NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে ’ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ উদযাপন


খবর   প্রকাশিত:  ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:১৫ এএম

নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে ’ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ উদযাপন


নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল আজ যথাযথ মর্যাদায় ’ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ২০২৪’ উদযাপন করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সূচনা করেন কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হুদা সহ কনস্যুলেটের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭১ ও ১৯৭৫ এর সকল শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি  উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের নির্মিতি একটি ভিডিও  প্রদর্শন করা হয়। এরপর দিবসটির  গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়।  কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হুদা তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ৭ই মার্চের ভাষণের তাৎপর্যের উপর আলোচনা করেন। তিনি দিবসটির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের উপর আলোচনা করতে গিয়ে ইউনেস্কো কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্ব-ঐতিহ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন যে, ৭ই মার্চের ভাষণ এখন শুধু বাংলাদেশেরই নয়, বরং বিশ্ব সম্পদে পরিণত হয়েছে। তিনি বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনের প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য মানসিক এবং চেতনাগত দিক থেকে প্রস্তুত করেন। তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বেই দীর্ঘ নয় মাসের অতুলনীয় ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সারাবিশ্বের মুক্তিকামী ও শান্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি সকলকে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবন ও কর্ম এবং  বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য  তুলে ধরার আহ্বান জানান। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং দেশপ্রেমে হয়ে সবাইকে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখার জন্য তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ করেন। 


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্য, ১৯৭১ সালের সকল শহিদ ও জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।