NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

খলিলের কুড়মুড়ে মুচমুচে ঝালমুড়ি---হাবিব রহমান


খবর   প্রকাশিত:  ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:১১ এএম

খলিলের কুড়মুড়ে মুচমুচে ঝালমুড়ি---হাবিব রহমান

‘মনে মন মিলুক
হাতে মিলুক হাত
হৃদয়ে হৃদয়ে মিলুক
জিভে মিলুক স্বাদ’
বাঙালীর রসনায় দুই দুর্বলতা-চাল আর ঝাল। আর ঝালমুড়ি হচ্ছে সে
দুয়ের-ই মহামিলন। বাংলাদেশের সবচেয়ে আইকনিক স্ন্যাকসগুলোর
মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই ঝালমুড়ি। ভোজন রশিকদের জিভে নতুনত্বের স্বাদ
দিতে ব্রঙ্কসের খলিল ফুড কোর্টে নতুন সংযোজন –কুড়মুড়ে
মুচমুচে ঝালমুড়ি।
বাঙালীর ঐতিহ্য এই ঝালমুড়ি এখন বাজার মাত করেছে লন্ডনেও।
আফ্রিকান বংশোদ্ভূত বৃটিশ শেফ অ্যাঙ্গাস ডেনুন ডানকানের
হাতের যাদুতে তৈরি ঝালমুড়ি এখন ফ্রায়েড ফিসে অভ্যস্ত বৃটিশ
রসনায় বিপুল সাড়া জাগিয়েছে। এখন ইংল্যান্ডের রাস্তা দাপিয়ে
বেড়াচ্ছে তার ঝালমুড়ি এক্সপ্রেস। ডানকানের টুইটার এক্সপ্রেস ফলো
করে এখন জানতে হয় কোনদিন, কখন, কোথায় থাকবে তার এই ঝালমুড়ি
এক্সপ্রেস।
ভালোবাসার জন্মভূমি হচ্ছে পেট। পেট খুশ তো দিল খুশ। হৃদয় যদি খুশী
থাকে তখন ভালোবাসার নদীতে বান ডাকে। ভালোবাসা কিংবা প্রেম
সবগুলোকে সজীব রাখতে বর্ণিল খাবার-দাবারের কোন জুড়ি নেই।
বাঙালীর প্রেম ভালোবাসার শুরু বাদাম চিবোতে চিবোতে। দুজনের
মাঝখানে বাদামের ঠোঙ্গা রেখে খোসা ছড়িয়ে বাদামি স্বপ্ন
উড়িয়েই বাঙালীর রোমান্টিকতা শুরু। তারপর ঝালমুড়ি। রিকসায় হুড
তুলে কাঁচা মরিচ, শর্ষের তেল আর টক আচার মাখানো ঝালমুড়ি খাওয়ার
যে কি মজা তা রসিক মাত্রই জানেন।
ঝালমুড়ির প্লেট বা ঠোঙ্গা সামনে নিয়ে প্রিয়সঙ্গ উপভোগের জন্য
সবাই একটা সুন্দর পরিবেশ চায়। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় হোক কিংবা
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ফ্যামিলি ডিনার- ভালো খাবার ও সুন্দর পরিবেশ কে না
চায়। কাজ ও পড়াশোনার চাপ থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে সবাই বন্ধু-
বান্ধব কিংবা পরিবারের সঙ্গে কিছু সুন্দর সময় কাটাতে চায়। আর তার
সবই আছে ব্রঙ্কসের খলিল ফুড কোর্টে। দেশী বিদেশী নানা খাবারের
চমৎকার আয়োজনে সমৃদ্ধ এই খলিল ফুড কোর্টে আছে দেশীয়
ঐতিহ্য আর গ্রাম বাংলার আমেজ। উপভোগ করুন ঝালমুড়ি সহ অন্যান্য

খাবার। এক ছাঁদের নীচে বসে উপভোগ করুন ঝালমুড়ি, শীতের পিঠা
সহ ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী এবং চাইনিজ খাবারের স্বাদ। এখানে
পার্টি করার ব্যবস্থাও আছে।
‘খিদে’ নামের একটি ছড়া লিখেছিলেন কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশে
জনপ্রিয় ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন। ছড়াটি শুরু হয়েছে এভাবে,
‘আবদুল হাই/ করে খাই খাই/ এক্ষুণি খেয়ে বলে/ কিছু খাই নাই।’
আশপাশে একটু খুঁজে দেখুন, ছড়ার ‘আবদুল হাই’য়ের মতো
অনেককেই পাবেন। কানে কানে বলছি এরা কিন্তু সবাই খলিলে একবার
হলেও ঘুরে গেছে। এমনি ‘আবদুল হাই’ হতে পারেন আপনি নিজেও।
তা হলে বুঝবেন কিছুক্ষণ আগে খেয়েও আবদুল হাইদের বারবার খিদে
লাগে কেন?