খবর প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
কামুদিনী পরিব্রাজিকা শুনাবে জীবনের নূতন গান আবার
- ফারুক সরকার
বিরক্তিকর - বিচ্ছিরি হাসি একজন বান্ধবী
হয়তো, পরিহাসের হাসির রানী।
এসেছে দ্বিতীয় শ্রেনী থেকে
‘তুমি কফি খাবা?’ যুবকের
আগ্রহী প্রশ্ন – ফ্লার্ট হচ্ছে বুঝা গেলো।
নব্য আগমনী সুঘ্রাণে সবারই যেন আগ্রহ।
স্কার্টের পরিমিতি পরেছে সবার চোখে,
লম্বা পায়ে জরিয়ে ধরে টানা মনের
আরাধনা যেন – নিতম্বে দোল নাচন।
পরিহাসের হাসির রানীর
চোখ ঘুরছে – কটাক্ষে অবলোকন -
‘কেউ দেখছে নাতো?’
নজর পড়লো আমার উপর।
যাচাই করা হলো, সূতো ছেড়ে
ফির টেনে এনে নাটাই গুটালো যেন।
আমিও ঘুমের ভান করতে উস্তাদ।
পরে কি হবে সেটা আগাম
জানা আছে আমার।
সম্ভভত বিনা খরচায় খাবে একটা কাপ -
ফার্স্ট ক্লাসের কমপ্লিমেন্ট,
আর টিকেট চেকারের কম্পার্টমেন্টে
পূনার্গমনের আগেই।
ভাগ্যে থাকলে বুককাটা জামার
উস্নোতার আদরে যুবক হেঁসে
বলবে ‘চলো আজ সন্ধ্যায়
শহরটাকে লালে রক্তিম করি
আমরা দুজনে’!
আপাতত পরিহাসের হাসির রানী
দুটো বিস্কিট আর এক কাপ কাপুচিনো
পাবার আনন্দে আপ্লুত যেনো।
কফির ট্রলীতে মোকাবেলা আবার
দুর্ঘটনার ঝড়ে সুন্দর হাসি, বুক ঘসাঘসি,
হাসিটা ওর নূতন আমদানী নাকি?
বিরক্তি বদলে এলো যেন সুরক্তির আবাহন।
মোটেও বিচ্ছিরি নয় এখন।
‘না না – নিন আপনিই এটা –
আমি নিচ্ছি নূতন করে আরেক কাপ’।
ধন্যবাদান্তে হাসি বিনিময় –
চোখে মূখে – শরীর বেয়ে কাছাকাছির
শিহরন। মাথায় ঢুখছে নানা কল্পনা
আর রসালো পরিকল্পনা। সুললিত কফি
যেনো মনের আরোসতা খুলে দিলো।
ভাবলাম আমিই দেবো সেই যুবকের নিমন্ত্রন!
ট্রেনের মৃদু ঝাকুনি শো শো শব্দে দ্রুত
ঘুমের কাহিনী শুনাচ্ছে পাশে বসে স্বপ্ননীল যুবতী।
আরো পরে – অনেক পরে
টিকেট-জামাতা ডেকে বললো
‘আপনার বান্ধবী টয়লেটে গেলেন,
ফিরেনি এখনো, এটাই কিন্তু লাস্ট স্টপ –
পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ফিরতি যাবে আবার’।
আমার বান্ধবী? নজর পড়লো
লাগেজের তাকে, হাতব্যাগটা ছেড়ে গেলো
আমায় এমন ভাবে – উপহাসের হাসির রানী
উঠবে হয়তো অন্য ট্রেনে এখন।
কামুদিনী পরিব্রাজিকা শুনাবে
জীবনের নুতন গান আবার।