আকবর হায়দার কিরণ প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:৫০ এএম
ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে এবার দেশের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা অবৈধ অভিবাসীদের খোঁজে নিউইয়র্ক এবং নিউ জার্সির গুরুদ্বারগুলিতে অনুসন্ধান শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বাইডেন যুগের নীতি প্রত্যাহার করেছে। যা উপাসনা স্থানসহ ‘সংবেদনশীল’ এলাকায় বা কাছাকাছি আইন প্রয়োগকে বাধা দেয়। প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের কর্মকর্তারা নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সির গুরুদ্বারগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করছে। কারণ অবৈধ এবং নথিভুক্ত অভিবাসীদের সাথে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংযোগ রয়েছে বলে মনে করছে তারা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব বেঞ্জামিন হাফম্যান একটি নির্দেশনায়, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এবং কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (আইসিই) বাইডেন প্রশাসনের নির্দেশিকা প্রত্যাহার করেছেন। আগে ধর্মীয় ও ‘সংবেদনশীল’ এলাকাগুলিতে ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টম্স এনফোর্সমেন্ট’ (আইসিই) এবং ‘কাস্টম্স অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন’ (সিবিপি)- এর প্রবেশের কোনও এক্তিয়ার ছিল না। সেই নীতি বদলে এখন থেকে সিবিপি এবং আইসিই-কে ধর্মস্থানগুলিতে তল্লাশি অভিযান চালানোয় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এর পরেই মুখ খুলেছে নানা শিখ সংগঠন। শিখ আমেরিকান লিগ্যাল ডিফেন্স অ্যান্ড এডুকেশন ফান্ড (এসএএলডিএফ)-এর নির্বাহী কর্তা কিরণ কৌর গিল বলেন, ‘‘ডিএইচএস-র এই নতুন নিয়ম অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যে ভাবে গুরুদ্বারের মতো পবিত্র ধর্মীয় স্থানগুলিকে নিশানা করা হচ্ছে, তাতে আমরা নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত। এতে ধর্মস্থানের পবিত্রতাও নষ্ট হচ্ছে।