NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo
ক্ষমা না চাইলে মানহানি মামলা

আজকাল-এ প্রকাশিত খবর মিথ্য-বানোয়াট : সংবাদ সম্মেলনে এম আজিজ


সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রকাশিত:  ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০৫ পিএম

আজকাল-এ প্রকাশিত খবর মিথ্য-বানোয়াট : সংবাদ সম্মেলনে এম  আজিজ

 

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক
আজকাল-এ প্রকাশিত খবর মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে
সেই খবরের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক
সভাপতি ও সোসাইটির ট্রাষ্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ‘ইউর
ড্রিম হোম কেয়ার’-এর কর্ণধার এম আজিজ বলেছেন প্রকাশিত খবর
প্রসঙ্গে আজকাল কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব সহকারে ক্ষমা না চাইলে পত্রিকাটির
বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করা হবে। তিনি প্রবাসের সাংবাদিকদের
সত্য কথা তুলে ধরার আহŸান জানিয়ে বলেন, আমরা ব্যবসায়ী মানুষ,
সাংবাদিকতা আমাদের পেশা নয়। তাই যতি নিউইয়র্কের মিডিয়াগুলো
কমিউনিটির সঠিক খবর তুলে না ধরেন তাহলে প্রয়োজনে আমরাও
পত্রিকা প্রকাশ করবো এবং আমাদের মতো খবর পরিবেশন করবো। খবর
ইউএনএ’র।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের একটি মিলনায়তনে
আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এম আজিজ উপরোক্ত কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘ইউর ড্রিম হোম
কেয়ার’-এর মিডিয়া ডিরেক্টর জলি আহমেদ। এসময় আজকাল-এ
প্রকাশিত খবর নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন এম আজিজ ও তার পুত্র
‘ইউর ড্রিম হোম কেয়ার’-এর অন্যতম পরিচালক ফয়সাল আজিজ।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা ও রিয়েল
এস্টেট ব্যাবসায়ী সারোয়ার খান বাবু উপস্থিত থেকে এম আজিজের
পক্ষে তার বক্তব্য ও অবস্থান তুলে ধরেন। পরে তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের
বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং সংবাদ সম্মেলনে তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে
আদালতের কাগজপত্র প্রদর্শন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়: গত ২৪ মে ২০২৪ তারিখে
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আজকাল-এ ‘ইউর ড্রিম
হোম কেয়ার’কে কারণ দর্শাও নোটিশ শিরোনামে একটি সংবাদ
প্রচার করে। এই পুরো সংবাদটি মিথ্যা, বানায়োট, মানহানিকর ও
বিভ্রান্তিমূলক। রিপোর্ট দেখে মনে হয়েছে সংবাদটি আমার এবং

আমার প্রতিষ্ঠান ইউর ড্রিম হোম কেয়ারের বিরুদ্ধে এক ষড়যন্ত্র। এই
মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদটি আমার প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি
সাধন করেছে। সেই সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্মানহানী হয়েছে।
আজকাল যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার সম্মানহানীতে নেমেছে তার
আরেকটি জলন্ত প্রমাণ পরবর্তী সপ্তাহে গত ৩১ মে ২০২৪ সংখ্যায়
আজিজের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ শিরোনামে আরেকটি মিথ্যা এবং
বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে। সেই রিপোর্টে প্রবাসের মাদার
সংগঠন হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটিকেও হেয়প্রতিপন্ন
করেছে। বাংলাদেশ সোসাইটি চলে গঠনতান্ত্রিকভাবে। সেই
গঠনতন্ত্রকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মনগড়া, কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন
করেছে। তাদের উদ্দেশ্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন নয়, আমার বিরুদ্ধে
প্রতিহিংসার বহি:প্রকাশ।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়: প্রথম সংবাদের বিষয়বস্তু নিয়ে আমি কথা
বলতে চাই। ঐ সংবাদে মিসবাহ আবদীন ও ফরিদা ইয়াসমীনের করা আমার
ও আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এক মামলার বিকৃত
বয়ান উপস্থাপন করা হয়েছে। মিসবাহ আবদীন এবং ফরিদা ইয়াসমীন
মাননীয় আদালতে যে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন, তার শুনানীতে মাননীয়
আদালত আমাদের দেয়া তথ্যেরভিত্তিতে তাদের দাবি (মিসবাহ- ফরিদা)
নাকচ করে দেয়। সেই ডকুমেন্ট আমার কাছে রয়েছে। যা আপনারা
চাইলে আমি দিবো। মাননীয় আদালতে সত্যের পক্ষে যে রায় দিয়েছে, তার
প্রতি আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু সাপ্তাহিক
আজকাল মাননীয় আদালতের নিষ্পত্তির বিষয়টি পুরোপুরি এড়িয়ে
গেছে এবং উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠানের
বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট এবং মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে
কম্যুনিটিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এই অবস্থায় আমি এবং আমার
প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীক স্বার্থে আইনজীবীর দ্বারস্থ হয়েছি। ইতিমধ্যে
আমি আমার আইনজীবীর মাধ্যমে (গত ৩০ মে ২০২৪) সাপ্তাহিক
আজকাল’র প্রকাশক এবং সম্পাদককে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছি।
সেই সাথে মানহানীর মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়: মিসবাহ আবদীনের কাছ থেকে ইউর
ড্রিম হোম কেয়ার ২০২২ সালের ৪ আগস্ট আইনজীবীর মাধ্যমে আমি
ক্রয় করি। সেই সময় মিসবাহ আবেদীন আমার কাছে গোপন করে যে,
আইআরএস’র কাছে এই প্রতিষ্ঠানের বকেয়া ৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
পরবর্তীতে আমি তা পরিশোধ করি। আমার প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানো
নোটিশ দেয়া হয়েছে। সেই নোটিশের নিষ্পত্তিও হয়েছে।