মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা-গেদে বন্দরে সড়ক পথে ভারতীয় ভিসা চালুর দাবিতে গণ জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ( ৫ নভেম্বর ) বেলা সাড়ে ১১ টায় দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন চত্বরে এই গন জামায়েত অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের ২৫ টি জেলার জনগণের ভোগান্তি ও ভারত- বাংলাদেশ সম্পর্ক সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে দ্রুত দর্শনা-গেঁদে বন্দও চেকপোস্টে সড়ক পথে বাংলাদেশীদেও ভিসা প্রদানের দাবিতে গণজামায়েত অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রুস্তম আলী। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা আনোরুল ইসলাম বাবু, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ অমল, দর্শনা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক গোলাম ফারুক আরিফ, দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আওয়াল হোসেন, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান ধিরু, জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বাবু, চুয়াডাঙ্গা জেলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক কিশোর কুমার কুন্ডু, দর্শনা বন্দর কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, “করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দর্শনা-গেঁদে বন্দর চেকপোস্ট। এখন বাংলাদেশ খুলে দিয়েছে। অর্থাৎ ভারতীয়রা এ বন্দর দিয়ে পাসপোর্ট ভিসায় বাংলাদেশে ভ্রমন করছেন। অথচ এ রুটে বাংলাদেশীদেও সড়ক পথে ভিসা দিচ্ছে না ভারত সরকার। এটি বৈষম্য। বন্ধু প্রতীম ভারতের কাছ থেকে এ বৈষম্য কাম্য নয়। এ স্থলবন্দর রুট দিয়ে কম খরচে সহজে কলকাতা যাওয়া যায়। পক্ষান্তরে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সারাদিন হাজার হাজার পাসপোর্টধারীরা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভারত ভ্রমন করছেন। সেখানে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সবকিছু বিবেচনায় দ্রুত দর্শনা-গেঁদে বন্দরে সড়ক পথে ভারত সরকার বাংলাদশীদের সবধরনের ভিসা চালু করবে।”
প্রসঙ্গত মাত্র ৩৫ টাকায় দর্শনার বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গেঁদে বন্দর দিয়ে দুই থেকে আড়াই ঘন্টায় কলকাতা যাওয়া যায়। গেঁদে স্টেশন থেকে কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনের উদ্দেশ্যে ২৪ ঘন্টায় ১৮ টি ট্রেন ছেড়ে যায়। ভারত-বাংলাদেশ ভ্রমনকারীদের জন্য খুব জনপ্রিয় রুট এটি।