আকবর হায়দার কিরণ প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:৪২ এএম
নারী হয়ে জন্মেছি!
হতেও চাইনা পুরুষ, যদি টিয়া পাখি হতাম!
তাহলে, প্রভুর শেখানো বুলিতেই কথা বলতাম-
উচ্চারণ করে, অর্থ না বুঝে অনর্গল,
অর্পিত ভার বইতাম জীবন করে বিফল।
ভাবতাম হয়েছে বুঝি সার্থক যাপিত এই জীবন,
কোন অতৃপ্তির উঠত-ই না কোন প্রশ্ন অনুক্ষণ।
থাকতো না মনে বিড়ম্বনা, অহরহ দংশন-
আত্ন মর্যাদার থাকত-ই না কোন অস্তিত্ব লেহন।
আমি হতাম মহা সুখে আত্নহারা!
স্বকীয়তা বিহীন, সলমা-জরি জড়া-
বারবি ডলের দেহের রেখা যেমন নিরেট বিবেকহীন।
মিছে জৌলুসের নারীদেহে পতিত আত্মার ঋণ!
প্রভুর নির্ধারিত গন্ডিতে হতাম আমি নিরুদ্ধ,
যত বাধা নিশেধাজ্ঞা মনে হতো সব শুদ্ধ।
বড় সুখে সংস্কারের অয়স পিঞ্জর,
হতো আমার সব আকাঙ্ক্ষার বন্দর।
মাথা নুইয়ে মেনে নিত- করতো না দম্ভ যুদ্ধ,
থাকতো না বিলাপ, মন হতো না কখনোও ক্ষুদ্ধ।
আমার এ নারী জনমে শুধু করলাম আপত্তি,
চেয়ে সমাজের সংস্কার- নারী মুক্তির নিষ্পত্তি।
তাহলে, জীবনে থাকতো না হাপিত্যেশ,
হতাম না সংস্কার গুহা-অন্দরে নিঃশেষ।
আমি নারী! হুকুমের দাসী নই! টিয়া পাখিও নই!
নিজেকে বাঁচাতে কারো জুলুম মানতে রাজী নই।