এম আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:২৭ এএম
এম আব্দুর রাজ্জাক,কাশিমালকুড়ি, বগুড়া থেকে : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ০১ নং ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের, কোমারপুর, কাশিমালকুড়ি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজার রহমান বাধক্য জনিত কারনে (৮০) (১৯ নভেম্বর রবিবার )ভোর রাতে ইন্তেকাল করেছেন।(ইন্না লিল্লাহি………..রাজিউন)।তিনি আদমদিঘী উপজেলার, ০১ নং ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের কোমারপুর কাশিমালকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার ভোর রাতে নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনিএক স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়ে, নাতি- নাতিনী সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। রবিবার দুপুর ১ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজার রহমানের মরদেহ প্রতি রাষ্টীয় মর্যাদায় গার্ড অফ অনার প্রদান করেন আদমদিঘী উপজেলা সহকারি কমিশনার ( ভূমি ) মুনিরা সুলতানা এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অফ অনার চৌকস দলের নেতৃত্ব দেন থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা। মরহুমের জানাজার নামাজ রবিবার বাদ যোহর তার নিজ কাশিমালকুড়ি গ্রামে জানাজা নামাজ অনুষ্টিত হয়। উক্ত জানাজার নামাজ শেষে তার নিজ পারিবারিক করবস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন, আদমদিঘী আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি এবং ০১ নং ছাতিয়ানগ্রাম ইউ পি চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল হক (আবু)।
তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজার রহমান ভাই দীর্ঘদিন সমাজের জন্য ভালো কাজ করে গেছেন এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ কে স্বাধীন করেছেন। তার নাম অবদান জাতি কখনও ভুলবে না। আমরা তাকে হারিয়ে আমাদের সমাজের অপুরনীয় ক্ষতি হল। তার নাম জাতি চীর স্বরনীয় করে রাখবে।মরহুম মুক্তিযোদ্ধা হাফিজার রহমান ভাই, তিনি একজন ভালো ও সাদা সরল মনের মানুষ ছিলেন। তিনি সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন এবং সবার সঙ্গে ওঠা বসা করতেন। সেই সঙ্গে নিয়মিত নামাজি ব্যাক্তি ছিলেন। তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহ্ পাক তাকে মাফ করে যেন জান্নাত দান করেন।
এছাড়াও মরহুমের জানাজায় শরীক হন কোমারপুরের হারুনুর রশিদ বকুল, খোরশেদ আলম, লেবু, আব্দুল আলীম, শহীদুল ইসলাম,বগুড়ার সাংবাদিক এম আব্দুর রাজ্জাক, এবং কোমারপুর, কাশিমালকুড়ি, বড়দিঘী, মঙ্গলপুর, চকসোনার, কোমারভোগ গ্রামের ধর্মপ্রান মুসুল্লিবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন।