NYC Sightseeing Pass
Logo
logo

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন


খবর   প্রকাশিত:  ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:১০ পিএম

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

 

 




নিউইয়র্ক, ০৫ আগস্ট ২০২৩: আজ নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠপত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে জাতির পিতার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যগণের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং শেখ কামালের জীবন ও কর্মের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানটিতে মুল বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, “শেখ কামাল ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা কিংবদন্তী। মাত্র ২৬ বছর আয়ুকালে তিনি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অসংখ্য অবদান রেখে গেছেন। একজন নিবেদিত, সংগ্রামী ও আদর্শবাদী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন শহীদ শেখ কামাল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সরাসরি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।  বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠা, ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আন্দোলনের একজন পুরোধা। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী।

স্থায়ী প্রতিনিধি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশে যে অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছে, তার মধ্য দিয়েই বাস্তবায়িত হচ্ছে স্বপ্নদর্শী তরুণ শেখ কামালের স্বপ্ন। অবশেষে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন ও কর্মকে অনুকরণ করে দেশের জন্য কাজ করার জন্য বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মুহিত তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

 

উন্মুক্ত আলোচনাপর্বে মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ বক্তব্য রাখেন। শহীদ শেখ কামালের জীবন ও কর্মের নানাদিক উঠে আসে উন্মুক্ত আলোচনায়। শেখ কামালের আদর্শ ধারণ করে দেশের যুবসমাজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে আরো উচ্চতর আসনে তুলে ধরবে মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তাগণ। আলোচনাপর্ব শেষে কেক কেটে শেখ কামালের জন্মদিন পালন করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।