NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

মুর্শিদাবাদ থেকে বাংলাদেশ জলপথে পণ্য পরিবহনের সূচনা


নাজিম উদ্দিন, মুর্শিদাবাদ প্রকাশিত:  ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম

মুর্শিদাবাদ থেকে বাংলাদেশ জলপথে পণ্য পরিবহনের সূচনা

মুর্শিদাবাদের লালগোলার ময়া নৌবন্দর থেকে বাংলাদেশের রাজশাহির গোদাগাড়ি উপজেলার সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত জলপথে পণ্য পরিবহণ সূচনা হল। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, মুর্শিদাবাদের লালগোলার ভারত- বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে পণ্য পরিবহণ করার জন্য বন্দরের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এককালের জনপ্রিয় এই নদীবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৫৯ বছর ধরে দুই দেশের পণ্য পরিবহণ হতো সড়ক ও রেলপথে। এতে পণ্য পরিবহণ খরচও হতো অনেক বেশি আবার সময় লাগতো অনেক বেশি। ইদানীং দুই দেশের সরকার সহজে কম সময়ে ও কম খরচে পণ্য পরিবহণ করতে উৎসাহ দেখায়। এরপর লালগোলায় পদ্মার তীরে বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এদিন বন্দরের সূচনালগ্নে স্টোন চিপসের একটি কার্গো ভেসেল ভারত থেকে বাংলাদেশে যায়। সবুজ পতাকা উড়িয়ে যাত্রার সূচনা করেন মন্ত্রী, বাংলাদেশ হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি সামসুল আরিফ ও ভারতের জলপথ পরিবহণের (আইডব্লুএআই) চেয়ারম্যান বিজয় কুমার। এই বন্দর বাণিজ্যিভাবে দুই দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে জাহাজ, বন্দর ও জলপথ পরিবহণ মন্ত্রক। এর মাধ্যমে বার্ষিক ২.৬ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহণ করা যাবে। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে পর্যন্ত সুলতানগঞ্জ-ময়া নৌঘাটের মধ্যে জলপথে বাণিজ্য চালু ছিল। পরবর্তীতে রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় এই নদী বন্দর চালু হওয়ায় বছরে এই পথে দুই দেশের মধ্যে অন্তত এক হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে জানা গিয়েছে। আইডব্লুএআই-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (ফরাক্কা) সঞ্জীব কুমার বলেন, এদিন প্রথম ভেসেল যাচ্ছে। পরপর পাঁচবার পণ্য নিয়ে আসা- যাওয়ার পর আমরা বুঝতে পারব যে বছরে কতটা পণ্য পরিবহণ করা যাবে। তবে, এই বন্দর লালগোলায় চালু হওয়ার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ আছে বলে উল্লেখ করেন আধিকারিকরা। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়, মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান ও বাংলাদেশের রাজশাহির সুলতানগঞ্জের মধ্যে জলপথে বাণিজ্য চালু হবে।

৭৮কিলোমিটার ওই নৌপথের অনুমোদন থাকলেও পদ্মার নাব্যতার কারণে কার্যকর করা যায়নি। ফলে রুটটি পরিবর্তন করে মুর্শিদাবাদের ময়া নৌবন্দর থেকে রাজশাহি সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত আড়াআড়িভাবে ২০ কিলোমিটার করা হয়। শুরুতে এই নৌপথে ভারত থেকে পাথর বালি ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সুলতানগঞ্জ নৌ-ঘাটটি রাজশাহি- চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়ক থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে পদ্মার শাখানদী মহানন্দার মোহনার কাছাকাছি অবস্থিত। সারাবছর সুলতানগঞ্জের এই পয়েন্টে জল থাকে। অন্যদিকে, ময়া নৌঘাটটি মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমা শহরের কাছে ১২নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত। ফলে সুলতানগঞ্জ- ময়া পথে বাণিজ্য শুরু হওয়ায় পরিবহণ খরচ অনেকাংশে কমে যাবে। সামসুল সাহেব বলেন, এই বন্দর থেকে কার্গো ভেসেল পরিষেবা চালু হওয়ায় উপকৃত হবেন দু - দেশের দু'পাড়ের মানুষ।