Abdur Razzak প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:৪৮ এএম
এম আব্দুর রাজ্জাক বগুড়া থেকে:
তীব্র গরমে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু তালের শাঁস বেশি দামে বিক্রি হলেও বেড়েছে কদর। পাবনার বিভিন্ন উপজেলায় ভরপুর তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে। পাকা তাল দিয়ে পিঠা পায়েস খাওয়ার প্রচলন অনেক আগে থেকে থাকলেও তালের নরম শাস খাওয়ার একটা ভালো প্রচলন চালু হয়েছে। আর তাল শাঁস কমবেশি সবাই পছন্দ করেন। জৈষ্ঠ্য মাসে তালের শাঁস খাওয়ার উপযোগী হয়। জৈষ্ঠ্য মাসের শুরুতে গাছ থেকে তাল পড়ে বাজারে বিক্রির ধুম পড়ে যায়। ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন তালের শাঁস কিনতে। শুরুতেই দাম একটু কম থাকলেও গরম তীব্র হয় হওয়াই তালের শাঁস এর দাম দাম তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক মাসের জন্য এই পেশার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে অনেকে শাঁস বিক্রি করে থাকেন। তবে পাবনার তালগাছ থাকলেও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে অধিকাংশ তাল আসে বিভিন্ন উপজেলা থেকে। এই বিভিন্ন উপজেলার মানুষই তাল সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। বিক্রি করেন হাটে বাজার, রাস্তাঘাট, ফুটপাত ও সড়কে তাল বিক্রি করে ওই দেখা যায় তাদের।দেবোত্তর এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক জানান,আটঘরিয়া উপজেলায় তালের শাঁসের চাহিদা অনেক বেশি। দাম ও ভালো পাওয়া যায় আর বিক্রি ও সন্তোষজনক তাই গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাল কিনে তালশাঁস বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। এবারও তালের দাম প্রতি পিস ১০ থেকে ১৫ টাকা। কারণ জানতে চাইলে একটি মধ্যে ২ পিস হলে ১০ টাকা। ৪ পিস হলে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও তাল শাঁস বড় হলে এর দাম আরো একটু বেশি। এবার প্রচন্ড গরমের কারণে তালের শাঁস দাম বেশি বিক্রি হয়েছে এতে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার কচি তালের শাঁসের চাহিদা বেশি। তালের শাঁসের পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে স্থানীয় চিকিৎসকরা বলেন, তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানিশূন্যতা দূর করে। এছাড়া ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি,ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সহ নানা ধরনের ভিটামিন আছে।তালে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।কচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দূর করে।চোখের দৃষ্টিশক্তি ও মুখে রুচি বাড়ায়।