আবু নছর প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
নিউয়র্কের সম্ভাবনাময় শহর বিংল্যামটনে যাওয়ার গল্প নিয়ে
সামান্য শুনুন।
গতরাতে ফিরেছি নিউয়র্কের বিংহ্যামটন শহর থেকে। নূতন সম্ভাবনার কথা শুনেই দেখতে যাওয়া। দু'দিনে আনন্দে ডুবে ছিলাম আমরা।এখন বাসে ফিরছি গরীবালয়ে দুই/আড়াই ঘটার জার্নি। সেই সময়কে কাজে এবং বিরক্তি মুক্ত করতে এই লিখার অবতারনা।
সিনিয়র ও বন্ধুরা দল বেঁধে যাচ্ছেন শুনেই রাজি হয়ে গেলাম যাবো।বকুল ভাই শুনে জানান দিলেন "তিনিও যাবেন" ফাহাদ ভাই সাথে সাথেই হ্যাঁ, ব্যাবস্থা নিতে বলেন।যথা সময়ে যাত্রা শুরুর অপেখ্যা জ্যাকসন হাইটস থেকে। বকুল ভাই যথা সময়ে হাত তুলে জানান দিলেন আমিও হাজির। আমি তা ক্যামেরা বন্ধি করলাম। তিন ঘন্টা লাগবে জার্নির মুল কান্ডারী ও যোগাযোগ সমন্ময়কারী বকুল ভাই জানালেও আমাদের যাত্রা বিরতি ও শহর থেকে বেরুনোর জ্যামে তা ঠিক থাকেনি। কিছুটা বিলম্ব ও বিলম্ব মনে হয়নি বরঞ্চ আনন্দ উপভোগ্য করে তুলেছিল সবাই প্রতিটা মুহুর্ত। সে কি হাসি আনন্দ খুনসুটি ।যাচ্ছি কেন? বেড়াতে,দেখতে , কিছু ব্যাবসায়িক পরি কল্পনা আছে তাঁদের এই টুকু বুঝেছিলাম আগেই। কারন সবাই নিউয়র্কের এলিট ব্যাবসায়ী ম্যাগনেট।
বকুল ভাই যোগাযোগ রাখছেন কারো সাথে বুঝলাম। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথেই দেখতে দেখতে হাঁসি তামাশায় আমরা কাছাকাছি এসে পৌঁছালাম। একসময়ে এসে গেলাম গন্তব্যে। তৈরী আমাদের বরন করতে আলমাস ভাই। পরিচিতি ও কোলাকুলির পর্ব সেরেই আমাদের ধরিয়ে দিলেন বিলাস বহুল পাঁচতারা হোটেলের ( পাঁচ তারা) ডবল দুই রুমের চাবি। উপরে ওঠেই বাম ডানে কোন রুমে যাব।পরিশেষে ডানের ডাকেই সাড়া দিলাম। সুন্দর ডবল রুম।অদ্ভুত সৌন্দর্যের ভিউ বাহিরের। বিশাল বিশাল অট্টালিকা পাহাড়ের ওপরে,নীচে সুন্দর ডাউন টাউনের অলিগলি। আমদের ক্ষুধার তাগাদা দেয়ার আগেই ডাক এলো খেতে আসার। নিচে নেমে পরিচিত হলাম নাজু ভাই ,বয়ষ্ক এক ঝানু ল'ইয়ার, চাকুরী জীবি ও অন্যাদের সাথে এক সাথেই সামান্য দুরত্বের রেষ্টুরেন্টে নিয়ে গেলেন আমাদের খাওয়াতে।মেনু দেখে অর্ডারের আহ্বান। প্রচুর খাওয়া দাওয়া টেবিলে। ডাল ভাত তরকারী ছাড়া কি আমার হয়! তবুও একটু একটু করে পেট ভর্তি করে ফেললাম।খুশী মনে সবাই খেলাম। শুনলাম ১০০০ ডলার বিল পরিশোধ করা হয়েছে টিপস ছাড়া। আমরা যাদের অতিথি সেই ব্যাবসায়িক সংগঠনের পক্ষথেক পরিশোধ করা হয়েছে বিল।যে ভাবে হচ্ছে হোটেল ভাড়া ইত্যাদি।
ফিরে এলাম হোটেলে মুক্তা ভাই এসে ববকে নিয়ে গেলেন নিমিষে ।আবার দিয়ে গেলেন অল্পক্ষনেই। অধিক রাত পর্যন্ত আড্ডার সমাপ্তি টানতে হয়েছে আগামীকাল নির্ধারিত সময়ে আমাদের জন্য গাড়ী আসবে। নিয়ে যাবে দেখাতে ঘুরাতে। বলেরাখা ভালো কিছু বাংলাদেশী আগে থেকে এসে ব্যাবসা শুরু করেছেন এখানে। এতো দিনে এলাকায় পরিচতি ও পরিপক্ক হয়েছেন। মনে হলো এখন তাঁদের ব্যাবসায়িক স্বর্ন যুগ চলছে। আমাদের নিয়ে অতিথিয়েতা আদর আপ্পায়নের কার্পন্য নেই। পরদিন সকালে উঠে নাস্তার টেবিলে আমরা তিন জন।ফাহাদ ভাই অর্ডার দিলেন সবার জন্য। আমাদের থাকার হোটেলের বাহিরটা যেন পসৌন্দর্যের লিলা। পাহাড়ের পাদদেশে ছোট প্রবাহমান নদী। পাখির বিচরন দেখে ফাহাদ ভাই বললেন নিশ্চই মাছ অনেক তাই বেশী পাখি। কিছুটা ঠান্ডার কারনে ফিরে এলাম নাস্তার টেবিলে। অসম্ভব সুন্দর আমলেট ,টোষ্ট ইত্যাদি। খেয়ে দেয়ে শেষ করেছি আমলেট কষ্টে অনেকদিন পর হেভি সকালের নাস্তা। পরে বকুল ভাইয়ের জিজ্ঞাসা থেকে বুঝলাম সকালের নাস্তা আমার জন্য কঠিল হল কেন শেষ করা।তিনটা ডিমের আমলেট সাথে নানা সবজি মাংশ ইত্যাদি।
ডাক এলো আমাদের দেখানো নিয়ে যাওয়া গাড়ী তৈরী। আগের দিনের উকিল নাজির সবাই তৈরী আলমাস ভাই সহ।
একে একে অনেক গুলো পোপার্টি দেখালেন, কর্মাশিয়াল সহ। সব গুলোই নানা ভাবে পছন্দের। একটা পোপার্টি দেখালেন অনেক বড় ৮০ হাজার স্কয়ার ফিট ৮৫ টা বাথ রুম। দেখতে দেখতে টায়ার্ড। ল্যান্সের জন্য যেতে হবে( নির্ধারিত) হালাল মুসলিম দোকানে।আথচ আমরা দাওয়াত নিয়ে রেখেছিলাম দুপুরের খাবারের। কোন অজুহাতই শুনলেন না আলমাস ভাই।গত রাতের সবাই মিলেই আজকের উন্নত ল্যাঞ্চ সারালাম। আবার দেখা শুরু। সর্বশেষটাও কল্পনাতীত বড়। আলমাস ভাই একই ভংগিতে শুনাতে লাগলের স্বপ্নের পরিকল্পনা।বিশাল পেট সম্পদের মালিক আলমাস ভাইয়ের প্রতিটা দেখানোর কথা ও অংগভংগি প্রায় একই।নাইনটি ডেইট সব ফাইনাল বলার পর চোখের ইশারা চমৎকার ,মনে থাকবে। সাদা সিদে মানুষ অভিজ্ঞ কৌশুলী। প্রথম যাত্রায় অভিজ্ঞ ভাগ্য বান ডিউক ভাই কি ভাবে সাহসীকতার সাথে ব্যাবসায়িক লটারিতে জিতলেন তা বলেছেন ও দেখেয়েই ছাড়লেন আলমাস ভাই।
আসলেই বিংহ্যামটন নিউইয়র্ক থেকে তিন ঘন্টা দুরত্বের সুন্দর শহর।এ যেন সুন্দর পরিপাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লিলার শহর।স্বল আয়ের মানুষের নূতন করে শুরু করার মত শহর। মিত্যে নয় আমার নিজের পছন্দ হয়েছে অনেক।
ফিরে আসার আগে মুক্তা ভাইয়ের দাওয়াত ভরা পেটেই সবাই আবার খেলাম। খায়ার মজা, গল্প কথার আনন্দে সময় দীর্ঘ হলো যাত্রা শুরুর। সোজা সরল ভাবি সবাইকে নিয়েই আনন্দ উপদেশ পরামর্শ দিলেন। যা সকলের মনে থাকবে।
ফিরে আসার মজা আলাদা।গাড়ীতে সবাইকে সব নিয়ে নানা কথায় ডুবে থাকলাম।হাসি আর আনন্দের বন্যায়।গল্প শুনালেন নিজের জীবনের গল্প দিলিপ ভাই।খুনশুটির এক পর্যায় দিলিপ ভাই বলেছেন আমাদের যিনি ড্রাইভ করে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের সেই সৌভাগ্যের কথা।আসলেই তাই, বর্তমান মেয়রের এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলয়মান। কিভাবে য়ে গাড়ী চালিয়ে একের পর এক কাজ ও সবাইকে তুষ্ট করেছেন তা দেখা ও বুঝার সুযোগ আমারও হলো।বকুল ভাইকেত তিনি বলেই বসলেন ,"দেখুন আপনি যে রাগ করেন। গাড়ীতে থাকায় ফোন ধরতে পেরেছি না হলে কি সম্ভব।" বকুল ভাইতো দিলিপ ভাইয়ের কণ্ঠ নকল করে তাক লাগিয়ে দিলেন। আমাদের জনির অভাব তিনি কথা দিয়ে পোষালেন।আনন্দে গান গাহিল বব। আমাদের সুন্দর ভ্রমন ছিল বিনা খরচে আনন্দের। পথে গ্যাস নিচ্ছিলাম ঠিক সেই সময়ে ফোন আসলো আলমাস ভাইয়ের বকুল ভাইকে জানালেন তেলের রসিদ রেখে দিবেন আমরা দিয়ে দিবো। এতো আনন্দের পরিসমাপ্তি ঘটলো রাতে আমাদের ফিরে আসার মাধ্যমে।
মনে থাকবে বিংহ্যামটন। আবার আসবো বার বার তোমাকে দেখতে। ইউনির্ভসিটি এমাজন( হেড অফিস) ইত্যাদি দেখা হয়নি সময় অভাবে।আসবো দেখতে গরীব খুদ্র আবাদের ইচ্ছা নিয়েl