শিগগিরই চালু হবে বগুড়া বিমানবন্দর
Abdur Razzak
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম

এম আব্দুর রাজ্জাক উত্তরবঙ্গ থেকে :
মাঠের কাজে খুব বেশি অগ্রগতি চোখে না পড়লেও; বগুড়া বিমানবন্দর চালু করতে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এমনটাই জানিয়েছেন বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু। শিল্প-বাণিজ্য-চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন খাতকে উন্নত করতে বেসামরিক বিমান চালুর বিকল্প নেই, বলছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতারা। জমি অধিগ্রহণ শুরু না হলেও রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ প্রায় শেষ। সরেজমিনের এমন চিত্র স্বস্তি যোগাবে বগুড়াবাসীকে।
ভৌগলিক অবস্থান আর বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনায় ১৯৮৭ সালে বগুড়ায় বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়টি প্রথমবার আসে আলোচনার টেবিলে। ৯০ এর গোড়াতেই ‘শর্ট টেকঅফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং’য়ের উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য ২২ কোটি টাকার নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের পর বগুড়ার এরুলিয়া এলাকায় ১১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রকল্পের আওতায় ৬০০ ফুট প্রস্থের ৫ হাজার ফুট লম্বা রানওয়েসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মিত হয়।
২০০০ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আওতায় বিমানের ফ্লাইট চালুর কথা থাকলেও ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তা বিমানবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে আবারও বেসরকারি বিমান চালুর উদ্যোগ নেয় আওয়ামীলীগ সরকার। তবে অজ্ঞাত কারণে আলোর মুখ দেখছে না উত্তরের মানুষের বহুলকাঙ্খিত এ বিমানবন্দর।
অর্থনীতি, শিল্প-বাণিজ্য, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন খাতকে পরবর্তী ধাপে উন্নীত করতে দ্রুতই ফ্লাইট চালুর দাবী জানান সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতারা।
এ বিষয়ে বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি মাফুজুল ইসলাম রাজ বলেন, বগুড়ায় বাণিজ্যিক বিমান চালু হলে এটি সরকারের লাভজনক একটি খাত হবে। এখান থেকে একটি ফ্লাইটের একটি আসনও ফাঁকা যাবে না। আর বগুড়া থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রচুর পরিমাণ পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়। বিমানবন্দর চালু হলে এখানে শিল্প-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে।
সর্বশেষ গেলো বছর জাতীয় সংসদে বগুড়া বিমানবন্দরকে আবারও আলোচনায় আনেন বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু। যার পরিপ্রেক্ষিতে নভেম্বরে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষক দল এসে সম্ভাব্যতা যাচাই করে ইতিবাচক প্রতিবেদন দিয়েছে। যেখানে রানওয়ে ৩ হাজার ফুট বাড়ানোর পাশাপাশি, বিমানবন্দরের জন্য আরও ১০০ একর জমি অধিগ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। নিয়মিত কাজের অগ্রগতির খোঁজ খবর রাখছেন এই জনপ্রতিনিধি।
বগুড়া ৭ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বলেন, বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি নিয়মিত যোগাযোগ করছি। বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়েও আমিসহ কয়েকজন এমপি খোঁজ রাখছি। কাজের অগ্রগতি হচ্ছে। আশা করা যায় দ্রুতই এই বিমানবন্দর চালু হবে।
বর্তমানে বগুড়া বিমানবন্দরে ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টরস স্কুল পরিচালনা করছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।