NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
জব্বারের বলীখেলায় আবারও চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ‘বাঘা’ শরীফ Bangladesh reaffirms commitment to fully Implement the CHT Peace Accord Kashmir Violence Conflict can be Solved Diplomatically or Needs a Retaliation Plan Against Pakistan ব্রেন স্ট্রোক পরবর্তী সময়ে সেরে ওঠার যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মত  বিনিময় নিজেকে রাজা-বাদশাহ ভাবছেন ট্রাম্প! ‘দাগি’ দেখতে কয়েদির বেশে সিনেমা হলে শতাধিক নিশো ভক্ত Attorney General James Wins Case Against Google for Monopolies in Digital Advertising নিউইয়র্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংবাদ সম্মেলন নানা অভিযোগ উত্থাপন : বাংলাদেশ রেমিট্যান্স মেলা  বয়কটের আহবান নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় পুলিশের গুলিতে মানসিকভাবে অসুস্থ  এক ব্যক্তির মৃত্যু
Logo
logo

আলী যাকের স্মরনে.-কাওসার চৌধুরী


কাওসার চৌধুরী প্রকাশিত:  ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম

আলী যাকের স্মরনে.-কাওসার চৌধুরী

 

কাওসার চৌধুরী, ১০ আগস্ট, ২০২২।

‘আলী যাকের নতুনের উৎসব ২০২২’ শিরোণামে একটি নাট্য উৎসব হতে যাচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত। ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়’ এই উৎসবের আয়োজক। নির্বাচিত/মনোনীত ক’টি নাট্যদলের নাটক নিয়ে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় ক’বছর আগে একটি নাট্য উৎসবের আয়োজন করে। সেটা ছিল উদ্যমী দল, প্রতিশ্রুতিশীল পাণ্ডুলিপি এবং নির্দেশকদের প্রণোদনা প্রদানের একটি প্রয়াস। সেটাই ছিল শুরু। এরমাঝে নাগরিকের প্রাণপুরুষ আলী যাকের আমাদের ছেড়ে গেছেন ২০২০ সালে। ক’বছর আগে শুরু হওয়া ‘ওই উৎসবটি’- আলী যাকেরের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এখন থেকে ‘আলী যাকের নতুনের উৎসব’ শিরোণামে অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়। উল্লেখিত এই উৎসব (আলী যাকের নতুনের উৎসব- ২০২২) তারই প্রথম পদক্ষেপ।

এই উৎসবে পাঁচটি নাট্যদলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। গত উৎসবে সেটাই হয়েছে। এই মনোনয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়’। দেশের বিস্তৃত নাট্যাঙ্গণ থেকে বিদগ্ধ ক’জন নাট্যজনদের নিয়ে এই কমিটি গঠিত।

উৎসবে মনোনীত নাট্য দলগুলোকে ভালো অংকের একটি প্রনোদনা-সম্মানিও প্রদান করা হয়ে থাকে। এবারেও সেটাই হচ্ছে। এই উৎসবে এবারে অংশ নিতে যাওয়া (মনোনীত) নাটক এবং নাট্যদলগুলো হলো- ১. নাটকঃ রেস্পেক্টেবল প্রস্টিটিউট, পরিচালনাঃ অলোক বসু, নাট্যদলঃ থিয়েটার ফ্যাক্টরি, ২. নাটকঃ রিমান্ড, পরিচালনাঃ শুভাশিস সিনহা, নাট্যদলঃ হৃদমঞ্চ রিপারেটরি ৩. নাটকঃ সখি রঙ্গমালা, পরিচালনাঃ আলী হায়দার, নাট্যদলঃ বটতলা, ৪. নাটকঃ আদম সুরত, পরিচালনাঃ বাকার বকুল, নাট্যদলঃ তারুয়া, ৫. নাটকঃ অচলায়তন, পরিচালনাঃ আজাদ আবুল কালাম, নাট্যদলঃ প্রাচ্যনাট। সাত দিনব্যাপী এই উৎসবে ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ে’রও একটি নাটক পরিবেশিত হবে।

এই উৎসবের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ‘মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশন’। এই ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি নাগরিকের নিজের তহবিল থেকে এই উৎসবের যাবতীয় খরচ মেটানো হবে।

গত ৫ আগস্ট ২০২২, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে এই উৎসবের প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়, দলের বিশেষ সভায়। উৎসব কমিটির উপদেষ্টা থাকছেন দু’জন। আসাদুজ্জামান নূর এবং আবুল হায়াত। সমন্বয়কারী- সারা যাকের। বিভিন্ন উপ-কমিটির আহবায়ক হিসেবে আছেন ফারুক আহমেদ, নিমা রহমান, জিয়াউল হাসান কিসলু, নাসিরুল হক খোকন, এম এস আলী বিপ্লব, পান্থ শাহরিয়া্র,‌ রওনক হাসান, শরীফ মোস্তাফিজুর রহমান, অম্লাণ বিশ্বাস এবং ঝন্টু বায়েন। আমাকেও একটি উপ-কমিটির (ডকুমেন্টেশন) আহবায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এই উৎসবে। ঢেঁকি মক্কায় গেলেও নিস্তার নেই 😊 !

আমার মত ‘আহবায়ক সাহেবরা’ তো মূলত ছড়ি ঘুরিয়েই ক্ষ্যান্ত! মূল কাজগুলো কিন্তু সম্পাদন করে থাকে দলের প্রাণোদ্দীপ্ত কর্মীরা। এই কর্মীরাই দলকে প্রাণ চঞ্চল করে রাখে। তারাই দলের প্রাণ। দলের সিনিয়র, মাঝারি এবং তরুণ কর্মীদের মাঝে যাদের নাম এই মুহুর্তে স্মরণে আসছে- তাদের মধ্যে আবুল বাসেত, শাফি আলম বাবলু, আব্দুর রশিদ, খালেদ আনোয়ার, ফখরুজ্জামান চৌধুরী, আফসানা মিমি, বিপাশা হায়াত, অপি করিম, শ্রিয়া সর্বজয়া, লিনি জলিল, হারুন অর রশিদ, টুটুল আহমেদ, মুস্তাফিজ শাহীন, ফারহানা মিঠু, জেবা জাফর, নায়লা কাকলি, ঝুমু মজুমদার অন্যতম। কিন্তু নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের আরো অনেক সদস্যই আছেন যারা দলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ- যদিও তাঁদের নাম আমি এই মুহুর্তে স্মরণে আনতে পারছি না! শুনেছি, নির্দিষ্ট একটা বয়সের পরে মানুষ নাকি ‘ডিমেনশিয়া’য় (ভুলে যাওয়া রোগ) আক্রান্ত হয়। আমি বোধহয় তারই শিকার হতে চলেছি! আমাদের দলের যে সব সদস্যদের নাম এই মুহুর্তে স্মরণ করতে পারলাম না- তাঁরা আমায় মার্জনা করবেন প্লিজ।

এ ছাড়াও আছে নাগরিকে যোগ দেওয়া ১৫/২০ জনের নতুন নাট্যকর্মীদের একটি দল। যারা ২০১৯ থেকে নিজেদের শানিত করে চলেছে ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়’-এর আদর্শে, আদলে, শক্তিতে। আমি এদের নামগুলো সঠিকভাবে জানিনা বলে এখানে উল্লেখ করতে পারলাম না! সে জন্য আমি খুবই দুঃখিত।

** আমি তো এখন নাগরিকের সকল কর্মে আর ‘নিয়মিত’ নই। মাঝেমধ্যে (আজকাল কদাচিৎ) দু’একটা প্রদর্শনীতে যাই, আর বিশেষ কোন আয়োজন থাকলে সেখানে উপস্থিত হয়ে থাকি। বাকীটা সময় আমার প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আমি মঞ্চ থেকে বেশ খানিকটা দূরেই আছি বলতে হবে! এই দূরত্বের কারনেই নতুন বন্ধুদের সাথে আমার সখ্যতা হয়ে উঠে নি! অথচ কথা ছিল- জীবনের শেষ নিঃশ্বাস অব্দি মঞ্চে নাটক করে যাবো। কিন্তু কই, পারলাম না তো! আমার এই ব্যর্থতার জন্য আমি যুগপৎ লজ্জিত এবং মর্মাহত। তবে যতদিন আছি, নাগরিকের সাথেই আছি- থাকবো।

নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের জন্মলগ্নের এবং তার অব্যবহিত পরের সদস্যদের নাম নতুন করে উল্লেখ করার প্রয়োজন হবে কি? আজাদ ভাইয়ের (কে বি আল আজাদ) কিংবা এমি ভাবীর (এমি আজাদ) নাম কি নতুন করে জানিয়ে দেবো! নাগরিকে আতা ভাইয়ের (আতাউর রহমান) সম্পৃক্ততার কথা তো কমবেশী সবাই জানেন। উনি আমাদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। যদিও আতা ভাই আজকাল প্রায়ই বলে থাকেন- উনি নাকি ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়’কে এখন আর belong করেন না! ’৬৮ সালে এই নাট্যদলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরবর্তী ৫০ বছর কিন্তু আতা ভাই (আতাউর রহমান) একাই আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। নাগরিকে অনেক contribution আছে উনার। আতা ভাইকে আমরা শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি।

নাগরিকের সভাপতি আলী যাকেরকে আমরা হারিয়েছি ২০২০ সালে। সর্বনাশা কোভিড উনাকে ছিনিয়ে নিয়েছে আমাদের কাছ থেকে। যদিও এর আগে থেকেই ছোটলু ভাই (আলী যাকের) দূরারোগ্য কর্কট রোগে ভূগছিলেন। খুব, খুবই মিস করি ছোটলু ভাইকে। যেখানেই থাকুন- অনেক ভালো থাকুন ছোটলু ভাই। আপনার আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক।

আমাদের দলের সেই পর্যায়ের সিনিয়রদের মধ্যে- জামাল উদ্দিন হোসেন, রওশন আরা হোসেন এখন দেশ ছেড়ে মার্কিন মুলুকে বসবাস করছেন। শুনেছি, সময় সুযোগ হলে ওখানে অনিয়মিতভাবে নাটক করেন। বলে রাখা ভালো, জামাল ভাই (জামাল উদ্দিন হোসেন), প্রয়াত ইনাম ভাই (ড. ইনামুল হক), লাকী ভাবী (লাকী ইনাম)- এঁরা আমাদের ছেড়ে আলাদা দল (নাগরিক নাট্যাঙ্গণ এবং নাগরিক অনসাম্বল) গঠন করে নাটক করে যাচ্ছেন বেশ অনেক বছর ধরেই। ‘শত ফুল ফুটবে, গন্ধ বিলাবে’- এই মন্ত্রেই বিশ্বাস করে ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়’। উনাদের প্রতি আমরা বরাবরই শ্রদ্ধাশীল।

সম্প্রতি ছোটলু ভাইয়ের মৃত্যুর পর একদিন ইনাম ভাইও (ড. ইনামুল হক) সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন পরপারে। এর অনেক আগে চলে গেছেন বাদল ভাই (বাদল রহমান)।

ছোটলু ভাই, ইনাম ভাইয়ের অনেক আগেই আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে আমাদের বন্ধু, সহযোদ্ধা খালেদ খান (যুবরাজ)। অমিত শক্তিধর এই অভিনেতা ঢাকার মঞ্চকে করেছিলেন প্রকম্পিত। সেই 'অচলায়তন' থেকে শুরু করে 'হ্যামলেট' হয়ে 'রক্ত করবী'তেই ক্ষ্যান্ত! যুবরাজ সংগঠক হিসেবেও কিন্তু ছিলেন অনেক সফল। খালেদ খানকে নিয়ে আলাদাভাবে লেখার ইচ্ছে আছে।

** প্রথম 'পোস্টে' যুবরাজের কথাটি বাদ গিয়েছিল আমার লেখা থেকে। আমাদের মুস্তাফিজ শাহীন- যুবরাজের কথাটি আমায় স্মরণ করিয়ে দেয়ায় আমি বুঝতে পারলাম- আমি সত্যিই 'ডিমেনশিয়া'য় (ভুলে যাওয়া রোগ) ভূগছি। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমি ভীষণ দুঃখিত।

একে একে আমাদের চারপাশটা ক্রমশ খালি হয়ে যাচ্ছে কেন জানি! অগ্রজ আর বন্ধুদের হারিয়ে আমরা ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ছি যেন। ইনাম ভাই, যুবরাজ এবং বাদল ভাইয়ের আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি।

নাগরিকের ‘দূরে থাকা বন্ধু’দের মাঝে যাদের নাম স্মরণ করতে পারছি এই মুহুর্তে, তাঁদের মধ্যে- মাহমুদুর রহমান বেণু, সুলতানা কামাল, গোলাম রব্বানী, তামান্না রহমান, বাদল রহমান (প্রয়াত), আবুল কাশেম, লুৎফর রহমান খোকা, হায়দার ভাই, আল মামুন, শেখ মনসুর উদ্দিন আহমেদ, সুরমা রহমান, লুৎফুন্নাহার লতা, শিরিন বকুল, শামসুদ্দিন আহমেদ, কাজী রুমা, টনি ডায়েস, শবনম স্বাতী অন্যতম।

বিগত ৫৪ বছরের সুদীর্ঘ অভিযাত্রায় ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়’-এর সাথে যুক্ত হয়েছেন অনেকেই। অনেকেই তাঁদের মূল্যবান সময়, শ্রম আর মেধা দিয়ে নাগরিক’কে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। লেখক হিসেবে আমার উচিৎ ছিল- তাঁদের প্রত্যেকের নাম উল্লেখ করা। কিন্তু সবার নাম আমার কাছে নেই এই মুহুর্তে। তবে নামগুলো সম্ভবত সংরক্ষিত আছে আতা ভাইয়ের (আতাউর রহমান) কাছে। উনার কাছ থেকে তালিকাটি নিয়ে একদিন সেটা প্রকাশের আশা রাখি।

নাট্যামোদীরা নিশ্চই জানেন যে, নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের প্রথম সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক জিয়া হায়দার। প্রতিষ্ঠালগ্নে এই দলের সাথে জড়িত ছিলেন প্রয়াত ফজলে লোহানী, সৈয়দ আহসান আলী সিডনি, মাহমুদুর রহমান বেণু, ড. ইনামুল হক, লাকী ইনামসহ আরো বেশক’জন। প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের কথা আগেই বলেছি। স্বাধীনতার পরে নাগরিকে যুক্ত হয়েছিলেন স্থপতি গোলাম রব্বানী এবং তামান্না রহমান। পরে অবশ্য তাঁরা দল ছেড়ে চলেও গিয়েছেন সেই তিয়াত্তরেই! প্রয়াত রশিদ হায়দার যুক্ত হয়েছিলেন বাহাত্তরে। তাঁর লেখা নাটক নাগরিক সেই সময়ে মঞ্চস্থ করেছে।

৫৪ বছর বয়েসী ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়’ দেশের সবচেয়ে পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী নাট্যদল। বয়স এবং কর্ম- দু’দিক থেকেই এই নাট্যদলটি আলোচনা আর আকর্ষণের শীর্ষে থেকেছে বরাবরই।

‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়’-এ আমার অভিজ্ঞতা নিয়ে আগামীতে একটি গ্রন্থ প্রস্তুত করতে চাই। নাগরিক আমাকে সেই সুযোগ দিলে বাধিত হবো।

নাগরিকের জয়ের ধারা আরো বেগবান হোক। জয় হোক বাঙলা নাটকের। সফল হোক আমাদের আসন্ন উৎসব- ‘আলী যাকের নতুনের উৎসব- ২০২২’।

 

যে সব ছবিতে আমি দৃশ্যমান- সেগুলো বাদে বাকী ছবিগুলো আমার তোলা।লক্ষ্যনীয়ঃ নিচের লেখাটিতে তথ্যের পাশাপাশি যে সকল ‘মন্তব্য’ উপস্থাপন করা হলো- সেগুলো একজন ব্যক্তি মানুষ হিসেবে নিতান্তই আমার ‘একান্ত নিজস্ব’ মতামত। এই মতামতের দায়ভার ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের’ নয়