NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
জব্বারের বলীখেলায় আবারও চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ‘বাঘা’ শরীফ Bangladesh reaffirms commitment to fully Implement the CHT Peace Accord Kashmir Violence Conflict can be Solved Diplomatically or Needs a Retaliation Plan Against Pakistan ব্রেন স্ট্রোক পরবর্তী সময়ে সেরে ওঠার যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মত  বিনিময় নিজেকে রাজা-বাদশাহ ভাবছেন ট্রাম্প! ‘দাগি’ দেখতে কয়েদির বেশে সিনেমা হলে শতাধিক নিশো ভক্ত Attorney General James Wins Case Against Google for Monopolies in Digital Advertising নিউইয়র্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংবাদ সম্মেলন নানা অভিযোগ উত্থাপন : বাংলাদেশ রেমিট্যান্স মেলা  বয়কটের আহবান নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় পুলিশের গুলিতে মানসিকভাবে অসুস্থ  এক ব্যক্তির মৃত্যু
Logo
logo
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সি চিন পিং ও তাঁর শিক্ষকদের গল্প


রুবি, সিএমজি প্রকাশিত:  ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম

সি চিন পিং ও তাঁর শিক্ষকদের গল্প
‘আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন এমন শিক্ষক অনেক বেশি। এখন পর্যন্ত আমি তাঁদের মনে রেখেছি। তাঁরা আমাকে জ্ঞান দিয়েছেন এবং মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তাঁদের কাছে থেকে আমি ব্যাপক লাভবান হয়েছি।’ চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর শিক্ষকদের স্মরণ করে এ কথাগুলো বলেছেন। গত দশ বছরের বেশি সময়ে সি চিন পিং বেশ কয়েক বার ক্যাম্পাস ও ক্লাসরুমে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন। তিনি বলেন, শত বছরের পরিকল্পনার ভিত্তি শিক্ষা। শিক্ষার পরিকল্পনার ভিত্তি শিক্ষক। শিক্ষাকে বরাবরই অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে চীন। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং’র চীনা ভাষার শিক্ষক ছিলেন ছেন ছিউ ইং। সে সময় সি চিন পিং’র কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং শিক্ষককে খুব সম্মান করতেন এবং শিক্ষার ওপর বেশ গুরুত্বারোপ করতেন, যা ভোলা যায় না। তিনি বলেন, সে সময় তার ক্লাসে সি চিন পিং’র বয়স কম ছিল। একদিন থাং রাজবংশের কবি তুফু’র কবিতা শিক্ষাদান চলে। তু ফু’র সে কবিতায় জনসাধারণের প্রতি অনেক মায়া ও সমবেদনা জানানো হয়। ক্লাস শেষে সি চিন পিং তাঁর কাছে গিয়ে তু ফুকে পছন্দের কথা ব্যক্ত করেন এবং তাঁর আরও কবিতা সম্পর্কে জানতে চান। পরিশ্রমী তরুণ সি চিন পিং তাঁর মনে খুব ছাপ ফেলেছিলেন। ১৯৯৯ সালে অবসরপ্রাপ্ত ছেন ছিউ ইং একটি দশাধিক হাজার শব্দের রূপকথা লিখেছেন। তিনি সেই নতুন বই সি চিন পিংকে পাঠিয়েছেন। তৎকালীন ফু চিয়ান প্রদেশের সিপিসির সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত গভর্নর ছিলেন সি চিন পিং। তিনি দেরি না করে শিগগিরই ছেনকে জবাব দেন। ছেন ছিউ ইং স্মরণ করে বলেন, চিঠির জবাবে সি চিন পিং শিক্ষককে সম্মান এবং শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপের মধ্য দিয়ে শিক্ষকের প্রতি শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। ছ’বছর আগে ২০১৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তার মাতৃ স্কুল বেইজিং পা ই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দেখতে যান। এদিন তিনি তাঁর বেশ কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলেন। একজন প্রবীণ শিক্ষক সি চিন পিংকে বলেন, “আপনি মানুষের জন্য সুখ এনেছেন।” সি চিন পিং বলেন, “শিক্ষক আমাদের লালন করেছেন।” শিক্ষক ছেন জোং হান একসময় সি চিন পিং’র ভাইস-হেডটিচার ছিলেন। ২০১৬ সালে বেইজিংয়ে সি চিন পিং’র সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি বলেন, “আপনি দেশ ভালোভাবে প্রশাসন করবেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের আরও ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করবেন বলে আমি আশা করি।“ সি চিন পিং বলেন, “আপনার আশা আমি মনে রাখবো।“ ছেন জোং হান প্রেসিডেন্ট সি’র এ কথায় মুগ্ধ হয়ে বলেন, “তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়া সত্ত্বেও আমরা যারা তাঁকে শিখিয়েছি, তিনি তাঁদের সবসময় মনে রাখেন। তিনি একজন কৃতজ্ঞতা অনুরাগী।“ পা ই স্কুল থেকে স্নাতকের পর সি চিন পিং সায়ান সি প্রদেশের সি আন শহরের লিয়াং চিয়া হ্য’তে কাজ করতে যান। সে সময় থেকে কয়েক দশক তিনি সবসময় তার মাতৃস্কুল ও শিক্ষকদের মনে রাখেন। প্রতিবার যখন বেইজিং আসেন, তখন শিক্ষকদের দেখতে যান। সি চিন পিং বার বার বলেছেন, শিক্ষকতাকে সমাজের সবচেয়ে সম্মানিত ও ঈর্ষনীয় পেশায় পরিণত করা উচিত এবং পুরো সমাজে শিক্ষককে সম্মান এবং শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করার সুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সূত্র: সিএমজি