NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, জুন ১৬, ২০২৫ | ২ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
" ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন উত্তেজনা চরমে বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী, ডেমোক্র্যাটদের ক্ষোভ
Logo
logo

এপ্রিল ২০০০ বাংলাদেশে ভয়েস অফ আমেরিকা পরিচালক স্যানফোর্ড জে আংগার আসেন বিজয়করায়


যুবরাজ চৌধুরী প্রকাশিত:  ১৬ জুন, ২০২৫, ০৮:৫৮ এএম

এপ্রিল ২০০০ বাংলাদেশে  ভয়েস অফ আমেরিকা পরিচালক স্যানফোর্ড জে আংগার আসেন বিজয়করায়

বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার দৃষ্টিনন্দন জগন্নাথ দিঘী ইউনিয়নের যে গ্রামটি এরই মধ্যে  ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। ঐতিহ্যের দিক থেকে যে গ্রামটি সকলের কাছে সমাদৃত এবং দৃষ্টিনন্দন আধুনিক একটি গ্রাম।
যে গ্রামে জম্মনিয়ে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সর্বোচ্চ পদধারি  কর্মকর্তারা পদ অলংকৃত করেন এবং বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে সচিব হিসেবে সুনামের সাথে অনেকেই দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্যাংকিং জগতের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা সহ উচ্চপদস্থ আসন অলংকৃত করেছেন অনেকেই পাশাপাশি  ব্যাবসায় সফলতা অর্জন করে সিআইপি খেতাব প্রাপ্ত ব্যাক্তিবর্গে মুখরিত আমাদের গ্রাম বিজয়করা।
 ১৯৯০ সালের ৩১ডিসেম্বর বিজয়করা গ্রামে আমরা বন্ধুরা ভয়েস অফ আমেরিকা শ্রোতা সংঘ নামে  একটি আন্তর্জাতিক রেডিও শ্রোতা ক্লাব গঠন করি।
আমাদের ক্লাবটি সুনাম অর্জন করতে থাকে প্রতিনিয়ত।
ক্লাবের কর্মকান্ডে সফলতার জন্য পেয়েছি ভিওএ থেকে অসংখ্য উপহার।
২০০০ সালে প্রথম এশিয়া সফরে আসেন ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক ডক্টর স্যানফোর্ড জে আংগার।
সফর সূচিতে বিভিন্ন দেশের সাথে ছিলো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
পহেলা এপ্রিল ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে  বাংলাদেশে আসেন ভয়েস অফ আমেরিকা পরিচালক মহোদয়।  নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে শ্রোতারা ভিওএ শোনার জন্য বাংলাদেশে  এফএম ট্রান্সমিশন বসানোর জন্য সরকারের সাথে আলোচনা সহ অনেক গুলো পরিকল্পনা ছিলো। তার মধ্যে একটি বাংলাদেশর বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা হাজারের উপরে ভয়েস অফ আমেরিকা ফ্যান ক্লাব ছিলো।
পরিচালক মহোদয়  গ্রামের একটি ক্লাব পরিদর্শন করবেন।
পাশাপাশি  গ্রাম অঞ্চলে গড়ে ওঠা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে কিভাবে নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন তাদের কার্যক্রম পরিলক্ষিত করা।
ভয়েস অব আমেরিকা ফ্যান ক্লাব ইন বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দ আসাদুজ্জামান বাচ্চু ভাই পরিচালক মহোদয় কে কয়েকটি ক্লাব সহ আমাদের ক্লাব পরিদর্শন করার কথা মিটিং এ উপস্থাপন করেন।
অন্য ক্লাবের সভাপতিগন অপারগতা প্রকাশ করায় বাচ্চুভাই আমাকে রিকোয়েস্ট করেন আমি যেন অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব নেই।
ওনি বলার সাথে সাথে আমি নেনোসেকেন্ড সময় না নিয়ে অনুষ্ঠান আমার গ্রামে করবো বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেই।
এত বিশাল আয়োজনের জন্য হাতে সময় ছিলো তিন দিন মাত্র।
আমি ঢাকা থেকে এসে আমাদের ক্লাবের সকল সদস্য এবং গ্রামের সকল মুরুব্বি এবং চেয়ারম্যান পাশা দাদা এবং মাসুম ভাই (মেব্বার) সহ মিটিং করে ৭ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজ শুরু করি।
উল্লেখ্য আমি যদের কাজে সবথেকে বেশি খুশি হয়েছি আমার এলাকার আমার ছোট ভাইগুলো অক্লান্ত পরিশ্রম করে অনুষ্ঠানটিকে সার্থক করেছিল। 
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আলহামদুলিল্লাহ সব কাজ সমাপ্ত করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
আসে সেই মহেন্দ্রক্ষন ৪ এপ্রিল ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ।
সকাল ৭ টায় উপস্থিত হয় মানব জমিন পত্রিকার সম্পাদক এবং ভয়েস অফ আমেরিকার সাংবাদিক
জনাব মতিউর রহমান চৌধুরী। 
তার কিছুক্ষন পরে উপস্থিত হন তৎকালিন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় হুইপ জনাব মুজিবুল হক মুজিব [এম পি]
ঢাকা থেকে আগত অতিথিগন ট্রাফিক জ্য্যমের জন্য আসতে একটু বিলম্ব হলেও সকাল ১০ টার মধ্যে বিজয়করা গ্রামে উপস্থিত আমাদের প্রধান অতিথি ডক্টর সেনফোড জে আংগার,জনাব ইকবাল বাহার চৌধুরী, আমেরিকান ইনফরমেশন সার্ভিসের পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আলী জনাব সীতা মুখার্জী, জনাব মতিউর রহমান চৌধুরী, নাইম মুসা মজুমদার, নাসরিন হুদা বিথী সহ ইউনাইটেড ইনফরমেশন সার্ভিস এর অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
 উল্লেখ্য আমাদের ব্যানারটি ডক্টর সেনফোর্ড জে আংগারের খুব পছন্দ হয় এবং অনুষ্ঠান শেষে ব্যানারটি আমি ওনাকে উপহার দিয়ে দেই।
আমাদের বিদ্যাপীঠ  বিজয়করা স্কুল মাঠে সামিয়ানার নিচে বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসে উপস্থিত হন ভয়েস অব আমেরিকার  হাজার হাজার শ্রোতা।এতে আমেরিকা থেকে আগত অতিথীগন আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং সবাইকে বিলম্ব হওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা ও সবাই কষ্টকরে উপস্থিত থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। ৬ই এপ্রিল ২০০০ আমাদের ক্লাবের ২ জন সহ অন্যান্য ক্লাব মিলিয়ে মোট ১০ জন কে তৎকালীন আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মেরি এন পিটার্স বাংলাদের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে ওনার বাসভবনে ডিনারের নিমন্ত্রণ জানান এনং আমরা যথা সময়ে উপস্থিত হই।
বি:দ্র
 আজকে আমার মোবাইলের স্ক্রিনে হঠাৎ এই কয়টি ছবি দেখতে পাই। যদিও ঐ অমুষ্ঠানের অনেগুলো ছনি আমার কাছে আছে।
আমি ফিরে যাই সেই ২৩ বছর আগের দিনগুলোতে ছবিগুলো আমাকে বার বার বলছে যুবরাজ তুমি তো নায়ক ছিলে।
আগের ছবির সাথে এখন কার ছবি দেখ।
আমারও মনে হচ্ছিলো যুবরাজ তুমি এক সময়ের সকলের ক্রাস ছিলে এখন তোমাকে দেখ?


এখন তুমি  হাতী তে পরিনত হয়েছ আপনাদের অবগতির জন্য লিখলাম ইতিমধ্যে আমি আন্তর্জাতিক বেতার নিয়ে লিখতে শুরু করেছি অচিরেই তা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হবে।
আপনারা সবাই ভালো ও নিরাপদে থাকুন সব সময় সব খানে।

**বর্তমানে আমি ব্যাবসার পাশাপাশি  ★★ইসলামী রিপাবলিক অফ ইরান ব্রডকাস্টিং ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশ।  সংক্ষেপে : -
আরআইবি ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
সবাই কে ধন্যবাদ।