মশিউর আনন্দ প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:৩৫ পিএম
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। তাঁরা সবসময় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে টিকিয়ে রাখতে সংস্কৃতিকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আশা করছি, আগামীতে তারা এ বিষয়ে আরো সজাগ ও সচেতন থেকে দায়িত্ব পালন করে যাবে।প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে 'গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক পর্ষদ' আয়োজিত ১১ দিনব্যাপী (২১-৩১ অক্টোবর) 'গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২২' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মঞ্চসারথি আতাউর রহমান। প্রধান অতিথি বলেন, গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ সাংস্কৃতিক উৎসব।ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রীর বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এ উৎসবের যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, একইসঙ্গে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রেও এ উৎসবের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদ এর আহবায়ক বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এমপি, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ আলম সারোয়ার এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. আহকাম উল্লাহ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী রাগিব আহসান। স্বাগত বক্তব্য প্রদানসহ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদ এর সদস্য-সচিব আক্তারুজ্জামান। উল্লেখ্য, উৎসবে ভারত-বাংলাদেশের ১১১টি দল নাটক, যাত্রা, সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য ও পথনাটকে অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে 'থিয়েটার' প্রযোজিত 'পোহালে শর্বরী' মঞ্চনাটক পরিবেশিত হয়।