খবর প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:১৮ এএম
যুবরাজ চৌধুরী চট্টগ্রাম থেকে
১৯-১১-২০২২
পাঁচ মাস বেতন বকেয়া রেখে নোটিশ না দিয়ে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ছয় শতাধিক শ্রমিক। ফলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় কর্মজীবী মানুষকে। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত নগরীর বাকলিয়া এলাকায় ডিপস এ্যাপারেলস নামে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা শাহ আমানত সেতু এলাকার মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও নতুন চাক্তাই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। শ্রমিকরা জানান, মালিকপক্ষ যতক্ষণ বৈঠকে বসে বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেবে না ততক্ষণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন তারা। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও বাকলিয়া থানা পুলিশের তিনটি টিম শ্রমিকদের বুঝিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। পরে বিকেলে আগ্রাবাদের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের শিল্প পুলিশ, বিজিএমইএ প্রতিনিধি ও শ্রমিক ফেডারেশনের ত্রিপক্ষীয় সভায় আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বাসায় ফিরে যান শ্রমিকেরা।
জানা গেছে, নগরীর বাকলিয়া এলাকায় ডিপস এ্যাপারেলস লিমিটেডের ডিপস অ্যাপারেলস লিমিটেড ও ডিপস অ্যাপারেলস লিমিটেড এক্সটেনশন নামে দু’টি কারখানা রয়েছে। সেখানে ৬ শতাধিক শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্তে রীতিমত বিপাকে পড়েন শ্রমিকরা। কারখানা শ্রমিক নাজমুল বলেন, আমাদেরকে আগে থেকে কোনো কিছুই জানানো হয়নি। আজ (গতকাল) সকালে এসে নোটিশ দেখতে পাই। কারখানা নাকি মালিক বন্ধ করে দেবেন। আমাদের এখনো বেতন বকেয়া আছে। তার উপর অন্য কারখানাগুলোতে এখন লোক নিচ্ছে না। আমরা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম। জানি না কিভাবে ঘর সংসার সামলাবো। বাকলিয়া থানার ওসি আব্দুর রহিম বলেন, বর্তমানে পোশাক কারখানাটিতে কোনো কাজের অর্ডার নেই। আয় না থাকায় ৬শ শ্রমিকের বেতন চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন মালিক। তাই তারা কারখানা বন্ধ করে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের এএসপি মো. সেলিম নেওয়াজ বলেন, কার্যাদেশ না থাকায় কারখানা মালিক মো. জসিম উদ্দিন প্রতিষ্ঠান দুটি আপাতত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। এতে করে প্রায় ৬০০ শ্রমিক চাক্তাই এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের সদস্যরা সেখানে গিয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন যে মালিকপক্ষের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। পরে সমাধানের পথ বের করতে মালিকপক্ষের সাথে কথা বলেছি। শ্রমিকরা আশ্বস্ত হয়ে ঘরে ফিরে গেছেন।