NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, জুন ১৫, ২০২৫ | ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
" ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন উত্তেজনা চরমে বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী, ডেমোক্র্যাটদের ক্ষোভ
Logo
logo

বঙ্গবন্ধু এসেছিলেন মানবমুক্তির কেতন উড়িয়ে -- শরীফা বুলবুল


খবর   প্রকাশিত:  ১৪ জুন, ২০২৫, ০১:৫৫ পিএম

বঙ্গবন্ধু এসেছিলেন মানবমুক্তির কেতন উড়িয়ে -- শরীফা বুলবুল

 ‘ধন্য সেই পুরুষ, যাঁর নামের ওপর রৌদ্র ঝরে চিরকাল,/ গান হয়ে/ নেমে আসে শ্রাবণের বৃষ্টিধারা, যাঁর নামের ওপর/ কখনো ধুলো জমতে দেয় না হাওয়া,/ ধন্য সেই পুরুষ যাঁর নামের ওপর পাখা মেলে দেয় জ্যোত্স্নার সারস,/ ধন্য সেই পুরুষ যাঁর নামের ওপর পতাকার মতো/ দুলতে থাকে স্বাধীনতা,/ ধন্য সেই পুরুষ যাঁর নামের ওপর ঝরে/ মুক্তিযোদ্ধাদের জয়ধ্বনি।’ বরেণ্যে কবি শামসুর রাহমান তার ‘ধন্য সেই পুরুষ’ কবিতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে এভাবেই অনুভূতির অনুরণন তুলেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মেছিলেন বাঙালির মুক্তির তাগিদেই। এসেছিলেন মানবমুক্তির কেতন উড়িয়ে। সারা জীবন আন্দোলন-সংগ্রাম, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। লড়াই করেছেন। বাঙালির জন্য এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা। এতেই ক্ষান্ত হননি। স্বাধীনতার পরে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন আলোর নিশানা দেখিয়ে। ঠিক তখনই আগস্ট নামের অন্ধকার নেমে আসে বাঙালির জীবনে। তাই তো আগস্ট মানেই জাতির দীর্ঘশ্বাস।  

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে একাত্তরের পরাজিত শক্তি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে বাংলাদেশকেই হত্যা করতে চেয়েছিল, পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধজাত এই দেশটিকে। সেদিন ঘাতকরা হত্যা করেছিল পিতার নশ্বর শরীরকে, কিন্তু তার অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ ছিল মৃত্যুঞ্জয়ী। তাই তো ঘাতকের দল যে উদ্দেশ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তা আদতে সফল হয়নি। কারণ এখনো বাঙালির মুক্ত মননে দীপ্তশিখা হয়ে জ্বলে রয়েছেন ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ পুরুষ বঙ্গবন্ধু। শেখ মুজিবুর রহমান আজ আর একটি নাম নয়—একটি ইতিহাস, একটি দেশ।

 ঘাতকের সাধ্য ছিল না ইতিহাসের মহানায়কের অস্তিত্বকে বিনাশ করার। আজও বাঙালি তার চেতনায় নতুনের কেতন উড়িয়ে স্বপ্নজয়ের প্রত্যয়ে এগিয়ে চলে নিত্যদিন। সব্যসাচী কবি সৈয়দ শামসুল হক তার ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে লিখেছেন: ‘এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান?/ যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান;/ তাঁরই ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলায় পথ চলি—/ চোখে নীলাকাশ, বুকে বিশ্বাস, পায়ে উর্বর পলি।’   প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু মিশে আছেন বাঙালির অনুভূতি ও অন্তরাত্মায়। আজও বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। জাতির পিতার প্রতি তার প্রিয় বাঙালির ঋণ, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা অশেষ। মুজিব মানেই বাঙালির অবিরাম মুক্তির সংগ্রাম। শেখ মুজিব মানেই বাঙালি জাতির অস্তিত্ব। শেখ মুজিব মানেই বাঙালির ঠিকানা। শেখ মুজিব মানেই ঝড়ঝঞ্ঝার মধ্যে মাথা উঁচু করে বাঙালির সঠিক পথে চলা। স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার যাত্রায় শেখ মুজিবই বাঙালি জাতির প্রেরণা ও পদপ্রদর্শক।