NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
জব্বারের বলীখেলায় আবারও চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ‘বাঘা’ শরীফ Bangladesh reaffirms commitment to fully Implement the CHT Peace Accord Kashmir Violence Conflict can be Solved Diplomatically or Needs a Retaliation Plan Against Pakistan ব্রেন স্ট্রোক পরবর্তী সময়ে সেরে ওঠার যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মত  বিনিময় নিজেকে রাজা-বাদশাহ ভাবছেন ট্রাম্প! ‘দাগি’ দেখতে কয়েদির বেশে সিনেমা হলে শতাধিক নিশো ভক্ত Attorney General James Wins Case Against Google for Monopolies in Digital Advertising নিউইয়র্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংবাদ সম্মেলন নানা অভিযোগ উত্থাপন : বাংলাদেশ রেমিট্যান্স মেলা  বয়কটের আহবান নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় পুলিশের গুলিতে মানসিকভাবে অসুস্থ  এক ব্যক্তির মৃত্যু
Logo
logo

নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত


আকবর হায়দার কিরণ   প্রকাশিত:  ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:৫২ এএম

নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল আজ  শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ কনস্যুলেট জেনারেলে যথাযোগ্য মর্যাদায় “মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫” উদযাপন করে। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন পেশাজীবি, সাংবাদিক, নতুন প্রজন্ম ও কমিউনিটি সদস্যসহ বিপুল সংখ্যক দেশী-বিদেশী অতিথি উপস্থিত ছিলেন।   দিবসটি উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও মাননীয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা  কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে ৫২’র সকল ভাষা শহিদ, ৭১-এর সকল শহিদ ও ২০২৪ এর জুলাই-আগষ্টে সকল শহিদের স্মরণে ও সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন  করা হয়। তাঁদের  আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে “ইকোনোমিস্ট‘স কান্ট্রি অব দ্যা ইয়ার ২০২৪” ও  ”জুলাই অনির্বাণ” নামে দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।   কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হুদা তাঁর স্বাগত বক্তব্যে “মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫”  এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মূলত: ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের  ভিত্তি প্রোথিত হয় যা পূর্ণতা পায় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। তিনি ৫২’র মহান ভাষা শহিদ  সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, শফিউরসহ সকল ভাষা শহিদ, ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহিদ, শহিদ বুদ্ধিজীবী এবং শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও  ২০২৪ এর জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে  সকল শহিদের  প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং জুলাই আগষ্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন তাদের আশু সুস্থ্যতা কামনা করেন। তিনি বলেন ভাষা  একটি একান্ত মানবিক বিষয় যা মানুষের অস্তিত্বের প্রায় সমার্থক। এটি সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত যে একজন ব্যক্তির বোধগত, বুদ্ধিবৃত্তিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক দক্ষতার সঠিক পুষ্টি তার মাতৃভাষার মাধ্যমে বিকশিত হয়।  তাই নিজের মাতৃভাষা লেখা ও ব্যবহার করার অধিকার প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য অপরিহার্য।  ২১শে ফেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মূল চেতনা হল পৃথিবীর সকল ভাষা ও সংস্কৃতির নিজস্বতা রক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে, যা জাতি হিসেবে আমাদেরকে গৌরবান্বিত করেছে। এ বছর ’আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর রজতজয়ন্তী। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসী ভাই-বোনেরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলার চর্চা এবং প্রসারে, বিশেষতঃ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে, যে চমৎকার ভূমিকা পালন করছেন, তিনি তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। কনসাল জেনারেল আরো বলেন যে, ২০২৪ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় সংযোজন করেছে। ২০২৪ সালের ফ্যসিবাদ বিরোধী ও বৈষম্য বিরোধী গণ-অভ্যুথান বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা মেরামত তথা সংস্কারের এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশের  অন্তবর্তীকালীন সরকার যে সংস্কার কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের জন্য তিনি সকলের  ঐকান্তিক সহযোগীতা কামনা করেন। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী ভাই-বোনদের অধিকতর অবদান রাখার জন্য তিনি আহবান জানান।   উন্মুক্ত আলোচনায় নিউইয়র্কস্থ বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটি শিল্পীদের পরিবেশনায়  একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয় যা দর্শকদের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদেরকে বিভিন্ন প্রকার ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবার দ্বারা আপ্যায়নের  মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।  উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে  কনসাল জেনারেল মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার  উদ্বোধন করেন এবং বাংলাদেশ সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে একুশের প্রথম প্রহরে অস্থায়ী ভিত্তিতে নির্মিত শহিদ মিনারে  শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।