মশিউর আনন্দ প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
পলোসির তাইওয়ান আগমনকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ চীন সাগরের আধিপত্য নিয়ে চীনের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। নমপেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি পরিস্কার করলেন। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই নমপেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক সম্মেলনে দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে চীনা অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। এসময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত উদ্বেগ খণ্ডন করেন।
ওয়াং ই বলেন, দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে চীনের অবস্থানের ঐতিহাসিক ও আইনগত কারণ আছে। চীনা অবস্থান কখনও পরিবর্তন হয়নি। চীন ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো ‘দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন পক্ষের আচরণের ঘোষণা’-য় বরাবরই অবিচল থেকেছে। দু’পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে যথাযথভাবে মতভেদ সমাধান করে থাকে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসলে বর্তমানে দক্ষিণ চীন সাগরের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো কয়েকটি বড় দেশের হস্তক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্র চীনের অবস্থা ও প্রস্তাব অস্বীকার করে। দেশটি নিজের রাজনৈতিক চাহিদা অনুযায়ী ইচ্ছামতো নীতি পরিবর্তন করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আঞ্চলিক দেশগুলোকে সম্মান করে দক্ষিণ চীন সাগরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা সুরক্ষা করা।ওয়াং ই আরও বলেন, চীন আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে ‘দক্ষিণ চীন সাগরের আচরণবিধি’ নিয়ে আলোচনা জোরদার করছে। সূত্র: সিএমজি।