এম আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:০৩ এএম
এম আব্দুর রাজ্জাক উত্তরবঙ্গ থেকে :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় শীতের সোনাঝরা রোদে মাঠজুড়ে যেন ঝিকিমিকি করছে হলুদ ফুলের সমারোহ। এ যেন এক অপরূপ সৌন্দর্য্য। দেখে মনে হয় হলুদ বরণে সেজেছে প্রকৃতি। সরিষা ক্ষেতের ওপর ভেসে থাকা কুয়াশা সকালবেলার প্রকৃতিকে মনোমুগ্ধকর করে তোলে। প্রাকৃতিক এ সৌন্দর্য অবলোকনে ভারাক্রান্ত মনটিও আনন্দে ভরে উঠবে। হিমেল বাতাসে সরিষা ক্ষেত ছুঁয়ে মন মাতানো গন্ধ পৌঁছে দিচ্ছে লোকালয়ে। সেই গন্ধ যেমন সবাইকে আকৃষ্ট করছে, তেমনই বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। এ সরিষা ক্ষেত নানা প্রজাতির মাছি-মৌমাছি ও প্রজাপতির গুনগুনে মুখরিত থাকে সবসময়।
মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী। যেকোন অবস্থাতাইে থাকুক না কেন, সুন্দরের কদর তারা করবেই। যদি সেই সৌন্দর্যটি আবার সু-ঘ্রাণযুক্ত হয় তাহলে তো আরো বেশি আকৃষ্ট হয় করে সেই সুন্দরের পূজারীদের। সরিষা ক্ষেতে অপার সৌন্দর্য আর ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ পিপাসুদের টেনে নিয়ে যায় হলুদের চাঁদরে। প্রকৃতি প্রেমীদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে হলুদ-সবুজের মিতালী সরিষা ক্ষেতে।
অল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। এমনি চিত্র দেখা যায় গোমস্তাপুর উপজেলায় চারপাশে শুধু সরিষা ফুলের মৌ-মৌ গন্ধে মুখরিত ফসলের মাঠগুলো।
সরিষার দানা মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও সরিষার দানা পানির সাথে মিশিয়ে ভিনেগারসহ বিভিন্ন তরল তৈরি করা হয়। দানা পিষে সরিষার তেল তৈরি করা হয়। যা রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। সরিষার পাতা সরিষার শাক বা সর্ষে শাক হিসেবে খাওয়া হয়। সরিষা গাছগুলো সবুজ ও ফুলগুলো হলুদ রঙের।