NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, জুন ১৬, ২০২৫ | ২ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
" ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন উত্তেজনা চরমে বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী, ডেমোক্র্যাটদের ক্ষোভ
Logo
logo

কী দেখতে এসেছিলেনএই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজ, আর কী দেখলেন?


খবর   প্রকাশিত:  ১৬ জুন, ২০২৫, ০৭:৪৯ এএম

কী দেখতে এসেছিলেনএই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক  মার্টিনেজ, আর কী দেখলেন?

আর্জেন্টিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উন্মাদনা নিজের চোখে দেখবেন বলে কোনও প্রকার আমন্ত্রণ ছাড়াই ঢাকায় আসতে চেয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। এক প্রকার নিজ উদ্যোগেই আজ সকালে ঢাকায় পা রাখেন বিশ্বকাপ জয়ী এই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। আসার পর কী দেখলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা? সেই উন্মাদনার কিছুই দেখতে পেলেন না তিনি। সহজ করে বলতে গেলে তাকে সেই উন্মাদনা থেকে বঞ্চিত করেছেন আয়োজকরা। বঞ্চিত করা হয়েছে দেশের ফুটবলপ্রেমীদের।    ভোর ৫টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান মার্টিনেজ। তার আগেই মার্টিনেজকে এক পলক দেখতে অনেকে ছুটে গিয়েছিলেন বিমানবন্দরে। সেখানে দেখা মেলেনি। হোটেলের সামনেও ভিড় করেছিলেন। কিন্তু কালো কাচে ঘেরা গাড়িতে থাকায় সেখানেও দেখা মেলেনি। মার্টিনেজ একজন ফুটবলার হওয়া স্বত্বেও আয়োজক ‘নেক্সট ভেঞ্চার’ দেশের ফুটবলকে সর্ম্পৃক্ত করেনি।  জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন  মর্তুজাকে দাওয়াত করা হলেও সেখানে আমন্ত্রণ পাননি দেশের কোনও ফুটবলার। এমনকি সংবাদমাধ্যমকেও ভিড়তে দেয়া হয়নি মার্টিনেজের আশপাশে।  এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে একজন লিখেছেন, ‘আর্জেন্টিনার এমি মার্টিনেজকে এনে গুটিকয়েক পরিবারের সাথে আড্ডা আর কিছু ইউটিউবারকে কন্টেন্ট বানাইতে দেয়া কোনভাবেই সমর্থন করছি না। তাকে স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা দেয়া যেতো। অন্তত আমাদের দেশের ফুটবলারদের সাথে একটা সেশন রাখা যেতো। ফুটবলের উন্নতি হতো, খেলোয়াড়রা উৎসাহ পেতো। গ্যালারিতে সেটা উপভোগ করতেন অগনিত মানুষ। জনপ্রতিনিধিরা যখন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের এজেন্ট হয়, দেখতে খারাপ দেখায়।’    মার্টিনেজকে বাংলাদেশে আনে ফান্ডেড নেক্সটের প্রতিষ্ঠান নেক্সট ভেঞ্চার। তারা অর্থ ব্যয় করে আনলেও জনসাধারণ এমনকি মিডিয়ার জন্য কোনো সেশনই রাখেনি। বিমানবন্দর থেকে তাকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় হোটল ওয়েস্টিনে। হোটেলের রুম থেকে সরাসরি আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিংয়ে নেমে গাড়িতে ওঠেন মার্টিনেজ। সেই গাড়িতে আবার কালো কাচ। পুলিশ ভ্যানের পেছনে ওই গাড়িতে বসে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ হোটেল থেকে বেরিয়ে যান ৯টা বাজার কিছুক্ষণ পর। ফটো সাংবাদিকরা ক্যামেরা নিয়ে দৌড়ালেন, টিভি ক্যামেরাম্যানরা ক্যামেরা নিয়ে দৌড়ালেও ছবি বা ফুটেজ সেই অর্থে কেউই পাননি। কালো কাচের আড়াল থেকে এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে যে ভালোমতো দেখাই গেলো না।   মার্টিনেজকে এই অঞ্চলে আনা শতদ্রু দত্তের কাছেই শোনা, কলকাতায় আসা চূড়ান্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনার প্রতি প্রবল সমর্থনের খবর আর্জেন্টিনা দলেও পৌঁছে গিয়েছিল। বিশ্বকাপে না থেকেও বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ছিল এ কারণেই। কোচ লিওনেল স্কালোনি যেদিন সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন, একাধিক বিদেশি সাংবাদিককে বাংলাদেশের এই আর্জেন্টিনাপ্রীতির ইতিহাস ও কারণ বুঝিয়ে বলতে হয়েছিল। বিশ্বকাপ জয়ের পরও তো বাংলাদেশকে নিয়ে আর্জেন্টিনায় কম কিছু হয়নি। শুধু ফুটবল সমর্থনের সূত্র ধরে আরেকটা দেশে দূতাবাস খুলে ফেলেছে কোনো দেশ- এমন কিছু তো ইতিহাসে হয়নি কখনো। এসব দেখে–শুনেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজের বাংলাদেশ নিয়ে আগ্রহ। প্রবল কৌতূহলও। কিন্তু সেই কৌতূহলের কিছুই কি মিটল? সাধারণ আর্জেন্টিনা সমর্থকদের সঙ্গে তো তার দেখাই হলো না।