NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
জব্বারের বলীখেলায় আবারও চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ‘বাঘা’ শরীফ Bangladesh reaffirms commitment to fully Implement the CHT Peace Accord Kashmir Violence Conflict can be Solved Diplomatically or Needs a Retaliation Plan Against Pakistan ব্রেন স্ট্রোক পরবর্তী সময়ে সেরে ওঠার যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মত  বিনিময় নিজেকে রাজা-বাদশাহ ভাবছেন ট্রাম্প! ‘দাগি’ দেখতে কয়েদির বেশে সিনেমা হলে শতাধিক নিশো ভক্ত Attorney General James Wins Case Against Google for Monopolies in Digital Advertising নিউইয়র্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংবাদ সম্মেলন নানা অভিযোগ উত্থাপন : বাংলাদেশ রেমিট্যান্স মেলা  বয়কটের আহবান নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় পুলিশের গুলিতে মানসিকভাবে অসুস্থ  এক ব্যক্তির মৃত্যু
Logo
logo

প্রবাসী পাঁচ বাংলাদেশী সাংবাদিকের স্মরণীয় সাক্ষাৎ, টরন্টোয়-- সৈকত রুশদী


খবর   প্রকাশিত:  ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম

প্রবাসী পাঁচ বাংলাদেশী সাংবাদিকের স্মরণীয় সাক্ষাৎ, টরন্টোয়-- সৈকত রুশদী

প্রবাসী পাঁচ বাংলাদেশী সাংবাদিকের স্মরণীয় সাক্ষাৎ, টরন্টোয়

সৈকত রুশদী


ঠিক কাকতালীয় নয়। তবে আকস্মিক ও চমকপ্রদ এক অভিজ্ঞতা।

হঠাৎ করেই সাংবাদিক দম্পতি মেহেরপুরের কৃতি সন্তান স্নেহভাজন মনির হায়দার এবং তাঁর জীবনসঙ্গিনী মনিজা রহমানের সাথে সাক্ষাৎ।

টরন্টোর বাঙালিপাড়া নামে খ্যাত ড্যানফোর্থ এভিনিউ-র বুকে।

স্বনামধন্য মনির হায়দারের সাথে এই প্রথম সাক্ষাৎ আমার!

সাথে বাড়তি পাওনা অনুজপ্রতীম কানাডাবাসী দুই সাংবাদিক সঞ্জয় চাকী (Sanjoy Chaki) ও এস এম বাবু (S.M.Babu)-র উষ্ণ সাহচর্য।

বুধবার (৩১ আগস্ট ২০২২) বিকেল নাগাদ একটি ক্ষুদে বার্তা পেলাম সুদূর মেহেরপুর থেকে। স্নেহভাজন সাংবাদিক তুহিন আরণ্য (Tuhin Aronyo) জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রবাসী সাংবাদিক দম্পতি মনির হায়দার (Monir Haidar) ও মনিজা রহমান (Monija Rahman) এখন সপরিবারে কানাডার পথে। টরন্টোয় আমার সঙ্গে দেখা হলে খুশী হবে।

পরে ফোনে কথা হলো মনির হায়দারের সাথে। তখন তাঁরা টরন্টোর অদূরে পিকারিং শহরে। তবে সন্ধ্যায় টরন্টোর বাঙালিপাড়ায় যাবেন। আরও দুই সাংবাদিকের সাথে দেখা করতে।

দুই পুত্র সহ এই প্রথম কানাডা সফর মনির ও মনিজা'র। খুবই সংক্ষিপ্ত এই সফর।

বাংলাদেশের কোনো দৈনিক পত্রিকায় প্রথম নারী ক্রীড়া রিপোর্টার মনিজা রহমানের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল ২০০০ সালে। ঢাকায়, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। সেই সময়ে ঢাকার 'দৈনিক জনকণ্ঠ' পত্রিকার ক্রীড়া সাংবাদিক তিনি। ।

পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন অগ্রণী ক্রীড়া সাংবাদিক মুহম্মদ কামরুজ্জামান। অধুনালুপ্ত 'দৈনিক বাংলা'র ক্রীড়া সম্পাদক। মেহেরপুরের কৃতি সন্তান।

মনির হায়দার মেহেরপুরের আরেক কৃতি সন্তান। রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন 'দৈনিক জনকণ্ঠ' ও 'দৈনিক ইত্তেফাক'-এ। বিশেষ সংবাদদাতা ছিলেন 'দৈনিক মানবজমিন' পত্রিকায়। বাংলাদেশে একাধিক টেলিভিশিন চ্যানেলে জনপ্রিয় টক শো-র সঞ্চালক ছিলেন। বর্তমানে নিউ ইয়র্ক থেকে 'গ্রীন চ্যানেল' নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করছেন। 

১৯৯২ সালে আমি প্রত্যক্ষ সাংবাদিকতা থেকে অন্য পেশায় যোগ দেয়ার কারণেই সম্ভবতঃ মনির হায়দারের সাথে আগে আমার দেখা হয়নি কখনও।

মাতৃভূমি বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরে কানাডার টরন্টোয় প্রবাসী এই পাঁচ বাংলাদেশী সাংবাদিকের আড্ডার ঘন্টা দেড়েক সময় যেন নিমিষেই পার হয়ে গেল।

কথা হচ্ছিল, বাংলাদেশে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা এবং মনিজা'র আগ্রহে কথাসাহিত্য নিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই প্রাসঙ্গিক ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা।

আড্ডায় এক পর্যায়ে যুক্ত হন কানাডার বাঙালি সাংস্কৃতিক কর্মী, সংগঠক ও নাট্যজন আহমেদ হোসেন (Ahmed Hossain)।

রাত বাড়ছিল। ড্যানফোর্থ এভিনিউ ক্রমেই প্রায় জনশূন্য হয়ে আসছিল। সেই সাথে আবহাওয়ায় শীতলতার পরশ।

আবার দেখা হবে এই আশায় উষ্ণ করমর্দনে শুভাশিস জানিয়ে বিদায় নিলাম আপাততঃ।

টরন্টো
৩১ আগস্ট ২০২২