মুজতবা সউদ প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম
'প্রেমের নাম বেদনা, সে কথা বুঝিনি আগে’, ‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন’, ‘তুমি যে আমার কবিতা’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘ও মেয়ের নাম দেব কী’, ‘আমি ছন্দহারা এক নদীর মতো ছুটে যাই', 'আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে', 'এক অন্তবিহীন স্বপ্ন ছিল', 'আমি তো আজ ভুলে গেছি সবই', 'সুরের ভুবনে আমি আজো পথচারী', 'বড় একা একা লাগে তুমি পাশে নেই বলে', 'এই স্বপ্ন ঘেরা দিন রাখবো ধরে', 'তুমি কখন এসে দাঁড়িয়ে আছো আমার অজান্তে', 'গীতিময় এইদিন সেইদিন চিরদিন রবে কি,'...'সালাম পৃথিবী তোমাকে সালাম'পৃথিবীকে সালাম জানিয়ে ১৯৯০ সালের ২০ ডিসেম্বর চলে গেছেন এমন সব গানের গায়ক মাহমুদুন্নবী।আধুনিক বাংলা গানের এক অমর কণ্ঠশিল্পী। তাঁর জন্মও এই মাসে। ১৯৩৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বিংশ শতাব্দীর ষাট, সত্তুর এবং আশি দশকের মানুষের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মূখস্ত ছিলো উনার গাওয়া এমন অসংখ্য গান। উদীয়মান গায়ক গায়িকারা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে কিংবা মহল্লায় এই গানগুলো গাইতো। যে সব গানের আবেদন এ যুগেও অমলিন। আজও মানুষের মনে অনুরনন তোলে, এখনো তরুণ প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা মুগ্ধ হয়ে মাহমুদুন্নবী'র কন্ঠের এই গানগুলো শোনে। আধুনিক বাংলা গান এবং শুদ্ধ সংগীত চর্চা এবং বিকাশে তিনি একজন স্মরণীয় ব্যাক্তিত্ব। মোট কয়টি ছবিতে, কতো শত গানে কন্ঠ দিয়েছেন এই শিল্পী, তার কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। দুইবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। গভীর শ্রদ্ধা তাঁর স্মৃতির প্রতি।
ছবিঃ মাহমুদুন্নবী। শাহনাজ রহমুতুল্লাহার সঙ্গে গান রেকর্ডিং এ। তিন মেয়ে নুমা (ফাহমিদা নবী), নোভা (সামিনা চৌধুরী), অন্তরা (তানজিদা নবী) আর ছেলে পঞ্চম (রেদয়ান চৌধুরী) এর সংগে। মেয়ে ফাহমিদা এবং সামিনাও গায়িকা হিসেবে খ্যাত। ঘরে বসে হারমনিয়ামে সুর তুলছেন। মাহমুদুন্নবী।