NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
জব্বারের বলীখেলায় আবারও চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ‘বাঘা’ শরীফ Bangladesh reaffirms commitment to fully Implement the CHT Peace Accord Kashmir Violence Conflict can be Solved Diplomatically or Needs a Retaliation Plan Against Pakistan ব্রেন স্ট্রোক পরবর্তী সময়ে সেরে ওঠার যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মত  বিনিময় নিজেকে রাজা-বাদশাহ ভাবছেন ট্রাম্প! ‘দাগি’ দেখতে কয়েদির বেশে সিনেমা হলে শতাধিক নিশো ভক্ত Attorney General James Wins Case Against Google for Monopolies in Digital Advertising নিউইয়র্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংবাদ সম্মেলন নানা অভিযোগ উত্থাপন : বাংলাদেশ রেমিট্যান্স মেলা  বয়কটের আহবান নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় পুলিশের গুলিতে মানসিকভাবে অসুস্থ  এক ব্যক্তির মৃত্যু
Logo
logo

ভালবাসার একাল সেকাল : কাজী মশহুরুল হুদা


কাজী মশহুরুল হুদা প্রকাশিত:  ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০০ এএম

ভালবাসার একাল সেকাল :  কাজী মশহুরুল হুদা

 

কিছু কথা। এ কোন কবিতা বা ছোট গল্প নয়। উপন্যাস বা রম্য রচনাও নয়। বাস্তবতার কথা, কোন অস্বাভাবিক কিছু নয়। এটি ঘটনা মাত্র। মানুষের জীবনেই ঘটে। যেমন : ভালবাসার মধুর সম্পর্ক মানুষের জীবনে হানিমুন স্টেজে সৃষ্টি হয়। যে স্তর অন্য জগতে বিচরণের মত। যেখানে অনুভূতি থাকে প্রবল। ন্যায় অন্যায়ের কোন ধরাবাধা নিয়ম নেই। এই স্তরে নির্মিত হয় ভালবাসার স্রোত। এ যেনো স্রোতহীন নদী। কেবলই ঝরণাধারা। কথা না বলে থাকার মুহুর্ত দেখা না পেলে ক্ষনিকের স্পর্শ বা যোগাযোগ রক্ষা করতে না পারলে মন উতলা হয়ে ওঠে। ভালবাসার এই স্টেজ সকলেরই মাঝে অনুভূত হয়। ক্রমাগত সময়ের পট পরিবর্তন করে। ভালবাসা আরও গভীর ও গাঢ় হয়। সাত সমুদ্র বাঁধ ভেঙ্গে ফেলে। ভালবাসা কে কেন্দ্র করে প্রেমিক প্রেমিকার মাঝে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। প্রাণের টান। বয় ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড থেকে সম্পর্কের ধাপ ক্রমাগত এগুতে থাকে।

কোন কোন ক্ষেত্রে বিরহের বেড়াজালে আটকে যায়। আবার কেউ প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে এগিয়ে চলে। প্রতিকূলতার মাঝে চরম প্রত্যাশিত আশা আকাঙ্খা হল একান্ত নিজের করে একে অপরকে কাছে পাওয়া। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া। কিন্তু এখানে যাত্রার শেষ হয়। শুরু হয় পরবর্তী স্তরের যাত্রা। কেন যেনো অতীত স্তরের সেই আবেগ স্রোতধারা, ঝরণায় প্রবাহ হারিয়ে যায়। সব কিছু পাওয়ার মাঝে সেই আবেগের ভালবাসা খুঁজে পায়া না দুজন দুজনের মাঝে। বাস্তবতার কঠিন সমুদ্রে নদীর মিষ্টি পানি নোনা হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও স্বাদ খুঁজে পায় না তারা। কঠিন বাস্তবতায় দুজন দুজনের মাঝে দূরত্বের জন্ম নেয়। আইনের বাধনে যদিও আবদ্ধ থাকে কিন্তু সেই মিষ্টি মধুর সম্পর্কের ভালবাসা থাকে না। তখন আর আগের মত একে অপরের কথা সহ্য করতে পারে না। হানিমুল স্টেজ হারিয়ে যায়। আগের মত টেলিফোনে কথা হয় না। কথা যেন বুলেটের মত। মুখ ফসকে বের হলে তা আর ভেতরে ফেরানো যায় না। ভালবাসার টান ঝগড়ার স্তরে পৌঁছে যায়। কথা বলার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। অহংকারি মন কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। একে অপরে ভাবতে থাকে এ আবার কোন সম্পর্ক?

কোথায় গেল সেই হানিমুন স্টেজ? ফেরাতে পারে না আর। কথা ভাইবারে অথবা ফেসবুকের ইনবক্সে বন্দী থাকে। সেখানেও লেখার সীমাবদ্ধতা। কেন এমন হলো?

কেন ভালবাসা আজ তিতো?

কপূরের মত ভালবাসা কেনো উবে যায়?

এ প্রশ্নগুলো কেউ একজন ভাবে। একজন আরেকজনকে সেই অন্তদৃষ্টি দিয়ে দেখতে পায় না কারণ জীবন এত কাছে অবস্থান করলে, সকল অনুভূতির অপমৃত্যু ঘটে। কেউ কেউ ভালবাসার প্রথমাবস্থায় ফিরে যেতে চায়। কিন্তু এতটা বন্ধুর পথ অতিক্রম করার পর হাপিয়ে ওঠে মানুষ। ভয় পায় সামনে এগুতে। খুঁজে পেতে চায় হারিয়ে যাওয়া সেই দিনগুলো। কিন্তু হায় পথ হারা পাখি পথের ঠিকানা আর খুঁজে পায় না।