দুই দিনব্যাপী ৪৯তম কঠিন চীবর দানোৎসবে লাখো পুণ্যার্থী অংশ নিয়েছেন। এ উৎসবকে ঘিরে দুইদিন ধরে রাঙামাটি শহর উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। ধর্মীয় উৎসব হলেও পুরো আয়োজনটি পরিণত হয় পার্বত্যবাসীর মিলন মেলায়।এদিকে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের এ উৎসবেকে কেন্দ্র করে বিহার এলাকায় খাদ্যসামগ্রী, বস্ত্রসহ নানা সামগ্রীর দোকান-পসরা সাজিয়ে মেলা বসেছে।
আগামীকাল শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে অষ্ট পরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি পূণ্যার্থীদের কঠিন চীবর দান উৎসর্গের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ে মাসব্যাপী শুরু হওয়া দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটবে। রাঙামাটি রাজবন বিহারে ১৯৭৭ সালে এক স্বর্গীয় অনুভূতিতে বনভান্তে বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে সর্বপ্রথম কঠিন চীবর দান প্রচলন করেন। এর আগে রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার তিনটিলা বৌদ্ধ বিহারের ১৯৭৩ সালে এই কঠিন চীবর দান করা হয়। রাঙামাটি রাজবন বিহারে ৪৬ বছর ধরে এ নিয়মে কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে।