NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
জব্বারের বলীখেলায় আবারও চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ‘বাঘা’ শরীফ Bangladesh reaffirms commitment to fully Implement the CHT Peace Accord Kashmir Violence Conflict can be Solved Diplomatically or Needs a Retaliation Plan Against Pakistan ব্রেন স্ট্রোক পরবর্তী সময়ে সেরে ওঠার যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মত  বিনিময় নিজেকে রাজা-বাদশাহ ভাবছেন ট্রাম্প! ‘দাগি’ দেখতে কয়েদির বেশে সিনেমা হলে শতাধিক নিশো ভক্ত Attorney General James Wins Case Against Google for Monopolies in Digital Advertising নিউইয়র্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংবাদ সম্মেলন নানা অভিযোগ উত্থাপন : বাংলাদেশ রেমিট্যান্স মেলা  বয়কটের আহবান নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় পুলিশের গুলিতে মানসিকভাবে অসুস্থ  এক ব্যক্তির মৃত্যু
Logo
logo

ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বাংলাদেশের ভয় পাওয়ার কিছু নেই , বরং সুযোগের সদ্ব্যবহার করা উচিত


Akbar Haider Kiron   প্রকাশিত:  ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:৩৫ এএম

ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বাংলাদেশের ভয় পাওয়ার কিছু নেই , বরং সুযোগের সদ্ব্যবহার করা উচিত

জন ড্যানিলোভিজ 

জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তার শপথ গ্রহণের পরদিন আমি যখন সকালে ঘুম থেকে উঠি তখন দেখি- না,  বিশেষ কিছু পরিবর্তন হয়নি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও  তার সহকর্মীরা সাধারণ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের সংস্কারের জন্য তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথারীতি বিচারের হাত থেকে পালাতে নয়াদিল্লিতে রয়েছেন। এই সমস্ত কিছু দেখার পরে আমি অবাক হয়েছিলাম যে, কীভাবে অনেকে ভবিষ্যদ্বাণী  করেছিল যে ট্রাম্প অফিসে আসার পরে সবকিছু বদলে যাবে।   

শপথ গ্রহণের পর ট্রাম্প প্রশাসনের বৈদেশিক নীতির অগ্রাধিকারের কিছু রূপরেখা ফোকাসে এসেছে। প্রত্যাশিতভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকার সীমান্তে সঙ্কট এবং অভিবাসনের বৃহত্তর সমস্যা মোকাবেলায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি বাণিজ্য সমস্যা এবং জ্বালানি নিরাপত্তা মোকাবেলার ওপর জোর দিয়েছেন। সেইসঙ্গে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাম্পের কাছে কম গুরুত্ব পেয়েছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।   সেক্রেটারি মার্কো রুবিও স্টেট ডিপার্টমেন্টে পা রেখে পররাষ্ট্র নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা নেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কোয়াডের  (যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ভারত)   বিদেশ মন্ত্রীদের আমন্ত্রণ এবং তাদের সাথে মার্কো রুবিওর যৌথ ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের গুরুত্বের ওপর ইঙ্গিত দেয়  ওয়াশিংটনে যখন এই সব ঘটছিল তখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগদান করছিলেন।

সেখানে তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং বেশ কয়েকটি প্যানেল ও বিষয়ভিত্তিক ইভেন্টে অংশ নেন।  দাভোসে ইউনূসের উপস্থিতি তার বৈশ্বিক সেলিব্রেটি ইমেজ এবং সেইসাথে বাংলাদেশের সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করার জন্য একত্রিত   আন্তর্জাতিক জোটের আকাঙ্খার ওপর জোর দিয়েছিল। নিঃসন্দেহে, দাভোসের বেশিরভাগ সরকারি এবং ব্যক্তিগত আলোচনা ট্রাম্পের অভিষেককে কেন্দ্র করে ছিল কারণ অংশগ্রহণকারীরা বিবেচনা করার চেষ্টা করেছিলেন কীভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে সর্বোত্তমভাবে সম্পৃক্ত হওয়া যায়। কোয়াড পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যারা বাংলাদেশের জন্য একটি ‘ভালো ভবিষ্যত’ দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন এবং যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন, তাদের সেই বক্তব্যের ওপর মনোনিবেশ করা উচিত।   বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট এবং অস্ট্রেলিয়া,ভারত এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আজ ওয়াশিংটন ডিসিতে মিলিত হয়েছি একটি উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিককে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে, আমাদের অঙ্গীকার পুনর্নিশ্চিত করতে। যাতে যেখানে আইন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা সমুন্নত রাখা যায়।’  

এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক সংস্কার আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, কারণ এটি কোয়াডের এজেন্ডার ভিত্তি হিসেবে আবির্ভুত হতে পারে।বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে যা কিছু করছে তা কোয়াড পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বারা বর্ণিত লক্ষ্যগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আগামী সপ্তাহ এবং মাসগুলোতে, দক্ষিণ এশিয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সম্পর্কে আরও বিশদ জানা  যাবে। বিশেষত যখন প্রধান রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্তদের নাম প্রকাশ্যে আসবে এবং সিনেটে তা নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে।সময়ের সাথে সাথে ট্রাম্প, রুবিও এবং তাদের টিম বাংলাদেশের দিকে তাদের মনোযোগ দেবে এবং অন্তর্বর্তী সরকার ও  অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে জড়িত হবে।   এই প্রেক্ষিতে আমি মনে করি, ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বাংলাদেশের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। পরিবর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্যদের সাথে অংশীদারিত্বে একটি ভালো ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য এই ঐতিহাসিক সুযোগের সদ্ব্যবহার করা উচিত।  

  -লেখক জন ড্যানিলোভিজ একজন স্বাধীন বৈদেশিক নীতি বিশ্লেষক এবং অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র মার্কিন ফরেন সার্ভিস অফিসার।