারণ করে কীভাবে আন্তর্জাতিক পরিসরেও স্থানীয়ভাবে প্রাসঙ্গিক থাকা যায়, সেই দুরূহ কাজটি করার সক্ষমতাটা হচ্ছে সেমন্তীর অনন্যতা।
সেই সেমন্তীর নতুন উদ্যোগসমূহের সাথে পরিচিত হতে গতকাল ২৩ ডিসেম্বরের স্মরণকালের ভয়াবহতম শীতল ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে সেমন্তীর আয়োজনে যোগ দিয়েছিলাম। এই উদ্যোগগুলোর কোনো কোনোটির সাথে বিচ্ছিন্নভাবে ও খণ্ডিতভাবে পরিচিতি থাকলেও এই আয়োজনটা ছিলো পুরোটাই ছিল সেমন্তীর নিজস্ব। এদিন সেমন্তী তার সারথীদের সহযোগীতায় তুলে ধরেছে তার ব্যবসা উদ্যোগ নিজ নামে ফ্যাশন ডিজাইন ‘সেমন্তী’ (semonti.com দেখুন), মুখরোচক হাল্কা খাবার ‘বাই দা স্কুপ’, তার শৈল্পিক সৃষ্টিশিলতা সংগঠন সৃজনোলজির বহুমাত্রিক ও বহুভাষীক উদ্যোগ পারফরম্যান্স আর্ট ‘ফ্রাজাইল লাইক এ বোম্ব’ পরিবেশনা।
ক্ষুদ্র পরিসরের এ বিশাল আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছিল একদল সেমন্তী-সারথী, যাদের সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে পারদর্শী। পুরো সন্ধ্যার আয়োজন দেখে মনে হয়েছে, অগ্রজ হিসেবে সেমন্তীর নেতৃত্বশীলতা সেই দলটিকে একটা স্বপ্ন উজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছে। আশা করা যেতে পারে যে, এ স্বপ্নের প্রতিফলন শুধু অনুষ্ঠানমঞ্চে নয়, মঞ্চের বাইরের জীবনকেও প্রভাবিত করবে।সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের কিছু ছবি সংযুক্ত করলাম।