NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, মে ১৩, ২০২৫ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

সিনচিয়াংয়ের কাজাখ জাতির গ্রামবাসী আমান’র দারিদ্র্যমুক্ত হওয়ার গল্প


মশিউর আনন্দ প্রকাশিত:  ০৪ মে, ২০২৫, ০৯:৩৭ এএম

সিনচিয়াংয়ের কাজাখ জাতির গ্রামবাসী আমান’র দারিদ্র্যমুক্ত হওয়ার গল্প

 

 

নিউইয়র্ক বাংলা ডেস্ক:৩৫ বছর বয়সী আমান গুমাহান হলেন চীনের সিনচিয়াংয়ের গুনজুহু গ্রামের কাজাখ জাতির লোক। অতীতে তাঁর কোনো প্রযুক্তিজ্ঞান ছিল না। তিনি পার্টটাইম চাকরি ও কৃষিকাজ করে অর্থ উপার্জন করতেন। ২০১৪ সালে তাঁর পরিবার দরিদ্র পরিবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাঁর দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করার জন্য স্থানীয় দারিদ্র্যবিমোচন দল তাঁকে ছাগল পাঠায়। ২০১৬ সালে আমান ১০টি ছাগল পান। ছাগল পালন করার মাধ্যমে সে-বছর আমান’র পরিবারের আয় হয় ৩৫ হাজার ইউয়ান। ২০১৭ সালে তাঁর পরিবার সফলভাবে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পায়। যদিও ছাগল পালন করে মুনাফা পাওয়া যায়, তবুও আয় বেশি না। আমান আয় বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা করেন। আমান গ্রামের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কৃষিকাজ ও পশুপালনের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ নেন। তিনি নিজের উত্পাদন ও ব্যবসায়ের পদ্ধতি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি দেখেন, গরু পালনের খরচ ছাগল পালনের চেয়ে অনেক কম। ২০১৭ সালে তিনি পরিবারের ৩০টি ছাগল বিক্রয় করেন এবং দারিদ্র্যবিমোচন গ্রুপের সহায়তায় ৫০ হাজার ইউয়ান ক্ষুদ্র ঋণ নেন। এই অর্থ দিয়ে তিনি তিনটি সিনচিয়াং গরু কেনেন। আস্তে আস্তে তিনি গরুপালনের মাধ্যমে বেশি মুনাফা লাভ করতে থাকেন। তাঁর স্ত্রী স্থানীয় দারিদ্র্যবিমোচন কারখানায় কাজ করেন। বর্তমানে আমান’র পরিবারের বার্ষিক আয় ৯১ হাজার ইউয়ান। দারিদ্র্যবিমোচন মূল গন্তব্য না, বরং নতুন জীবন ও প্রচেষ্টার শুরু। ২০১৮ সালে পরিবারের আয় অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি আমান’র স্ত্রী বাগনুর প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। এ বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি হরিবুহু থানায় একটি ফুলের দোকান খুলে বসেন। তিনি বলেন, এর আগে পার্টটাইম কাজের বেতন বেশি ছিল না। সেজন্য তিনি নিজে উদ্যোক্তা হতে চাইলেন। বর্তমানে তাঁর দোকানের ব্যবসায় আয় অনেক ভাল।

২০২০ সালের প্রথম দিকে আমানর পরিবার প্রথম গাড়ি কেনে। তাঁর পরিবারের বার্ষিক আয় ১.৪৭ লাখ ইউয়ানে দাঁড়ায়। তাঁরা নতুন বাড়ি নির্মাণ করেছেন। নতুন বাড়ি আগের চেয়ে সুন্দর। তিনি বলেন, ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) ও চীনা সরকারের সহায়তায় আমি ১৪টি গরু পালন করি। আমাদের একটি ফুলের দোকানও আছে। আমাদের বার্ষিক আয় বছর বছর বাড়ছে এবং জীবন বছর বছর সুন্দর থেকে সুন্দরতর হচ্ছে। ২০২১ সালেও আমরা পরিশ্রম করে যাবো এবং আরও সুন্দর জীবন গড়ে তোলার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।’ সূত্র: সিএমজি।