সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স বরোর এস্টোরিয়ায় পুলিশের গুলিতে ‘অস্বাভাবিক আচরণ’ করা মানসিকভাবে অসুস্থ এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টা ২০ মিনিটে স্থানীয় ৩১ স্ট্রীট ও ৩০ এভিনিউর এন ও ডবিøউ টেন সাবওয়ে স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে। খবর ইউএনএ’র। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাদ দিয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিটি একটি ১৪ ইঞ্চি ছুরি হাতে নিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলো। এসময় ৯১১-এর মাধ্যমে পথচারীদের তিনটি ফোন পেয়ে ১১৪ প্রিসিঙ্কটের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ ব্যক্তিকে ছুরিটি ফেলে দেয়ার নির্দেশ দেয়। তাতে ব্যক্তিটি সাড়া না দেওয়ায় পুলিশ টেজার ব্যবহার করে এবং ব্যবহৃত একাধিক টেজার যা অকার্যকর ছিল বলে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের প্রধান জন চেল সংবাদ সম্মেলনে জানান। পুলিশ প্রধান বলেন, এক পর্যায়ে লোকটি পুলিশ অফিসারদের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তারা আত্মরক্ষা করতে বাধ্য হয়ে গুলি করে। মারাত্মক গুলিবিদ্ধ লোকটিকে সাথে সাথে এলমহার্স্ট হাসপাতাল সেন্টারে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সকাল সাড়ে ৮টায় মৃত ঘোষণা করে। পুলিশ জানিয়েছে, ৬১ বছর বয়সী এশিয়ান পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত ওই ব্যক্তির নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের সাথে মানসিক ব্যাধি সম্পর্কিত দুটি ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় কোন পুলিশ আহত হয়নি। এনওয়াইপিডি’র তদন্ত দল ঘটনার তদন্ত করছে। এদিকে এস্টোরিয়ায় পুলিশের গুলিতে মানসিকভাবে অসুস্থ এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল সদস্য টিফানি কাবান, স্টেট সিনেটর ক্রিস্টেন গঞ্জালেজ, স্টেট অ্যাসেম্বলি সদস্য জোহরান মামদানি ও জেসিকা গঞ্জালেজ-রোজাস এক যৌথ বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমাদের শহরের মানসিক স্বাস্থ্য অবকাঠামোতে স্পষ্ট ফাঁক রয়েছে।
আমাদের শহরের জরুরি প্রতিক্রিয়া অবকাঠামোতে স্পষ্ট ফাঁক রয়েছে, বিশেষ করে যখন এটি মানসিক রোগে আক্রান্ত নিউইয়র্কবাসীদের সাথে সম্পর্কিত। এ ঘটনায় আমরা বিপর্যস্ত এবং আমাদের হৃদয় ভেঙে পড়েছে। এটি প্রকৃত জননিরাপত্তা নয়।’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশী অধ্যুষিত নিউইয়র্ক সিটির ওজনপার্কে ইতিপূর্বে মানসিকভাবে অসুস্থ এক বাংলাদেশী যুবক তার নিজ বাসায় মা ও ভায়ের সামনে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুবরণ করে। এই ঘটনাকে হত্যাকান্ড দাবী করে দায়ের করা মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। ঘটনাটি কমিউনিটিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।