NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

সান ফ্রান্সিসকোতে আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর এক ভোজসভায় ভাষণ দেন সি চিন পিং


আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত:  ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম

সান ফ্রান্সিসকোতে আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর এক ভোজসভায় ভাষণ দেন সি চিন পিং

 

 



চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং স্থানীয় সময় ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর এক ভোজসভায় ভাষণ দিয়েছেন।

তিনি ভাষণে বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং আমি আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছি। দুই দেশ মানুষের বিনিময় সহজতর করতে এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়াতে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। যেমন, সরাসরি যাত্রীবাহী বিমান যোগাযোগ বাড়ানো, চীন-মার্কিন উচ্চ-স্তরের পর্যটন সংলাপ আয়োজন, ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সুবিধাজনক করা, ইত্যাদি। আমরা দুই দেশের জনগণের মধ্যে আরও বেশি আদান-প্রদান ও বিনিময়ের প্রত্যাশা করছি। নতুন যুগে দুই দেশের মধ্যে আরো বেশি বন্ধুত্বের গল্প যৌথভাবে লিখবো আমরা।

সি চিন পিং বলেছেন, চীন বরাবরই শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে অবিচলভাবে সামনে এগিয়ে চলেছে; চীনকে হুমকি হিসেবে দেখা ও জিরো-সাম গেইমে মেতে থাকা ঠিক নয়। তিনি স্থানীয় সময় ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর এক ভোজসভায় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ পঞ্চশীল নীতি হলো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নীতি, যা চীন-মার্কিন সম্পর্কের ভিত্তি হওয়া উচিত।

চীন বরাবরই শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে অবিচলভাবে সামনে এগিয়ে চলেছে; চীনকে হুমকি হিসেবে দেখা ও জিরো-সাম গেইমে মেতে থাকা ঠিক নয়।একে অপরকে সম্মান করা মানুষের একটি মৌলিক শিষ্টাচার। চীন-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ঐতিহাসিক সংস্কৃতি ও  ভৌগোলিক অবস্থান রয়েছে। দেশটি নিজস্ব উন্নয়নের পথ ও সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। আমরা একে সম্পূর্ণরূপে সম্মান করি। এদিকে, চীনের স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতান্ত্রিক পথ বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের তত্ত্বের নির্দেশনায় চলে, যা ৫০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে টিকে থাকা চীনা সভ্যতার মূলে রয়েছে। আমরা এর জন্য গর্বিত বোধ করি। দুটি পথ ভিন্ন, তবে উভয়ই দু’দেশের জনগণের বাছাই, উভয়েই মানবজাতির সাধারণ মূল্যবোধের দিকেই বহমান; উভয়কেই সম্মান করা উচিত।

সি চিন পিং বলেন, চীন-মার্কিন সম্পর্কের আশা জনগণের মধ্যে, ভিত্তি জনগণের মধ্যে, ভবিষ্যত যুবকদের মধ্যে এবং প্রাণশক্তি বিনিময়ের মধ্যে নিহিত। আমি আরও বেশি মার্কিন গভর্নর, কংগ্রেসসদস্যকে চীন সফরে আমন্ত্রণ জানাই; আমি চীন সফরের জন্য আমেরিকার সর্বস্তরের জনগণকেও আমন্ত্রণ জানাই।

তিনি বলেন, ‘চীন-মার্কিন সম্পর্কের ভিত্তি আমাদের জনগণের দ্বারা স্থাপিত হয়েছিল; চীন-মার্কিন সম্পর্কের দরজা আমাদের জনগণের দ্বারা উন্মুক্ত হয়েছিল; চীন-মার্কিন সম্পর্কের গল্পগুলো আমাদের জনগণের দ্বারা লেখা; এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যত আমাদের জনগণই তৈরি করবে।’
সি বলেন, ‘আমাদের আরও সেতু নির্মাণ করা উচিত। আমাদের উচিত নয় বাধা তৈরি করা বা একটি শীতল প্রভাববলয় তৈরি করা।'
প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের দরজা একবার যখন খুলেছে, তিখন তা আর বন্ধ করা যাবে না; সহযোগিতার পথে একবার চলা শুরু করে, অর্ধেক পথ থেকে সরে আসা যায় না।

তিনি আরো বলেন, আগামী পাঁচ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীকে ভ্রমণ ও লেখাপড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাবে চীন।
সূত্র: ছাই ইউয়ে- স্বর্ণা- ঊর্মি,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।