NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
জব্বারের বলীখেলায় আবারও চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ‘বাঘা’ শরীফ Bangladesh reaffirms commitment to fully Implement the CHT Peace Accord Kashmir Violence Conflict can be Solved Diplomatically or Needs a Retaliation Plan Against Pakistan ব্রেন স্ট্রোক পরবর্তী সময়ে সেরে ওঠার যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মত  বিনিময় নিজেকে রাজা-বাদশাহ ভাবছেন ট্রাম্প! ‘দাগি’ দেখতে কয়েদির বেশে সিনেমা হলে শতাধিক নিশো ভক্ত Attorney General James Wins Case Against Google for Monopolies in Digital Advertising নিউইয়র্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংবাদ সম্মেলন নানা অভিযোগ উত্থাপন : বাংলাদেশ রেমিট্যান্স মেলা  বয়কটের আহবান নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় পুলিশের গুলিতে মানসিকভাবে অসুস্থ  এক ব্যক্তির মৃত্যু
Logo
logo

আমার পুরষ্কার প্রাপ্তি  এবং ধন্যবাদ বাংলা একাডেমি---জসিম মল্লিক


খবর   প্রকাশিত:  ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:০৯ পিএম

আমার পুরষ্কার প্রাপ্তি  এবং ধন্যবাদ বাংলা একাডেমি---জসিম মল্লিক

আমার পুরষ্কার প্রাপ্তি  এবং ধন্যবাদ বাংলা একাডেমি
জসিম মল্লিক


বাংলা একাডেমি পরিচালিত সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরষ্কার ২০২২ এর জন্য আমাকে  এবং মার্কিন লেখক ক্যারোলিন রাইটকে মনোনিত করা হয়েছে। সাহিত্যে সামগ্রিক স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে। এই স্বীকৃতি আমার জন্য যে কত বড় ঘটনা সেটা আমার চেয়ে আর কেউ বুঝবে না। এরচেয় বড় প্রাপ্তি আর নাই আমার জীবনে। আমি শৈশবকাল থেকে শুধু লেখকই হতে চেয়েছি। অনেক টানাপোড়েন আর লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমি বেড়ে উঠেছি। না খেয়ে সেই পয়সা দিয়ে পত্রিকা কিনেছি, এনভেলাপ কিনেছি পত্রিকায় লেখা পাঠানোর জন্য। বড় বড় লেখকদের বই পড়ে সবসময় ভাবতাম কিভাবে মানুষ লেখে! কিভাবে চরিত্রগুলো হাসে, কাঁদে, জীবন্ত হয়ে উঠে! আজও এটা একটা বিস্ময় আমার কাছে। আজও লেখকরা আমাকে কাছে এক স্বপ্নের জগতের মানুষ। আমি জানতাম না কখনও  আমি লিখতে পারব, আমার লেখা পত্রিকায় প্রকাশিত হবে, কখনও জানতাম না আমার বই কেউ প্রকাশ করবে, কখনও জানতাম না আমার বই পাঠকরা কিনবে বা আমাকে ভালবাসা দেবে। আর  লেখালেখির জন্য পুরষ্কার পাওয়া ছিল চিন্তারও বাইরে।

বাংলা একাডেমি নামটি আমার কাছে বিরাট আবেগের। প্রতি বছর বিদেশ থেকে একুশের গ্রন্থমেলায় ছুটে যাই আমি। এজন্য আমি কতবার চাকরিও হারিয়েছি। যখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখন থেকেই বিচিত্রার জন্য বইমেলার রিপোর্ট করতাম। সেই থেকে বাংলা একাডেমি আমার অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে। ১৯৯৩ সালে প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার থেকে বইমেলায় উপস্থিত থাকায় ছেদ পড়েনি। আমি ঢাকা এসেছিলামও লেখালেখি করব এই আশা নিয়ে। মা অনেক কান্না কাটি করেছিলেন, বলেছিলেন শুধু গল্পের বই পড়ে, বাপ মরা ছেলে লেখাপড়া না শিখলে খাবে কি! বাড়ির অনেকেই আমি গল্পের বই পড়ি বলে মনে করত আমি নষ্ট হয়ে গেছি। কিন্তু মা কখনও আশা ছাড়েননি। মা পড়তে পারতেন না। একদিন বললেন, তুমি নাকি লিখ! কি লিখ! আমাকে পড়ে শুনাও। আমার মায়ের মতো স্ত্রী জেসমিনও একদিন জিজ্ঞেস করল, তুমি কি লিখ, ততদিনে আমার প্রায় তিরিশটি বই প্রকাশিত হয়ে গেছে। জেসমিন এখন ঢাকায়। যখন তাঁকে খবরটা বললাম সে আনন্দে কেঁদে ফেলল!

আমার এই দুর্গম পথ চলায় আমার যে কয়জন বন্ধু লেখালেখির জন্য আমাকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন, আমার পাশে থেকেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ আমার প্রকাশক ও পাঠকদের। পুরষ্কারের সাথে সংশ্লিষ্ট যারা আমার নাম প্রস্তাব করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ। বিশেষকরে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিস্বত্তার কবি শ্রদ্ধেয় মুহম্মদ নূরুল হুদার প্রতি কৃতজ্ঞতা আমার নাম বিবেচনা করার জন্য।
টরন্টো ১১ অক্টোবর ২০২২