NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
জব্বারের বলীখেলায় আবারও চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ‘বাঘা’ শরীফ Bangladesh reaffirms commitment to fully Implement the CHT Peace Accord Kashmir Violence Conflict can be Solved Diplomatically or Needs a Retaliation Plan Against Pakistan ব্রেন স্ট্রোক পরবর্তী সময়ে সেরে ওঠার যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মত  বিনিময় নিজেকে রাজা-বাদশাহ ভাবছেন ট্রাম্প! ‘দাগি’ দেখতে কয়েদির বেশে সিনেমা হলে শতাধিক নিশো ভক্ত Attorney General James Wins Case Against Google for Monopolies in Digital Advertising নিউইয়র্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংবাদ সম্মেলন নানা অভিযোগ উত্থাপন : বাংলাদেশ রেমিট্যান্স মেলা  বয়কটের আহবান নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় পুলিশের গুলিতে মানসিকভাবে অসুস্থ  এক ব্যক্তির মৃত্যু
Logo
logo

“ইসলামিক বিজ্ঞান একটি যুক্তিবাদী এবং সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা: আমরা সবাই মানুষ”   প্যামেলিয়া রিভিয়ের


খবর   প্রকাশিত:  ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:৩৫ এএম

“ইসলামিক বিজ্ঞান একটি যুক্তিবাদী এবং সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা: আমরা সবাই মানুষ”     প্যামেলিয়া রিভিয়ের

 

ইসলামিক বিজ্ঞান একটি যুক্তিবাদী এবং সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা: আমরা সবাই মানুষ”  

 

প্যামেলিয়া রিভিয়ের

 

ছবিটি তে কানাডিয়ান হাঁস আর সাদা রাজঁহাস গুলু যেমন পাশাপাশি বন্ধুর মতো ভেসে যাচ্ছে, আমরাও কি পারিনা শান্তির আবাহনে, ওদের মতো একসাথে ভেসে যেতে

 

ইদানিং সমাজ বিদ্বেষী ধর্মপ্রচারক যারা জেনে-শুনে, অথবা না জেনে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, তাদের দ্বারা সমাজে ক্ষতি বাংলাদেশের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। 

 

বিদ্বেষ প্রচারকরা শুধুমাত্র মুসলমানদের মধ্যে বিভাজনই তৈরি করছেন না, তারা একটি সাম্প্রদায়িক ভিত্তিক সমাজকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে!

 

 বাংলাদেশে যখন ছাত্র নাগরিকরা শান্তির লক্ষ্যে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করছে, এমনকি তাদের জীবন দিতে দ্বিধা করছেনা, তখন বিদ্বেষ প্রচারকরা বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টায় সক্রিয় ভাবে কাজ করছে! 

 

প্রায়শই, বিদ্বেষ প্রচারকরা পবিত্র কোরানের একটি আয়াত বা নবী মুহাম্মদের একটি উদ্ধৃতি আবৃত্তি করেন, তা বিস্তারিত বর্ণনা ব্যতিরেকে, কোন প্রেক্ষাপটে আয়াতটি নাজিল হয়েছে বা নবীজি তা কি প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন।

 

কখনোই, বিদ্বেষ প্রচারকরা, ভাল ইসলামিক পণ্ডিত বা ইসলামের প্রতিনিধি হতে পারেন না, কারণ তারা জানেন না কিভাবে ইসলামকে উপস্থাপন করতে হয়, অথচইসলামশব্দটি "শান্তি" বোঝায়। 

সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, একজন প্রকৃত ইসলামিক পণ্ডিত বলবেন: "সমাজের প্রত্যেকেই, আমাদের ভাই বোন।

 

তুমরা কাফের দের সাথে বন্ধুত্ব করোনাতারা কখনোই ব্যাখ্যা করেননা যে, একটি বিশেষ কারণেএই বিশেষ আয়াত টি বা অন্য কোনো আয়াত গুলো নাজিল হয়েছিলনবী সেই সময়ে (যখন নবীজি এবং কুরাইশ সম্প্রদায়ের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল অথবা অন্য কোনো প্রসঙ্গে এই মন্ত্যব্য টি উনি করেছিলেন) এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। 

অথবা নবীজি মুসলমানদেরকে কুরাইশ সম্প্রদায় সম্পর্কে, নাকি ইহুদি, খ্রীষ্টান ও পোত্তলিক ধর্মাবলম্বীদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছিলেন। ইসলামী পরিভাষায় তারা (কাফের, মুশরিক বিশ্বাসী) নামে পরিচিত। 

 

আজকের এই আধুনিক, বৈজ্ঞানিক ও বৈশ্বিক যুগে বিজ্ঞানময় কুরআন কে বিজ্ঞান সম্মত ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়না যদিও ইসলামিক বিজ্ঞান এক সময়ে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অসীম অবদান রেখেছিল!

 

ইসলাম কখনোই বিজ্ঞানের প্রতি সমাজ বিদ্বেষী ছিলনা বরংইসলামিক বিজ্ঞানীদের জ্ঞানের সমস্ত শাখা প্রশাখাতে বিচরণ ছিলো ইসলামিক বিজ্ঞানের যুগে! বিদ্বেষ প্রচারকরা জানেননা ইসলামিক বিজ্ঞান একটি যুক্তিবাদী এবং সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা (rationalistic and holistic education system) প্রসার করেছিল, যা কিনা ইসলামের স্বর্ণযুগ বলে পরিচিতি লাভ করেছিল!

 

মধ্যযুগীয় ইসলামি বিশ্বে বিজ্ঞান হল ইসলামী স্বর্ণযুগে বিকশিত চর্চা করা বিজ্ঞান। মোটামুটিভাবে 786 এবং 1258 সালের মধ্যে বিস্তৃত সময়কাল। ইসলামিক বৈজ্ঞানিক সাফল্যগুলি বিভিন্ন বিষয়ের ক্ষেত্র বিশেষ করে জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত এবং চিকিৎসাকে অন্তর্ভুক্ত করে। 

বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে রসায়ন, উদ্ভিদবিদ্যা এবং কৃষিবিদ্যা, ভূগোল এবং মানচিত্র, চক্ষুবিদ্যা, ফার্মাকোলজি, পদার্থবিদ্যা এবং প্রাণিবিদ্যা।

আজ  বিদ্বেষী মুসলিম পন্ডিত রা  বিজ্ঞান চর্চা না করে শুধুমাত্র সমাজ বিদ্বেষ মুলক ধর্ম প্রচারে নিয়োজিত হয়েছেন, কেন? তারা কি ফিরে যেতে পারেনা পূর্বের সেই সামগ্রিক যুক্তিবাদী শিক্ষা ব্যবস্থায়?

 

সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, একজন প্রকৃত ইসলামিক পণ্ডিত বলবেন: বাংলাদেশের হিন্দু বা অন্য কোনো সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে নবীজি এটা নির্দেশ দেননি। তাই এই যুগে এই ব্যাখ্যা প্রযোজ্য নয়। 

 

উপরন্তু, বিদ্বেষ প্রচারকরা একটি খারাপ উদাহরণ তুলে ধরেন, যেমন পাকিস্তান বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে: কেন বাংলাদেশীরা তাদের সাথে তাদের হৃদয় থেকে বন্ধুত্ব করবে না। 

 

পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ এবং সামরিক বাহিনী কতৃক সংগঠিত ১৯৭১ এর রক্তক্ষয়ি যুদ্ধ দেখে, এবং ৩০ লক্ষ নিহত বাংলাদেশীদের  দেখে, বরং  বহু সংখ্যক পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিক গণ মর্মাহত হয়েছেন, অনেকে পশ্চিম পাকিস্তানে পূর্ব পাকিস্তানীদের বাঁচাতে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন

 

আমাদের পাকিস্তানি সহকর্মী বা পাকিস্তানি পণ্ডিতদের প্রতি ঘৃণা দেখান, ঠিক নয়, কারণ তারা শুধুমাত্র জন্মগতভাবে পাকিস্তানি বলে!

 আমাদের মনে রাখতে হবে সমাজে ভাল মন্দ দুই ধরনের মানুষ রয়েছে! জার্মানিতে সবাই হিটলার/ নাৎসি ছিলোনামানবিকতা সম্পন্ন জার্মান বাসীরা ইহুদিদের বাঁচিয়েছেন সাহায্য করেছেন!

 

ইস্রায়েল গাজা যুদ্ধে আমরা দেখতে পেয়েছি, বিশ্বের অনেক ধর্মনিরপেক্ষ ইহুদি ধর্মপ্রচারক এবং ইহুদি পণ্ডিতরা, ইস্রায়েলে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে!কারণ তারা শান্তি মানবতা বাদে বিশ্বাসী! প্রকৃত অর্থে, সমাজে শান্তি গঠনে বিশ্বাসী!

 

আজ দেশের ক্রান্তি লগ্নে, মুসলিম ধর্মপ্রচারক দের শান্তি প্রচারক ভূমিকায় দেখা অত্যন্ত্য প্রয়োজন! হিংসা মূলক প্রচারণায় নয়!

সমস্ত মানব জাতি একি সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি, এই মানবধর্ম প্রচার করাটাই ইসলামের অন্যান্য সমস্ত ধর্ম প্রচারকদের লক্ষ্য হওয়া উচিত!

 

বর্তমানে নিযুক্ত ধর্মীয় উপদেষ্টা সহ অন্যান্য দেশের সবচেয়ে জ্ঞানী ইসলামী পন্ডিতদের সাথে এই বাস্তব বিষয় {সমাজ সম্প্রদায় বিদ্বেষী ধর্মপ্রচারক} নিয়ে আলোচনা করে, বিদ্বেষ প্রবর্তকদের হিংসা মূলক প্রচারণা বন্ধ করতে, ছাত্র গোষ্ঠীকে এই বিষয়ে, নিরলস কাজ করতে হবে।

 

ইসলাম প্রকৃতপক্ষে একটি মহান শান্তির ধর্ম, এই লক্ষ্যে ধর্ম প্রচারক রা কাজ করবেন, বাংলাদেশের সমাজ এই আশা করে!

 

যারা বাংলাদেশের বিচিত্র বর্ণ গোত্রের শান্তির প্রতীক, মোজাইক সামাজিক কাঠামোকে, ধ্বংস করতে চায়, তাদের ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে

 

ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে শান্তি সংহতি বহাল রাখতে কঠোর প্রচেষ্টা অবলম্বন করতে হবে!

 

আমরা সবাই শান্তিপ্রিয়, এক মহৎ গুণাবলী সম্পন্ন বাংলাদেশি সমাজ, আমরা সবাই মানুষ, এই মূল মন্ত্র হবে স্বর্ণালী বাংলাদেশকে গড়ে তুলার স্বপ্ন!

 

আসুন আমরা প্রত্যেকে শান্তির প্রতীক এই কালো কানাডিয়ান হাঁস আর সাদা রাজহংসের মতন বন্ধু হয়ে, কাধে কাধ মিলিয়ে, শান্তি সৌহার্দ্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলি!

 

Pamelia Riviere

2024-08-25