খবর প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৩৪ পিএম
শিব্বীর আহমেদ, ওয়াশিংটন ডিসি: মার্কিন কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা নিউইয়র্কের কংগ্রেসম্যান হাকিম জেফরিজসহ উভয় পার্টির অন্তত ১৬ জন সিনেটর-কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হয়ে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। এ সময় রোহিঙ্গা ইস্যু, শান্তিরক্ষা, শ্রম-সমস্যা, বাণিজ্য সহযোগিতা, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যার মতো দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের অন্যান্য ইস্যুতেও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাপিটল হিলে সিনেটর এবং কংগ্রেসম্যানদের অফিসে পৃথক এসব বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ইমরান শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অদম্য গতিতে এগিয়ে চলার রহস্যকথাও উপস্থাপন করেছেন। জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর হওয়ায় বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় অগ্রগতির বিস্তারিত তথ্যও এ সময় উপস্থাপন করেছেন রাষ্ট্রদূত ইমরান।
জানা গেছে, সিনেটর-কংগ্রেসম্যানরাও অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে বাংলাদেশ এবং এগিয়ে চলা বাংলাদেশের নেতা শেখ হাসিনার ব্যাপারেও জানতে চেয়েছেন। উল্লেখ্য, এসব কংগ্রেসম্যানের অধিকাংশই কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসে যোগ দিয়েছেন। এ ককাসের ৪ কো-চেয়ার ক্লাউডিয়া টেনি (রিপাবলিকান-নিউইয়র্ক), গেরি কনঅলি (ডেমোক্র্যাট-ভার্জিনিয়া), ডোয়াইট ইভান্স (ডেমোক্র্যাট-পেনসিলভেনিয়া) ও জো উইলসন (রিপাবলিকান-সাউথ ক্যারোলিনা)-এর সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হয়েছেন রাষ্ট্রদূত ইমরান। বিশেষ একটি মহল কর্তৃক বিপুল অর্থ ব্যয়ে ক্যাপিটল হিল, হোয়াইট হাউস, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে চালানো অপপ্রচার রোধে এমন বৈঠকের বিশেষ প্রয়োজন ছিল বলে সচেতন প্রবাসীরা মনে করছেন।
একই সঙ্গে ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ নামক আরেকটি সংগঠনের পক্ষ থেকেও নিউইয়র্ক ও ফ্লোরিডার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে সম্প্রতি মতবিনিময় সভা হয়েছে। সেসব বৈঠকের আয়োজক ও সমন্বয়কারীর অন্যতম ছিলেন মোর্শেদ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, জুনায়েদ আহমেদ, হাসান জাহাঙ্গির প্রমুখ। বিশেষ সহযোগিতাকারীদের মধ্যে ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন্নবী, যুগ্মসম্পাদক মাহাবুবুর রহমান টুকু, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট সুলতান আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম চৌধুরী, আইরিন পারভিন প্রমুখ। ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’-এর চলমান এ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন মূলধারায় প্রবাসীদের পথিকৃৎ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা মোর্শেদ আলম।
রাষ্ট্রদূত ইমরান আরও বৈঠকে মিলিত হয়েছেন ক্যানসাসের ইউএস সিনেটর (রিপাবলিকান) রোজার মার্শালের সঙ্গে। সিনেটে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও রাষ্ট্র বিষয়ক সাবকমিটির প্রভাবশালী মেম্বার সিনেটর রোজার বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে তাঁর সহায়তার অঙ্গীকার করেছেন। এ ছাড়া দেশ দুটির সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে তিনি কাজ করবেন বলেও উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্যেরও প্রশংসা করেছেন রিপাবলিকান পার্টির এই সিনেটর।