NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
জব্বারের বলীখেলায় আবারও চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ‘বাঘা’ শরীফ Bangladesh reaffirms commitment to fully Implement the CHT Peace Accord Kashmir Violence Conflict can be Solved Diplomatically or Needs a Retaliation Plan Against Pakistan ব্রেন স্ট্রোক পরবর্তী সময়ে সেরে ওঠার যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মত  বিনিময় নিজেকে রাজা-বাদশাহ ভাবছেন ট্রাম্প! ‘দাগি’ দেখতে কয়েদির বেশে সিনেমা হলে শতাধিক নিশো ভক্ত Attorney General James Wins Case Against Google for Monopolies in Digital Advertising নিউইয়র্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংবাদ সম্মেলন নানা অভিযোগ উত্থাপন : বাংলাদেশ রেমিট্যান্স মেলা  বয়কটের আহবান নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় পুলিশের গুলিতে মানসিকভাবে অসুস্থ  এক ব্যক্তির মৃত্যু
Logo
logo

২৬ বছর বয়সি হু সিয়ান পঞ্চম বারের মতো শ্যান সি প্রদেশে এসে গম কাটছেন


মশিউর আনন্দ প্রকাশিত:  ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:১২ এএম

২৬ বছর বয়সি হু সিয়ান পঞ্চম বারের মতো শ্যান সি প্রদেশে এসে গম কাটছেন

ফসল কাটার মানুষ

 

 

নিউইয়র্ক বাংলা ডেস্ক: জুং চেং ইউন মাস্ক ছেড়ে দিয়ে ফসল কাটার যন্ত্রে বসে আছেন। তার ত্বক তামাটে হয়ে গেছে এবং মুখে রাখা আছে গমের খড়। তার স্ত্রী নিয়োগকর্তার সঙ্গে কথা বলছেন। কথা শেষ হলে তিনি ফসল কাটার যন্ত্র চালিয়ে পরবর্তী গমের ক্ষেতে যাবেন।  চীনের কুয়ান চুং সমতলে এখন সবসময় এমন দৃশ্য দেখা যায়। জুং চেং ইউনের মতো অনেকে চীনের নানা জায়গা থেকে এসে গ্রীষ্মকালীন ফসল কাটায় অংশগ্রহণ করেছে। তারা স্বামী ও স্ত্রী, পরিবার ও বন্ধু। একটি ট্রাক, একটি ফসল কাটার যন্ত্র এবং কিছু সাধারণ লাগেজ নিয়ে চীনের নানা জায়গায় গিয়ে ফসল কাটায় অংশ নেবে তারা। পরবর্তী কয়েক মাস চীনের বিভিন্ন জায়গায় ফসল হবে এবং তারাও সময়সূচি অনুযায়ী বিভিন্ন  জায়গায় যাবে, ফসলের সময় অনুসন্ধ্যান করে তারা এবং এটা তাদের চাকরি, আয় বেশি হয় এমন একটি চাকরি।

 

জুং চেং ইউন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার জন্মস্থান চীনের সিছুয়ান প্রদেশের লিয়াং শান এবং তিনি ষষ্ঠ বারের মতো এখানে এসে ফসল কাটায় অংশগ্রহণ করেছেন। আগে প্রতিবছর তিনি ১ লাখের বেশি কিলোমিটার অতিক্রম করে সারা চীনের তিন-চারটি প্রদেশে ফসল কাটতে যেতেন।  প্রতিবছরের আয় ১ লাখ ইউয়ানের বেশি ছিল। চলতি বছরেও মোটামোটি একই অবস্থা।

 

শ্যান সি প্রদেশের থুং কুয়ান জেলাটি অবস্থিত কুয়ান জুং সমতলের সর্বোচ্চ পূর্বে। প্রতিবছর এখানে প্রথমে গম পাকে এবং যারা কৃষি যন্ত্রপাতি চালিয়ে শ্যান সি প্রদেশে এসে ফসল কাটায় সাহায্য করেন, তাদের প্রথম গন্তব্যস্থান হল থুং কুয়ান জেলা। চলতি বছর থুং কুয়ান জেলায় এসেছেন জুন চেং ইউনের মতো ৩০ জন কর্মী। তাদেরকে বলা হয় নতুন গমের কর্মী। তারা ফসল পরিপক্কতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ফসলের মৌসুমে দৌড়ায়। থুং কুয়ান জেলার সীমান্তে একটি গ্যাস স্টেশনের পাশে স্থাপিত আছে একটি ক্রস-আঞ্চলিক অপারেশন সার্ভিস স্টেশন। রাতে কৃষি যন্ত্রপাতি অপারেটর কাজ শেষ করে এখানে ফিরে আসেন। তাদের ফসল কাটার যন্ত্র ট্রাকের উপরে রাখা আছে এবং ট্রাক গ্যাস স্টেশনের পাশে আছে। রাতে তারা ট্রাকে ঘুমায়।

অধিকাংশ সময়ে তাদের খাওয়া ও ঘুম ট্রাকের ভেতরে  হয়। এ কাজ কষ্টকর, তবে আয় তুলনামূলকভাবে ভাল। কুয়াং সি থেকে আসা পান চি লিয়াং বলেন, একবার এ কাজ করলে এক বছরে তার পরিবারের জীবনযাপনের কোন চিন্তা হবে না। তার দুটি সন্তান রয়েছে। একজন হাইস্কুলে আরেকজন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, তাদের শিক্ষার ফিও এ কাজের মাধ্যমে সমাধান  হবে। তার গ্রামের একজন বন্ধুর সঙ্গে কুয়াং সি প্রদেশের নান নিং শহর থেকে যথাক্রমে সিছুয়ান ও শ্যানসি প্রদেশে ফসল কেটে তারপর কুয়াং সি প্রদেশে ফিরে ধান কাটবেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৭ সাল থেকে তিনি এ কাজ শুরু করেন এবং তিনবার হারভেস্টার বদলানো হয়েছে। প্রতিবছর তিনি এক লাখ ইউয়ানের বেশি উপার্জন করতে পারেন।

খামার মেশিন অপারেটর তারা নিজেও খাদ্য চাষ করে বা  শহরে  অস্থায়ী কাজ করেন এবং ফসলের সময় তারাও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ফসল কাটতে সাহায্য করেন। চীনের নিয়ম অনুযায়ী, খামার মেশিন কিনে  দশ হাজারের মতো ভাতা পেতে পারে। তাই অনেক কৃষক এখন খামার মেশিন অপারেটর হিসেবে কাজ করতে পছন্দ করেন।

২৬ বছর বয়সি হু সিয়ান পঞ্চম বারের মতো শ্যান সি প্রদেশে এসে গম কাটছেন। তার জন্মস্থানও সি ছুয়ানে। তার গ্রামে চলতি বছর ২০ জনের বেশি তার মতো এ কাজ করে এবং তাদের বয়সও বেশি না, ৩০ বছরের নীচে। শ্যান সি প্রদেশে এ কাজ শেষ করে তারা যাবে কান সু প্রদেশে। প্রতিদিন তাদের  আয় ১ হাজার ইউয়ান হতে পারে।পাশাপাশি, স্যানসি প্রদেশের খামার মেশিন অপারেটরও হ্য নান প্রদেশে গিয়ে গম কাটতে সাহায্য করে। প্রতিবছর থুং কুয়ান জেলায় বিনামূল্যে মেশিন চালানোর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।  গেল দু বছরে কৃষি যন্ত্র আরও স্মার্ট হয়েছে এবং তাদের অপারেটরের বয়সও দিন দিন কমছে। 

 

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শ্যান সি প্রদেশে  মোট ২৮ হাজার ফসল কাটার যন্ত্র এখন কাজ করছে এবং অন্য প্রদেশ  থেকে আসা অপারেটরের জন্য সেবা কেন্দ্র, যন্ত্র মেরামত কেন্দ্র এবং তেল ও ত্রাণসহ নানা ক্ষেত্রে সাহায্য প্রদান করা হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় অপারেটরের জন্য রিফুয়েলিং গ্রিন চ্যানেল চালু আছে এবং তেলের দামও কম। আঞ্চলিক জরুরি ত্রাণ কেন্দ্রও যন্ত্রের মেরামত ও খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহসহ নানা ক্ষেত্রে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তা সময় মতো গ্রীষ্মকালীন খাদ্য সংগ্রহ শেষ করা নিশ্চিত করছে।