NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ


শিশির, বেইজিং: প্রকাশিত:  ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:৪৫ এএম

জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ

 

 



১৯ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু-বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তিনি চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন এবং আগামী কয়েক সপ্তাহে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের ২৮তম স্বাক্ষরকারী অধিবেশন (কোপ-২৮)-এর জন্য প্রস্তুতি নেবে। এ প্রসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং ২০ জুলাই নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ এবং নানা দেশের উচিত একসঙ্গে তা মোকাবিলা করা।

চীন প্রাকৃতিক সভ্যতা ও জলবায়ু পরিচালনার অনুশীলনকারী। চলমান শতাব্দীতে বিশ্বের নতুন সবুজ এলাকার ২৫ শতাংশ তৈরি করেছে চীন। পাশাপাশি, চীন সবার আগে জমি ক্ষয়ের ‘শূন্য বৃদ্ধি’ বাস্তবায়ন করেছে এবং মরুকরণ ও বালুকাময় ভূমির আয়তন হ্রাস  করেছে। বনায়নের হার ও  বনজসম্পদের মজুদ সব বেড়েছে। চীনে তৈরি হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম পরিচ্ছন্ন বিদ্যুত উৎপাদন ব্যবস্থা। জলবায়ু ও সৌরশক্তি চালিত বিদ্যুত উৎপাদনের দক্ষতায় সবার শীর্ষে রয়েছে চীন। প্রতি বছর ৩ শতাংশ জ্বালানি ব্যয়ের মাধ্যমে ৬.২ শতাংশ অর্থনীতির বৃদ্ধি বাস্তবায়ন করছে চীন।

মুখপাত্র আরও বলেন, চীন বিশ্ব পরিবেশ পরিচালনার উদ্যোক্তা। জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন কাঠামো কনভেনশন ও প্যারিস চুক্তির কার্যকর বাস্তবায়ন এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশকে যথাসাধ্য সহায়তা ও সমর্থন দেয় চীন। যৌক্তিক, ন্যায্য ও সহযোগিতামূলক বৈশ্বিক জলবায়ু পরিচালনা ব্যবস্থা গড়ে তোলায়  ইতিবাচক  অবদান রেখেছে চীন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিবেশ সংরক্ষণ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাষণ দিয়েছেন। যা পরিবেশ সংরক্ষণ জোরদার এবং প্রাকৃতিক সভ্যতা নির্মাণের দিকনির্দেশনা দিয়েছে। চীন অব্যাহতভাবে প্রাকৃতিক সভ্যতা জোরদার করবে এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে পরিষ্কার ও সুন্দর বিশ্ব গড়ে তুলবে।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ