NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, জুন ১৫, ২০২৫ | ১ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
" ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন উত্তেজনা চরমে বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী, ডেমোক্র্যাটদের ক্ষোভ
Logo
logo

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ চলে গেলেন কিন্তু রেখে গেলেন এক বিশাল স্মৃতিময় জীবন


Abdur Razzak প্রকাশিত:  ১৫ জুন, ২০২৫, ০২:১৩ এএম

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ চলে গেলেন কিন্তু রেখে গেলেন এক বিশাল স্মৃতিময় জীবন
 

এম আব্দুর রাজ্জাক উত্তরবঙ্গ থেকে :


রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বাংলাদেশে মোট এসেছিলেন দুবার। প্রথমবার ১৯৬১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকায় আর দ্বিতীয় বার স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৮৩ সালের নভেম্বর মাসে।
প্রথমবারের সফরে কেবল ঢাকা আর চট্টগ্রাম ভ্রমণ করেছিলেন রানী। ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬১ সালে রয়েল এয়ার ফোর্সের বিমানে করে ঢাকায় নামেন রানী। তখন রানীর জন্য বর্তমানের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধা সাজানো হয়েছিলো রাজকীয় ভাবে। ১৩ই ফেব্রুয়ারি রানী স্টিমারে করে বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রমোদ ভ্রমণ করেন। এরপর তিনি পরিদর্শনে যান আদমজী জুট মিলে। সেই সফরে চট্টগ্রাম ও ভ্রমণ করেছিলেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান রানীর বিদায়ের সময় উপস্থিত ছিলেন।
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে আসেন ১৯৮৩ সালের নভেম্বর মাসে তৎকালীন সামরিক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আমন্ত্রণে। চার দিনের সেই সফরে ছিলো ব্রিটেনের রানীর স্বাধীন বাংলাদেশে একমাত্র সফর।
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে রানী জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছিলেন।
.
পাশাপাশি একটি স্বনির্ভর গ্রাম দেখতে ঢাকা থেকে বিশেষ ট্রেনে রানী গাজীপুরের শ্রীপুর স্টেশনে যান। এ সময় তার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট এরশাদও সফরসঙ্গী ছিলেন। স্টেশন থেকে গাড়িতে চেপে শ্রীপুর উপজেলার বৈরাগীরচালা গ্রামে যান রানী।
রাণীর সফর উপলক্ষে গ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছিল। কাঁচা রাস্তাগুলো রাতারাতি পাকা করা হয়। আর গ্রামে প্রথমবার বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হয়, যা ওই গ্রামে কলকারখানা গড়ে উঠতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।
গ্রামের একটি কাঁঠাল বাগানে স্থানীয় নারীদের সঙ্গে গল্প করেন রানি। এ সময় এক নারী রানিকে রূপার চাবি উপহার দিয়েছিলেন। ওই চাবিটি প্রতীকি অর্থে দেওয়া হয়। এর অর্থ হচ্ছে যেকোনো সময় রানি বৈরাগীরচালা গ্রামে আসতে পারবেন। তার জন্য গ্রামের সব দরজা সর্বদা খোলা।
ওই গ্রামে রানির যাওয়ার মূল কারণ ছিল তিনি একটি স্বনির্ভর গ্রাম পরিদর্শন করতে চেয়েছিলেন। রানিকে পুকুরে মাছ ধরা, মুড়ি বানানোসহ বিভিন্ন গ্রামীণ শিল্প দেখানো হয়েছিলো।